ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কার্ড দেয়ার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ ॥ দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কার্ড দেয়ার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ ॥ দুই কাউন্সিলরের  বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার লোভ দেখিয়ে এক নারীকে নিয়ে ফুর্তি করায় ফেঁসে গেছেন গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার দুই কাউন্সিলর। ঘটনার ৫ দিন পর ওই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। এরপর থেকে তারা পলাতক রয়েছে। তবে তারাও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টফ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে গোদাগাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ভিকটিম ওই নারীকে বাদী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসিসির পুলিশ পরিদর্শক নাজমা বেগম। শুক্রবার রাতে মামলাটি হাতে পেয়েছেন বলে জানান, গোদাগাড়ি থানার ওসি হিপজুল আলম মুন্সি। মামলার আসামিরা হলেন, পৌরসভার ৫ নম্বর কাউন্সিলর গোলাম মোর্ত্তজা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজান। এদের মধ্যে গোলাম মোর্ত্তজা পৌরসভার প্যানেল মেয়র। তার বাড়ি পৌরসভার মহাদেবপুর এলাকায়। আর মিজানের বাড়ি ব্রাহ্মণগ্রামের হটাৎপাড়ায়। ওসিসির পরিদর্শক নাজমা বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার ওসিসিতে ভিকটিমকে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষা করে ভিকটিমকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করা হয়। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যার পর কাউন্সিলর গোলাম মোর্ত্তজা ও মিজানুর রহমান পৌরসভার রেস্ট হাউসে এক নারীকে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের ওই কক্ষে নারীসহ অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বাধা দেন। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে কাঁকনহাট তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশ জনগণের রেষানল থেকে উদ্ধার করে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এর পরেদিন ওই নারীকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। এদিকে মামলার এজাহারে ওই নারী যা উল্লেখ করেন, দেড় বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। বিধবা হওয়ায় কাঁকনহাট পৌরসভার কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র গোলাম মোর্ত্তজা (৫০) ও কাউন্সিলর মিজানের কাছে একটি বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য আবেদন করেন। তারা কাড দেয়ার জন্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় কাকনহাট পৌরসভায় ডাকে। তাদের কথামত যথাসময়ে পৌরসভায় গেলে মতোজা কাউন্সিলর তাকে পৌরসভার দুই তলায় গিয়ে বসতে বলে। তিনি অনেকখন বসে থাকার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাউন্সিলর গোলাম মর্তুজা ও মিজান পৌরসভার দ্বিতীয় তলায় বসে থাকার রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় তিনি দরজা বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তারা বলে কোন সম্যসা নেই জানিয়ে বলে কার্ড নিতে হলে তাদের খুিশ করতে হবে। তাতে তিনি আপত্তি করলে দুই কাউন্সিলর তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয় দেখিয়ে পরেরদিন বিধবা ভাতার টাকা আনতে যেতে বলে।
×