ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে চাল সংগ্রহে গতি নেই

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ময়মনসিংহে চাল সংগ্রহে গতি নেই

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ জেলায় সরকারের চাল সংগ্রহ অভিযানে কোন গতি আসছে না। গত ২০১৬ সালের পহেলা নবেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচী শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ। অভিযান শুরুর গত ৩ মাসে ১৩ হাজার ৪৪ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযানে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ২৮৭ টন। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মিল মালিকদের অনীহার কারণে ময়মনসিংহে এই আশঙ্কা করা হচ্ছে। খাদ্য বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা বরাদ্দের চাল সরবরাহে ব্যর্থ হলে কালোতালিকাভুক্ত করা হবে। ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানায়, কেজিপ্রতি ৩৩ টাকা নির্ধারণ করে গত পহেলা নবেম্বর থেকে সরকার চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করে। জেলায় ২০ হাজার ২৮৭ মেট্রিক টন চাল কেনার জন্য স্থানীয় খাদ্য বিভাগ ৫৭৯ জন মিল মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তির পর থেকেই ধানের বাজার দর বেড়ে যাওয়ায় অভিযানে গতি কমে আসে। ফলে গত ৩ মাসের অভিযানে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাল সংগ্রহ হয় অর্ধেকের কিছু বেশি ১৩ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন। স্থানীয় মিল মালিকরা জানায়, সরকার প্রতি কেজি চালের দাম নির্ধারণ করেছে ৩৩ টাকা। এ সময় বাজারে প্রতি মণ ধান কিনতে হচ্ছে তাদের ৯৫০ টাকা এক হাজার টাকায়। প্রতি মণ ধান থেকে যে চাল হয় তাতে করে প্রতি কেজি চালের উৎপাদন খরচ পড়ে ৩১ টাকার বেশি। এর সঙ্গে চটের ব্যাগ ও পরিবহনসহ লেবার খরচ রয়েছে। ফলে সরকার চালের যে দর নির্ধারণ করেছে তাতে করে মিল মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এতে করে মিল মালিকদের মধ্যে চাল সরবরাহে অনীহাভাব দেখা দেয়ায় অভিযান চলছে ধীরগতিতে। ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকার হৃদয় অটো রাইস মিলের মালিক মুজিবুর রহমান জানান, বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারী ক্রয় মূল্যে চাল সরবরাহ করতে গিয়ে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে চুক্তির পরও অনেক মিল মালিক চাল সরবরাহ করতে পারছে না। ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম জানান, চুক্তির পর যেসব মিল মালিক নির্ধারিত সময়ে চাল সরবরাহে ব্যর্থ হবে তাদের কালোতালিকাভুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে।
×