ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার ঘোষিত বেতন ভাতা বাস্তবায়নে ফের লাইটার শ্রমিক ধর্মঘট

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সরকার ঘোষিত বেতন ভাতা বাস্তবায়নে ফের লাইটার শ্রমিক ধর্মঘট

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ফের ধর্মঘট শুরু করেছে চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ শ্রমিকরা। ইতোপূর্বে সরকার ঘোষিত বেতন-ভাতা বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১০টা থেকে পুনরায় ধর্মঘট শুরু করে তারা। তবে শ্রমিকদের একটি অংশ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালিক পক্ষকে বেতন-ভাতা বাস্তবায়নের সময় দিয়েছে। বড় অংশটি ধর্মঘটে নেমেছে। ফলে বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজ থেকে পণ্যের উঠানামার কাজ বন্ধ থাকায় বন্দর এলাকার ১৬টি ঘাটে পণ্যের খালাস কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) সূত্রে জানানো হয়েছে, আকস্মিকভাবে শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেছে। কিন্তু শ্রমিকরা বলেছে, তারা বহু আগে থেকে বার বার আল্টিমেটাম দিয়ে আসছে। কিন্তু মালিক পক্ষ তা মানছে না। ফলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া তাদের জন্য বিকল্প কোন পথ খোলা ছিল না। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মালিক পক্ষকে দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। তারা ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সময় দেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের আরেকটি পক্ষ বলেছে, সংগঠনের এ সিদ্ধান্ত তারা মানে না। কারণ সরকার শ্রমিকদের জন্য বেতন-ভাতা নির্দিষ্ট করে ঘোষণা করেছে। মালিকরা তা বাস্তবায়নের অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এ অবস্থায় বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে শ্রমিকরা জীবনমান নিয়ে কষ্টে রয়েছে। এ অবস্থায় ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া তাদের আর কোন গত্যন্তর নেই। এদিকে, বন্দর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টার পর থেকে শ্রমিকদের বড় একটি অংশ কাজ না করার কারণে পণ্যের লাইটারিং হচ্ছে না। ফলে বড় জাহাজগুলো অলস অবস্থায় রয়েছে। এসব জাহাজকে বড় অঙ্কের ডেমারেজ গুনতে হবে। যা জাহাজ মালিকদের জন্য মাসুল দিতে হবে। জানা গেছে, যেসব লাইটার জাহাজ মালিক বেতন ভাতা দেবে সেসব জাহাজ ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদা পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে চলাচল করতে পারবে। কিন্তু তার আগেই শনিবার থেকে শ্রমিকদের ঐ অংশের ধর্মঘটে যাওয়ার বিষয়টি বোধগম্য নয়। শ্রমিক নেতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মালিকরা শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্তি এনেছে। ফলে একটি অংশ ধর্মঘটে যেতে চায় না। সময় দেয়ার নামে অহেতুক কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। সুবিধাবাদী শ্রমিকদের নেতৃত্ব প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সরকার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঘোষণা করেছে, সেখানে তা আদায় করার জন্য এত দেন দরবার করার কোন কারণ নেই। ডব্লিউটিসি সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে শীঘ্রই একটি সমাধানে যাওয়ার জন্য তারা তৎপরতা শুরু করেছে।
×