নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১১ ফেব্রুয়ারি ॥ বাউফলের সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাকে বিতর্কিত করতে একটি মহল কয়েকটি ছবি পুঁজি করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। একটি অনলাইনের মাধ্যমে প্রথম এ অপপ্রচার শুরু হয় এবং ছবিগুলো ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এর সূত্র ধরে একটি বেসরকারী টেলিভিশনে টকশো করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে যে সব ব্যক্তি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবা মিষ্টিমুখ করিয়েছেন, তাদের কেবল আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও তারা যে একে অপরের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন তা প্রকাশ করা হয়নি। প্রকৃত ঘটনা হলো, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করার পর তার নিজ এলাকা বাউফল উপজেলার চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ মজিবুর রহমান, পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল,
তার নিজ ইউনিয়ন নওমালার চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদার, দাশপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান এন জাহাঙ্গীর হোসেন, আদাবাড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর উল্লাহ, বগা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জামাল আহম্মেদ গত বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) উত্তরার বাসভবনে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মিষ্টিমুখ করান। এদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ মজিবুর রহমান ছাড়া অন্য সবাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের গ্রামের বাড়ি নওমালা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বাড়ির কাছে। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা। তার নিজ ইউপির চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদার সম্পর্কে নাতি হন। আদাবাড়িয়া ও বগা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান যথাক্রমে জাহাঙ্গীর উল্লাহ ও জামাল আহম্মেদ সম্পর্কে ভাগ্নে হন। তাদের পারিবারিক পরিচয় প্রকাশ না করে কেবল দলীয় পরিচয় প্রকাশ করায় এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করেছেন এলাকার লোকজন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: