ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

তিনদিনের এশিয়ান কিউরেটোরিয়াল ফোরামের সমাপ্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

তিনদিনের এশিয়ান কিউরেটোরিয়াল ফোরামের সমাপ্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আধুনিক বিশ্বে শিল্পকলার অপরিহার্য অনুষঙ্গ হচ্ছে কিউরেটিং। শিল্পীর সৃজিত শিল্পকর্মটি নান্দনিক উপস্থাপনে জুড়ি নেই কিউরেটরের। শিল্প সংরক্ষণেও কিউরেটরের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্ববহ। তবে এদেশে এখনও সেভাবে ভিত্তি অর্জন করেনি পেশাদার কিউরেটর বা কিউরেটিং। আর কিউরেটিংকে পেশাদারিত্বে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো সমসাময়িক কিউরেটোরিয়াল চর্চার ওপর আলোচনাভিত্তিক আয়োজন এশিয়ান কিউরেটোরিয়াল ফোরাম। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার থেকে সূচনা হওয়া তিনদিনের এ ফোরামের সমাপনী দিন ছিল শনিবার। শিল্পের আলোচনানির্ভর এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন এশিয়ার ১০টি দেশের ১২ জন পেশাদার শিল্পী ও কিউরেটর। তিনদিনের ফোরামে শিল্প কিউরেটিং বিযয়ে বিভিন্ন ধারণা ও চর্চার ক্ষেত্র নিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনার মাধ্যমে গুরুত্ব তুলে ধরছেন এই কিউরেটর ও শিল্পীরা। যৌথভাবে এ ফোরামের আয়োজন করে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, বৃত্ত আর্টস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, তাইওয়ানের কুয়ান্দু চারুকলা জাদুঘর এবং দেশটির জাতীয় সংস্কৃতি ও শিল্পকলা ফাউন্ডেশন। শনিবার সকালের অধিবেশনে এশিয়ার অন্যতম আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব ছবিমেলা নিয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন আলোকচিত্রী মুনেম ওয়াসিফ। এরপর অনুষ্ঠিত হয় মূল আলোচনা পর্ব। এদিনের বিষয় ছিল ‘ওল্ড ন্যারেটিভ, নিউ পারস্পেক্টিভ’। এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কিউরেটর হেমা সিভানেসান, ভিয়েতনামের জিরো স্টেশন নামক আর্ট স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা নুহুই গ্যেন ও তাইওয়ানের কুয়ান্দু জাদুঘরের কিউরেটর। আলোচনায় বক্তারা তুলে ধরেন নিজ নিজ দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস কিভাবে শিল্পের ইতিহাসে প্রভাব বিস্তার করেছে সে তথ্য। সেই সঙ্গে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমকালীন শিল্পধারার সঙ্গে নিজ দেশের মূল্ধারার শিল্পচর্চার ইতিহাসের সম্পর্কের জটিল রূপরেখা নিয়েও আলোচনা করেন। ফোরামের অংশ হিসেবে আজ রবিবার থেকে শুরু হবে কিউরেটিং বিষয়ক দুইদিনের কমর্শালা। এতে অংশ নেবেন উন্মুক্ত আহ্বানের মাধ্যমে নির্বাচিত ১০ জন বাংলাদেশী তরুণ কিউরেটর। এই নবীন কিউরেটরদের নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটি পরিচালনা শ্রীলঙ্কার শারমিনি পেরেইরা, তাইওয়ানের নিয়েন পু এলিস কো এবং মালয়েশিয়ার লিয়ান হেং ইয়হ। এশিয়ার ১০ দেশের শিল্পী ও কিউরেটরদের অংশগ্রহণে তিনদিনের এ ফোরামে এশিয়া মহাদেশে শিল্প কিউরেটিং বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা ও চর্চার ক্ষেত্র নিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা হয়েছে। উচ্চারিত হয়েছে শিল্পের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় একজন কিউরেটরের নানামুখী ভূমিকার কথা। পাশাপাশি এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠান, গ্যালারি, আর্ট ফেস্টিভাল, জাদুঘর ইত্যাদি বিষয়ে উপস্থাপনার মাধ্যমে এশিয়ার আর্ট ও কিউরেটিংয়ের নিজস্ব ধারাটিও মেলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়া এশিয়ান কিউরেটোরিয়াল ফোরামে অংশগ্রহণকারী অন্য কয়েকটি দেশ হলো চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভারত। শহীদ মিনারে একুশের অনুষ্ঠানমালা ॥ চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। কৃতজ্ঞতা ও প্রাণের ভালবাসায় স্মরণ করা হচ্ছে ভাষা শহীদদের। ভাষা আন্দোলনের স্মৃতির স্মারক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গান কবিতায় জানানো হচ্ছে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। এখানে চলছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত অমর একুশের অনুষ্ঠান। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’ সেøাগানে দুই সপ্তাহব্যাপী চলমান এ অনুষ্ঠানমালার চতুথ দিন ছিল শনিবার। বিকেল থেকে রাত অবধি চলা এদিনের আয়োজনে পরিবেশিত হয়েছে গান, কবিতা ও পথনাটক। সম্মিলিত সুরের আশ্রয়ে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী ও মিরপুর সাংস্কৃতিক একাডেমি। একক কণ্ঠে গান শোনান বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, রোকাইয়া হাসিনা ও হালিমা পারভীন। পথনাটক পরিবেশন করে রঙ্গপীঠ নাট্যদল ও ভিশন থিয়েটার। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি ও স্বরকল্পন আবৃত্তি চক্র। একক কণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন মাহমাদুল হাকিম তানভীর ও জাহিদুর রহমান। শিশু-কিশোর পরিবেশনায় অংশ নেয় শিল্পবৃত্ত। বৃন্দ নৃত্য উপস্থাপন করে দলীয় নৃত্যদল দিব্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে ঝর্ণা আলমগীর। আজ রবিবার শহীদ মিনারে অমর একুশে অনুষ্ঠানমালার পঞ্চম দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে চারটায়। বিভিন্ন সংগঠন পরিবেশন করবে দলীয় আবৃত্তি, একক আবৃত্তি, দলীয় সঙ্গীত, একক সঙ্গীত, দলীয় নৃত্য, শিশু-কিশোর পরিবেশনা ও পথনাটক। কেরানীগঞ্জে উদীচীর লোক-সাংস্কৃতিক উৎসব ॥ উদীচীর দর্শকনন্দিত প্রযোজনা ‘ইতিহাস কথা কও’-এর ৪০ বছর পূর্তিতে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় লোক-সাংস্কৃতিক উৎসব। কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর রামেরকান্দা ইস্পাহানি ডিগ্রী কলেজ মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসব উদ্বোধন করেন অভিনেতা জামিলুর রহমান শাখা।
×