(সৃজনশীল প্রশ্ন)
১. ধনকুবের মার্কের ছেলে টনি। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো তার অভ্যাস। এমনি একদিন গাড়ি চালানোর সময় তার গাড়ির আঘাতে রিক্সাচালক আবু মিঞার রিক্সাটি ভেঙ্গে যায়। টনি তা পরোয়া না করে রিক্সাচালকের গালে আঘাত করে এবং বলে,‘ দেখে রিক্সা চালাতে পারিস না? তোর দুই টাকার রিক্সা আমার লক্ষ টাকার গাড়ির রঙ নষ্ট করে দিয়েছে। আজ তোর ক্ষমা নেই।’ এ সময় সাথে থাকা তার বান্ধবী জুলিয়া টনিকে বলে, তুমি ওকে মারলে কেন? তোমারই তো দোষ। তুমি তোমার ভুল স্বীকার কর। নত ও সরল হও এবং যীশুকে বিশ্বাস কর।
ক.আত্মবিশ্বাস থেকে কী জন্ম নেয়?
খ. ‘আবেগিক মুক্তি, বলতে কী বোঝায়?
গ.উদ্দীপকে জুলিয়া টনিকে যে ধরনের পরামর্শ দিয়েছে তা’ মুক্তির পথে আহবান’ পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জুলিয়ার পরামর্শ টনিকে সার্বিকভাবে মুক্তি দিতে পারে কি? ‘মুক্তির পথে আহবান’ পাঠের আলোকে তোমর মত উপস্থাপন কর।
২.প্রবাল ও প্রতীক একটি ফার্মে কাজ করেন। প্রতীক প্রবালের চেয়ে বয়সে ছোট হলেও তার দক্ষতা ও যোগ্যতা অনেক বেশি। আর সে কারণেই অফিসের বড় পদটিতে প্রতীক কাজ করার সুযোগ পায়। এদিকে প্রবাল প্রতীকের এ সম্মান মেনে না নিয়ে তার কাজের অপপ্রচার চালায় ও বিভিন্ন কুৎসা রটায়। সময়ের ব্যবধানে প্রবাল অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতীক তাকে প্রতিদিন দেখতে যায় এবং প্রবালের পরিবারের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। প্রতীকের এ মহৎ কাজ প্রবালকে সত্যিকার বন্ধু পেতে সহায়তা করে।
ক. সাধু পলের পিতামাতা কোন গোষ্ঠীর লোক ছিলেন।
খ. পবিত্রতা বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের প্রবালের মাঝে সাধু পলের আচরণের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা ‘ আমার স্বাধীনতা ও সমাজ’ পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রতীক যীশুর প্রতিনিধি হয়েই যেন কাজ করছে- মন্তব্যটির স্বপক্ষে তোমার মত উপস্থাপন কর।
৩. কলিদের পাঁচতলা বাড়ির পাশেই একটা বস্তি আছে। সেখানে তার সমবয়সী কয়েকজন ছেলেমেয়ে আছে। তাদের জীবন- যাত্রা, জামা-কাপড়, খেলাধুলা ইত্যাদি দেখে সে মনে মনে কষ্ট পায়। তার মাকে বলে,‘ওদের এত কষ্ট কেন মা? আমারতো অনেক আছে, ওদের নাই কেন? আমি ওদের জন্য কিছু করতে চাই।’ মা বললেন, ঠিক আছে। তারপর কলি বাজার থেকে তাদের জন্য নতুন জামা- কাপড়, খেলনা ইত্যাদি কিনে এনে রঙিন কাগজ দিয়ে মোড়ায়। পরে একদিন বস্তির বন্ধুদের বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাওয়ায় এবং উপহারগুলো নিজ হাতে তুলে দেয়। এতে বন্ধুরা খুব খুশী হয়।
ক. মানব সমাজের দুইটি দিকের দ্বিতীয় দিকটির নাম কী?
খ. আমরা কীভাবে মানুষ হওয়ার আহবানে সাড়া দেব?
গ. উদ্দীপকে কলির মনোভাবের মধ্যে খ্রিষ্টীয় আদর্শের যে দিকটির প্রকাশ পেয়েছে তা ‘ স্বাধীনতায় বেড়ে ওঠা’ পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘কলি ও বস্তির ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্য দিয়েই তার স্বাধীনতায় বেড়ে ওঠা প্রকাশ পায়- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
৪. পিতামাতার দুই সন্তান আবির ও সুবির। আবির অধ্যবসীয়। সে পিতামাতার কথা শোনে, গুরুজনদের শ্রদ্ধা করে, কারও সাথে সে ঝগড়া বিবাদ করে না। কিন্তু সুবির মেধাবী হলেও সে পিতামাতা বা গুরুজনদের কথা শোনে না, খারাপ ছেলেদের সাথে চলাফেরা করে। আবির ও সুবির দু’জনই ঢাকায় থেকে কলেজে পড়তে আগ্রহী। মা তাদের এমন আগ্রহের কথা জানতে পেরে বলেন, ‘তোমাদের ঢাকায় লেখাপড়া করাতে আমাদেরও ইচ্ছা ছিল, কিন্তু তাতে তোমাদের ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়ায় সমস্যা সৃৃষ্টি হবে।’ মায়ের কথায় আবির ঢাকায় না গিয়ে গ্রামের এক কলেজে ভর্তি হয়।
ক. বিজাতীয়দের রাজার নিজেদের প্রজাদের ওপর কী চালায়?
খ. বড়দের কনিষ্ঠদের মতো হতে হবে কেন?
গ. যীশুর যে শিক্ষা মনে রেখে আবির গ্রামের কলেজেই মনোযোগের সাথে লেখাপড়া করছে তা ‘ স্বাধীনতা ও বাধ্যতা’ পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুবিরে আচরণে কি স্বাধীনতার সঠিক ব্যবহার লক্ষ করা যায় বলে তুমি মনে কর? যৌক্তিক মত উপস্থাপন কর।
৫. তনয়, সোহেল, চঞ্চল, প্রতিমা ও অভি অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিক্ষাঙ্গনে তাদের অবদান অনেক। সোহেল পড়াশুনায় একটু দুর্বল। তাই বন্ধু মহল থেকে নিজ থেকেই দূরে সরে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে সে দুষ্ট বন্ধুদের সাথে মেলামেশা আরম্ভ করে। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। নিয়মিত স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। অভি সোহেলের ঘটনাটি লক্ষ করে স্কুল ছুটির পর একদিন সোহেলের বাড়ি গিয়ে বিস্তারিত জানে। সোহেলের মানিসক অবস্থা বুঝতে পেরে তাকে সঠিক পথে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট সময় ব্যয় করে। তাকে পড়াশুনা বুঝতে সাহায্য করে, সৎ পথে ফিরে আসতে উৎসাহিত করে।
ক.মানুষের জন্মের উদ্দেশী কী?
খ. বন্ধুত্ব গড়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ভূমিকা ব্যাখা কর।
গ. অভি সোহেলের যে ধরনের বন্ধু তা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সোহেল ভালো-মন্দ বন্ধুর দ্বারা প্রভাবিত- মন্তব্যটি ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ পাঠের আলোকে বিশ্লষণ কর।
৬. পলি ওতুলি দুজনই প্রতিবেশী ও বান্ধবী। যেখানেই যায় তারা একসাথে যায়। দুজনেই প্রতিজ্ঞাবন্ধ যে একজন অপরজনের বিপদে আপদে সবসময় পাশে থাকবে। তুলিদের পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না বলে পলি তাকে প্রায়ই সাহায্য সহযোগিতা করত। একদিন তারা রাস্তায় চলার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। ছিনতাইকারীরা পলির গলা থেকে স্বর্ণের গহনা খুলে নিতে চেষ্টা করলে তুলি তাকে সাহায্য না করে নিজে বিপদমুক্ত হবার প্রচেষ্টায় ঐ স্থান দ্রুত ত্যাগ করে।
ক. সাধু পল কয়টি ঐশগুণের কথা তুলে ধরেন?
খ. ঈশ্বর মানুষকে তার প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করলেন কেন?
গ.পলির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ভালোবাসার যে শিক্ষা প্রতিফলিত তা তোমার পঠিত পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুলির আচরণ পরিবর্তন না করলে তার পরিণতি কেমন হবে বলে তুমি মনে কর? যৌক্তিক মত দাও।
৭. শ্রেণি শিক্ষক ফরিদ স্যার আসিফ ও রুবেলকে ক্লাস ক্যাপ্টেন নিযুক্ত করে শ্রেণির শৃঙ্খলা রক্ষা করা, শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন রাখা, শ্রেণির কাজ বাড়ির কাজের খাতা জমা নেওয়া, ফেরত দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলো করতে বললেন। আসিফ স্যারের কথামতো তার ওপর অর্পিত সবগুলো কাজ সময়মত সম্পন্ন করে। অপরদেিক রুবেল মেধাবী ছাত্র হয়েও সঠিকভাবে ও সময়মত কাজগুলো সম্পাদন করতে পারে না।
ক. স্বাধীনতার সাথে কার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে?
খ. স্বাধীনতা কীভাবে কুলষিত হয়?
গ. শিক্ষকের আহবানে সাড়া দেওয়ার মধ্য দিয়ে আসিফের মাঝে স্বাধীনতা অর্জনের যে বিষয়টি প্রতিফলিত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রুবেল তার কাজের মাধ্যমে জীবনের সৌন্দের্য্যরে বিকাশকে বাধা গ্রস্থ করছে বলে তুমি মনে কর কি? ‘স্বাধীনতা ও জীবনাহবান’ পাঠের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৮. রিনা মেধাবী হলেও চঞ্চল প্রকৃতির। তার চঞ্চলতায় রয়েছে ছলনা। দুষ্টমির ছলে মিথ্যা কথা বলে এক অপরের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে। এমনকি ফাদারের নামে মিথ্যা কথা বলে। সহপাঠীরা ফাদারের কাছে সব কথা বলে এবং ম-লীর সদস্যপদ বাতিল করার আবেদন করে। ফাদার রিনাকে কাছে নিয়ে মাথায় হাত রেখে অনেক বোঝায়, ঈশ্বরের বাণী শোনায়, ঈশ্বরের মহান ভালোবাসা ও অপার দয়ার কথা বলে। পরামর্শ দেন, প্রার্থনা কর যেন যীশু তোমাকে বোঝার শক্তি দেন। ফাদার তাকে ক্ষমা করে নতুন জীবনের সন্ধান দেখান।
ক. বাংলায় ‘সংস্কার’ কথাটি অর্থ কী?
খ. নিরাময়কারী যীশু এ জগতে এসেছেন কেন?
গ. যার অনুপ্রেরণায় ফাদার রিনাকে কাছে টেনে নিয়েছেন তা ‘অসুস্থ বিশ্বের নিরাময়’ পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর?
ঘ. ফাদারের অনুপ্রেরণায় রিনা শাশ্বত জীবন পেয়েছে বলে বলে কি তুমি মনে কর? যৌক্তিক মত উপস্থাপন কর।
৯. পিয়াসের শৈশবকাল ছিল খুবই সুন্দর। বরাবরই সে শ্রেণিতে ভালো ফল করত। মা-বাবা তাকে নিয়ে খুবই গর্বিত ছিলেন এবং ভবিষ্যতে সে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে বলে তাদের ধারণা ছিল। নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নাবস্থায় তার পিতামাতা লক্ষ করছেন যে, পিয়াস খরাপ ছেলেদের সাতে চলাফেরা করে পরীক্ষায় খারাপ ফল করছে। সন্ধ্যার পূর্বে তো পিয়াস বাড়ি ফিরেই না বরং মাঝে মাঝে অনেক রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরে। তার পিতামাতা তাকে নিয়ে অনেক চিন্তিত। তাকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে তারা অনেক চেষ্টা চালাচ্ছেন কিন্তু প্রতি পদক্ষেপেই তারা ব্যর্থ হচ্ছেন। একসময় মা বাবা জানতে পারে এক জটিল রোগ পিয়াসের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে।
ক. মূল্যবোধের সাথে কীসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে?
গ. যে শিক্ষাকে অবলম্বন করে পিয়াস জীবন পরিচালনা করতে পারত তা ‘ বিবেকের নীরব কণ্ঠস্বর’ পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পিয়াস তার বর্তমান পথ থেকে ফিরে আসতে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা ‘বিবেকের নীরব’ কণ্ঠস্বর পাঠের আলোকে তুলে ধর।
১০. আরজু সাহেব একজন শিল্পপতি। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক লোকদের সাথে কিছু সংখ্যক অস্বাভাবিক লোকদের নিয়োগ দেন। যাকে দারোয়ান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার স্বাস্থ্য খুবই দুর্বল। গেইটে বসে অনেক সময় ঘুমাতে থাকেন। ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। ফলে তাকে সহকর্মীদের কাছ থেকে তিরস্কার পেতে হয়। এদিকে টেলিফোন অপারেটনর চন্দন ও সবসময় চুপচাপ থাকেন। দেখলে মনে হয় খুবই চিন্তিত। জনগণ তার কাছে কিছু জিজ্ঞানা করলে একটির বেশি দুইটি কথা বলেন না। অন্যমনস্কভাবে থাকেন। ফলে জনগণ তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পায় না।
ক. মানুষের হয়ে কে সবচেয়ে বেশি কষ্ট স্বীকার করেছেন?
খ. দুঃখ কষ্ট সবার জীবনে অনিবার্য কেন?
গ. উদ্দীপকের দারোয়ানের মাঝে যে ধরনের কষ্ট বিদ্যামান তা ‘হৃদয়ের তীব্র যন্ত্রণা’ পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কষ্ট সম্পর্কে যীশুর শিক্ষা চন্দনের মনোভাবে পরিবর্তন করতে পারে-মন্তব্যটি ‘হৃদয়ের তীব্র যন্ত্রণা’ পাঠের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
১১. শতাব্দী হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে। হোস্টেলের সব নিয়ম কানুন সে মেনে চলে। প্রতিদিন সকালে যে গির্জায় যায়। একদিন সকালে গির্জায় যাবার সময় সে দেখতে পায় হোস্টেলের যে দিদি রান্নার কাজ করে তিনি প্রচ- জ্বরে ভুগছেন। তখন সে তার কাছে গিয়ে তাকে ঔষধ খাওয়ানোসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আসে। ফলে ধীরে ধীরে হোসেলের দিদি সুস্থ হয়ে ওঠে।
ক.যীশু ক্রুশের উপর জীবন বিসর্জন দিয়ে মানুষের প্রতি কী প্রকাশ করেছেন?
খ. প্রাচীনকালে অন্যায্যতাকে সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব হয়নি কেন?
গ. শতাব্দীর মাঝে সমাজ পরিবর্তনে খ্রিষ্টের দেখানো যে দিকটির প্রকাশ ঘটেছে তা ‘পরিবর্তিত বিশ্ব চাই’ পাঠের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শতাব্দীর আচরণে প্রকাশ পেয়েছে যীশুর পথ অনুসরণ-কথাটি ‘পরিবর্তিত বিশ্ব চাই’ পাঠের আলোকে বিশ্লেষণ কর। চলবে...