ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ দলকে পুরস্কার প্রদান

চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ ফুটবলে দল বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ ফুটবলে দল বাড়ছে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছরের ২৯ অক্টোবর ৮টি দলকে নিয়ে মাঠে গড়ায় ‘মার্সেল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ’ ফুটবল। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি শেষ হয় প্রথম শ্রেণীর এই ফুটবল লীগ। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব ১৪ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার লীগে উন্নীত হয়। প্রথমবারের মতো অংশ নেয়া সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবও ২৬ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগে নাম লেখায়। শনিবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভবনের সম্মেলন কক্ষে হয় এই লীগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ট্রফি এবং উভয়দলের ফুটবলারদের মেডেল পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের আরিফুর রহমান। লীগে তার গোলসংখ্যা ৬। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মতিন মিয়া। তাদের উভয়কেই দেয়া হয় ৩২ ইঞ্চি ওয়ালটন এলইডি টিভি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জানান হয়, আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে দুটি দল বেড়ে ১০-এ উন্নীত হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লীগের টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, বাফুফে সদস্য ও প্রফেশনাল ফুটবল লীগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, বাফুফে সদস্য ইলিয়াছ হোসেন, জাকির আহমেদ চৌধুরী, ওয়ালটনের সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর এ্যান্ড হেড অব দি ডিপার্টমেন্ট (স্পোর্টস এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার) এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) এবং দুই ক্লাবের উর্ধতন কর্মকর্তা ও ফুটবলাররা। ডন বলেন, ‘এই লীগের শীর্ষ দুই দলকে অভিনন্দন। তাদের পুরস্কৃত করতে পেরে আনন্দিত। ইনশাল্লাহ্ আগামীতেও এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান করতে চাই এবং চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের সঙ্গে থাকতে চাই।’ উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২২ বছর পর আবারও দেশের শীর্ষ ফুটবল আসরে ফিরে ঐতিহ্যবাহী ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের শিরোপা জয় করেই তারা আগামী মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। প্রায় দুই যুগ পরে শীর্ষ স্তরে ফেরার আনন্দের মাঝেই হারিয়ে যেতে চায় না ফকিরেরপুল, দাপটের সঙ্গেই চলতে চায় সামনের পথ। ১৯৬২ সালে রাজধানীর ফকিরেরপুল এলাকায় ক্লাবটির প্রতিষ্ঠা হলেও এর আগে তাদের সেরা সাফল্য ছিল প্রথম বিভাগ লীগ চ্যাম্পিয়ন পর্যন্ত। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগ থেকে অবনমিত হওয়ার পর আরমান মিয়া, নজরুল ইসলাম, মাসুদ রানা, মাকসুদুল আমিন রানা, শাহেদুল আলমসহ অনেক জাতীয় তারকা ফুটবলার তৈরি করা ফকিরেরপুল আর শীর্ষ স্তরের ফুটবলে ফিরতে পারেনি। মাঝে ২০১০ ও ২০১৪ সালে দুবার ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লীগ জিতে খেলে ২০১৫ সালের বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে। গত মৌসুমে ১ পয়েন্টের জন্য অবনমিত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়ে গঠন করে শক্তিশালী দল। বাজেট বেশি ছিল না, তবে লক্ষ্য ছিল অটুট। অনেক অর্থ খরচ করা দলগুলোকে টপকে ফকিরেরপুল জিতে নেয় শিরোপা। তরুণ ফুটবলার তৈরির জন্য বেশ নামও ছিল তাদের। তারকায় ঠাসা আবাহনীর মতো বড় দলকে হারিয়ে ইয়ংমেন্স ক্লাব ফুটবলে দারুণ সাড়া জাগিয়েছিল ৯০ দশকে। সে সময় তাদের এক ঝাঁক ফুটবলার বড় দলে জায়গা করে নেয়। কেউ কেউ জাতীয় দলেও ঠাঁই করে নিয়েছিলেন।
×