ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চামড়া পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ধীরগতি

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চামড়া পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ধীরগতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শিল্পনীতি ২০১৫-তে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে। প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ারও ঘোষণা করা হয় এ শিল্পের পণ্যকে। তারপরও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে তেমন উদ্যোগ নেই রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি), এমন অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ দাবিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, উদ্যোক্তার অভাবেই বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই সঙ্গে মার্চের পর নতুুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে ইপিবি। বছরের শুরুতেই চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণায় বোঝা যায়, সরকার কতটা গুরুত্ব দিয়েছে এ শিল্পকে। সরকারের শিল্পনীতিতে উচ্চ অগ্রাধিকারও পেয়েছে অমিত সম্ভাবনার এ খাত। তবে তা কাজে লাগাতে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ? রফতানি চিত্র বলছে, গত অর্থবছর মোট ৮০টি দেশে রফতানি হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এর ৮০ শতাংশই গেছে ১০টি দেশে। আর গত পাঁচ বছরে পুরনো বাজারে খুবই সীমিত পরিসরে দু’একটি নতুন পণ্য যোগ হলেও সৃষ্টি হয়নি একটিও নতুন বাজার। এমন অবস্থার জন্য ইপিবির দুর্বলতাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের দেশের চামড়ার মান বিশ্বে দ্বিতীয়। আমাদের বাজারজাত করণের পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকাতে যেতে হবে। নতুন নতুন বাজার তৈরি করতে হবে। ইপিবির পাল্টা অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের সীমাবদ্ধতাই বাজার সম্প্রসারণ না হওয়ার কারণ। কয়েক মাসের মধ্যে নতুন করে কাজ শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। রফতানি বাড়াতে সাভারের নতুন শিল্পনগরীর পরিবেশবান্ধব ইমেজ কাজে লাগানোর তাগিদ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। তারা বলেন, সামগ্রিকভাবে চামড়া খাতের যে নতুন ইমেজ গড়ে উঠবে তা বিদেশে কাজে লাগাতে হবে। বিদেশের বড় প্রদর্শনীতে জায়গা পেতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারেরও পরামর্শ তাদের।
×