ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে উদ্বোধন করলেন আইজিপি

জঙ্গী দমনে পুলিশের বিশেষ কমান্ডো কোর্স চালু

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জঙ্গী দমনে পুলিশের বিশেষ কমান্ডো কোর্স চালু

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশ সদস্যদের জঙ্গী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশেষ কৌশলের প্রশিক্ষণের জন্যে বিশেষায়িত কমান্ডো কোর্স চালু করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের পর কমান্ডোরা জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের যেকোন অপতৎপরতা রোধ করতে সক্ষম হবে। এর ফলে জঙ্গী দমনে পুলিশ সদস্যদের বিশেষ সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে এপিবিএন স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশ কমান্ডো কোর্সের (পিসিসি-১) উদ্বোধন শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি সম্প্রতি জঙ্গী ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি বিভাগে অন্তত একটি করে কমান্ডো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টিম রাখা হবে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দলের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার বিষয়ে আইজিপি বলেন, যেকোন সন্ত্রাসীর ক্ষেত্রে সরকারের জিরো টলারেন্স। এখানে সকল বাহিনী যৌথভাবে অপতৎপরতা মোকাবেলা করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তাছাড়া দেশে বড় ধরনের জঙ্গী-সন্ত্রাসী হামলা কিংবা আপৎকালীন যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নিয়মিতভাবে কমান্ডো প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বিশ^মানের পুলিশের এ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ। এখানে কমান্ডো প্রশিক্ষণের ‘স্ট্যান্ডার্ড’ বজায় রাখা হবে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ সফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রেনিং এ্যান্ড স্পোর্টস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের অধিনায়ক আওরঙ্গজেব মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হ্লাচিংপ্রু। এ সময় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোঃ মজিদ আলীসহ উর্ধতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলাসহ বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র জঙ্গী হামলার প্রেক্ষাপটে পুলিশবাহিনীর সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্যে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামসহ সব ধরনের ‘লজিস্টিক সাপোর্ট’ দিয়ে পুলিশের কমান্ডো ফোর্সকে সুসজ্জিত করা হবে। যাতে তারা যেকোন সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। এর আগে কঠোর প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে সাধারণত সশস্ত্র বাহিনীতে কমান্ডো বা প্যারা কমান্ডো তৈরি করা হয়েছিল। এর আগে আইজি খাগড়াছড়ি নতুন পুলিশ লাইন্স স্কুলের সম্প্রসারিত ভবনসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সূত্রমতে, গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ভারতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৪০ সদস্য কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফেরেন। এদের মধ্যে এক নারী সহকারী পুলিশ সুপারসহ পাঁচ নারী পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এখন প্রশিক্ষিত ওইসব সদস্য অন্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা কমান্ডো ট্রেনিংয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএমপির বিশেষায়িত কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, সোয়াতসহ বিভিন্ন টিমের অভিজ্ঞ চৌকস কর্মকর্তারা এ কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেবেন। এরপর পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক পুলিশ কমান্ডো ট্রেনিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, এটিই হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশে কমান্ডো ফোর্স তৈরির প্রথম কার্যক্রম। এর আগে কঠোর প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে সাধারণত সশস্ত্র বাহিনীতে কমান্ডো বা প্যারা কমান্ডো তৈরি করা হতো। প্রথম দফায় কনস্টেবল থেকে এএসপি পদমর্যাদার মোট ৪৪ জন অংশ নিচ্ছেন। দেশ-বিদেশে এবং সেনাবাহিনীতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৭ প্রশিক্ষক টানা আট সপ্তাহ ধরে এই ট্রেনিং পরিচালনা করবেন। জানা গেছে, দেশে বড় ধরনের জঙ্গী-সন্ত্রাসী হামলা কিংবা আপৎকালীন যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নিয়মিতভাবে কমান্ডো প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশ বাহিনীর সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামসহ সব ধরনের ‘লজিস্টিক সাপোর্ট’ দিয়ে পুলিশের কমান্ডো ফোর্সকে সুসজ্জিত করা হবে। যাতে তারা যেকোন সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।
×