ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই বিশেষ অভিযান

জঙ্গী গোষ্ঠী, সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জঙ্গী গোষ্ঠী, সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ

শংকর কুমার দে ॥ জঙ্গীগোষ্ঠী, সন্ত্রাসী বাহিনী, দুর্বৃত্ত চক্রের হাতে গড়ে উঠেছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুদ। খুব শীঘ্রই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে গাইবান্ধায় মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে নিজ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে গুলি করে হত্যাকা-ে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। সাত মাস আগে কালো পাজেরো জিপ গাড়িতে করে এনে সাত ব্যাগ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উত্তরার খালে ফেলে দেয়ার পর উদ্ধারের ঘটনা এখনও রহস্যাবৃত। গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলায় ব্যবহৃত অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রের অর্থের যোগানদাতা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে একের পর এক ছিনতাই করতে দুর্বৃত্তদের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। খুব শীঘ্রই পুলিশ এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ খবর জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দফতর ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ সেন্টার (বিডিপিসি) গবেষণাসূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে ৪ লাখের মতো। প্রতি বছর দেশে ৫০০ কোটি টাকার অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসে অস্ত্র চোরাচালানি সিন্ডিকেট। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সিন্ডিকেটের সংখ্যা প্রায় ১২৮টি। দেশের প্রায় ৩০টি সীমান্ত পথে এসব আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসছে অস্ত্র চোরাচালানি সিন্ডিকেট। অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানির সঙ্গে জড়িত রয়েছে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র ও চোরাকারবারিদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এসব অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায়ী অস্ত্রধারী ও গডফাদারদের সবার তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যা হালনাগাদ করা হচ্ছে। গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিজের বাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকা-ের পর ছয় সপ্তাহ অতিবাহিত হয়ে গেলেও হত্যাকা-ে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার হয়নি। এমপি লিটনের বুকের বাম দিকে দুটো এবং বাম হাতে একটি গুলি লেগেছিল বলে এই চিকিৎসক জানান। মাগরিবের নামাজের পরপর মোটরসাইকেলে অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবক বাড়িতে ঢুকে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। হত্যাকা-ের পেছনে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীগোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ ও সরকারের নীতি নির্ধারক মহল। গত ১ জুলাই, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে কমান্ডো অভিযানের পর সেখান থেকে জঙ্গীগোষ্ঠীর ব্যবহৃত অত্যাধুনিক ৫টি পিস্তল, ৩টি একে-২২ রাইফেল, বিস্ফোরিত শক্তিশালী গ্রেনেডের ৯টি সেইফটি পিন ও ৩০০ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। পাকিস্তান হয়ে ভারত থেকে সীমান্ত পথে এসব অত্যাধুনিক ভয়ঙ্কর অস্ত্রশস্ত্র দেশে এসেছে বলে তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে। এসব অস্ত্র ও অর্থের যোগানদাতারা এখনও চিহ্নিত হয়নি এবং তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। গত জুন মাসে রাজধানীর উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের একটি খাল থেকে গত রবি ও সোমবার ৪৯৪টি ম্যাগাজিন, ৯৭টি পিস্তল ও ১ হাজার ৬০টি গুলি উদ্ধার করা হয়। নম্বর ছাড়া কালো পাজেরো গাড়িতে করে কারা, কেন এই বিপুল অস্ত্র প্রকাশ্য দিনের বেলায় খালে ফেলে গেল তা নিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর অদ্যাবদি মিলেনি। এক লটে একসঙ্গে এতগুলো নতুন অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সাহস ও সামর্থ্য দেশের কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রয়েছে কি না তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। উত্তরার খালে ফেলে যাওয়া অস্ত্রগুলো কালোবাজারে বিক্রির জন্যই তৈরি হয়েছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক বাজারে বৈধভাবে বিক্রির জন্য অস্ত্রের গায়ে যে দেশে তৈরি হয়েছে তার নাম, সিরিয়াল নম্বর, অস্ত্র কোম্পানির নাম লেখা থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ অস্ত্রগুলোতে তার কিছুই ছিল না। পুলিশ বলছে, কালো একটি নম্বরবিহীন পাজেরো জিপে করে সাত ব্যাগ অস্ত্র ও গুলি শনিবার বিকেলে তুরাগ থানাধীন ওই খালের পানিতে ফেলা হয়। পুলিশের বিশেষ অভিযান শেষ হওয়ার একদিন পরে রমজান উপলক্ষে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাজধানীতে কী করে নম্বরবিহীন পাজেরো গাড়ি দিয়ে এত বিশাল অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান ফেলে দিয়ে গেল তা এখনও রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় একের পর এক যে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে তাতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে চলেছে দুর্বৃত্ত চক্র। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স ক্লাবের সামনে সশস্ত্র ছিনতাইকারী চক্র গুলি করেছে মনিরুজ্জামান মাসুম নামের এক শিক্ষার্থীকে। এর আগের দিন গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর প্রায় দেড়টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস পৌঁছলে অস্ত্রধারী চার যুবক বাসের গতিরোধ করে কমান্ডো স্টাইলে বাসের ভেতের ঢুকে বাসযাত্রীদের গুলি করে নগদ টাকা ও জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। তারও আগের দিন গত ৫ ফেব্রুয়ারি বেলা বারোটায় রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা একটি প্রাইভেটকার গতিরোধ করে মা-মায়েকে গুলি করে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিনতাই নিয়ে গেছে। প্রতিটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেখা যাচ্ছে ছিনতাইকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে এবং দিনে দুপুরেই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে আবার সটকেও পড়ছে। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এর কয়েক দিন আগে রাজধানীর সবুজবাগ থেকে ৩টি বিদেশী পিস্তলসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় তারা জানিয়েছেন, যশোর সীমান্ত থেকে অস্ত্র কিনে এনে তারা ঢাকায় বিক্রি করেন। ৭.৬৫ বোরের পিস্তলগুলো তারা ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। অস্ত্রগুলো বেশির ভাগ ভারত ও পাকিস্তানের তৈরি। রাজধানীসহ সারাদেশে এখন ভয়ঙ্কর সব অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই মিলছে আগ্নেয়াস্ত্র। বেশির ভাগ অস্ত্রই আসছে সীমান্ত এলাকা দিয়ে। সহজেই চলে যাচ্ছে সন্ত্রাসীদের হাতে। প্রতিনিয়ত হাতবদলও হচ্ছে এসবের। ভাড়ায় খাটছে অনেক অবৈধ অস্ত্র। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানান, ভারত, মিয়ানমার হয়ে দেশে আসা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। এ কারণে রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে গুলির ঘটনা। গত পাঁচ মাসে রাজধানীতেই শতাধিক গুলির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি পৃথক কয়েকটি অভিযানে ডিবি ও থানা পুলিশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে। বিক্রির উদ্দেশ্যে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এসব অস্ত্র ঢাকায় এনেছিলেন। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কেনা ক্ষুদ্রাস্ত্র রাজধানীতে দেদার বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা মেটাতে দেশের অন্তত ৩০টি সীমান্ত রুট দিয়ে ঢুকছে বিপুলসংখ্যক অবৈধ অস্ত্রের চালান। ভয়ঙ্কর একে সিরিজের অস্ত্র আসছে সমুদ্রপথে। জঙ্গী থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব সন্ত্রাসীর হাতে এখন অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র শোভা পাচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় উঠতি মস্তানরাই শুধু নয়, ছিঁচকে ছিনতাইকারীরাও ব্যবহার করছে আগ্নেয়াস্ত্র। ৩০ হাজার থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, গুলশানের হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় যে পরিমাণ অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে, তাতে এটা নিশ্চিত যে দেশের অভ্যন্তরে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকেছে। জঙ্গীদের কাছেই রয়েছে অত্যাধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র। গুলশান হলি আর্টিজানে হামলাকারী জঙ্গীরা সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য। এতে কোন সন্দেহ নেই। সুইসাইড স্কোয়াডের এ সদস্যরা যেসব অস্ত্র এনেছিলেন তারা জানতেন অস্ত্রগুলো তাদের আস্তানায় আর ফিরবে না। এতেই বোঝা যাচ্ছে তাদের কাছে আরও কত অস্ত্র রয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশে দুই শতাধিক অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায়ী রয়েছেন। সীমান্ত পথে ভারত ও মিয়ানমার থেকে এসব রুটে সহজেই বাংলাদেশে আনছেন অস্ত্রের চালান। এছাড়া চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে দেশী প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র তৈরি করা হয়। খুন-ডাকাতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ ছিনতাই কাজেও অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। গেল বছর ইতালির নাগরিক তাভেলাকে খুন করার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করা যায়নি এখনও। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্তত ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ অস্ত্র দেশে আসছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, সন্দ্বীপ, সীতাকুন্ড, রাঙ্গুনিয়া, বান্দরবান, রাঙ্গামাটির সাজেক, খাগড়াছড়ির রামগড় ও সুদারাম, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, মংলা, উখিয়া, রামু, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রাউজান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, হিলি ও সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই অবৈধ অস্ত্র আসছে। দেশেও নিজস্ব পদ্ধতিতে অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবসা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যানুযায়ী, দেশীয় অস্ত্র ৩০ হাজার টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় মিলছে অত্যাধুনিক বিদেশী অস্ত্র। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া ছোট অবৈধ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে উগনি কোম্পানির রিভলবার, মাউজার পিস্তল, ইউএস তাউরাস পিস্তল, ইতালির প্রেটো বেরোটা পিস্তল, জার্মানির পিস্তল, ইউএস রিভলবার, আমেরিকার তৈরি পিস্তল, নাইন এমএম পিস্তল ও মেঘনাম কোম্পানির থ্রি টু বোরের রিভলবার। তবে স্প্যানিশ অস্ত্রের মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের বেশিরভাগই আসে বঙ্গোপসাগরের অরক্ষিত উপকূল দিয়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে কী পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই ও পরিসংখ্যান করা সম্ভবপরও নয়। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ সেন্টারের (বিডিপিসি) গবেষণাসূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্রের ১২৮টি সিন্ডিকেট রয়েছে। দেশে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে ৪ লাখের মতো। ওই গবেষণাসূত্রে আরও জানা যায়, আফগানিস্তান বাদে সার্ক দেশগুলোয় ২৫ হাজার কোটি টাকার অবৈধ অস্ত্র আছে, যার পেছনে আন্তর্জাতিক মাফিয়া ও চোরাকারবারিদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কাজ করে। বাংলাদেশে এ সিন্ডিকেট প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসে। এসব অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায়ী অস্ত্রধারী ও গডফাদারদের সবার তালিকা পুলিশের কাছে রয়েছে এবং প্রতি বছরই তাদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। দেশে জঙ্গীগোষ্ঠী, সন্ত্রাসী বাহিনী, দুর্বৃত্ত চক্রের হাতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুদ ভান্ডার গড়ে উঠার খবর পাওয়া গেছে। খুব শীঘ্রই সারাদেশে অস্ত্র ও মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
×