ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভোট শুরু আজ

জনপ্রিয়তার বড় পরীক্ষায় নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জনপ্রিয়তার বড় পরীক্ষায়  নরেন্দ্র মোদি

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ। যে রাজ্যের রাজনৈতিক রায়ের ওপর সব থেকে বেশি নির্ভরশীল থাকে কেন্দ্রীয় রাজনীতি। সেই রাজ্যে শনিবার বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। এ নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের বড় ধরনের প্রধান পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর এএফপির। ২০ কোটির বেশি জনগোষ্ঠীর বিশাল এ রাজ্য থেকে দিল্লীর পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সর্বাধিক প্রতিনিধি যায়। নিয়মমাফিক বৃহস্পতিবার শেষ হয় প্রথম দফার প্রচার। এই পর্বে, ১৫টি জেলার ৭৩টি আসনের ভোট গ্রহণ হবে। সবকটি আসন পড়েছে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে। নির্বাচন কমিশন উত্তর প্রদেশে সাত দফায় ভোট গ্রহণ করবে। ভোটগ্রহণ শেষ হবে ৮ মার্চ। নির্বাচনী ফল পাওয়া যাবে ১১ মার্চ। কৃষ্ণভূমি মথুরা, আশ্চর্য স্থাপত্যের শহর আগ্রা ও ফতেপুর সিক্রি, সিপাহী বিদ্রোহের শহর মীরাট, গোষ্ঠী সংঘর্ষে রক্তাক্ত মুজফ্ফরনগর, জাঠ অধ্যুষিত বাগপতের নির্বাচন রয়েছে প্রথম পর্বে। ৪০৩ বিধানসভা আসনের রাজ্য দখলের লড়াইয়ে ২ কোটি ৫৭ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগতভাবে বিজেপির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিলের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর এই ভোট মোদির জন্য জনপ্রিয়তার প্রধান পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধনীদের কর ফাঁকি রোধ করার লক্ষ্যে মোদি নোট বাতিলের এই সিদ্ধান্ত নেন। তবে এতে উত্তর প্রদেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্ররা বেশ ধকল পোহান। মোদি রাজ্যের তরুণ ও বর্তমান জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছেন। তিনি দলের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সঙ্গে সমান তালে প্রচার চালিয়েছেন। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির যাদব চলতি সপ্তাহের সমাবেশগুলোতে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ৪৩ বছর বয়স্ক এ নেতা বলেন, নোট বাতিল কাউকে উপকৃত করেনি। এই পদক্ষেপ আমাদের দেশের জন্য বিরাট ক্ষতি বয়ে এনেছে, যার ফল এখনোই দেখা যাবে না। আগামী দিনগুলোতে এর ফল পাওয়া যাবে। কারণ, আমাদের অর্থনীতি, আমাদের শ্রম ও উৎপাদন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারা জয়ী হবে, সে বিষয়ে জনমত বিশ্লেষকরা বিভক্ত। কেউ কেউ ঝুলন্ত বিধানসভার ভবিষ্যত বাণী করছেন। নিম্ন বর্ণের নেতা মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি তৃতীয় অবস্থানে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দলটি দলিত সম্প্রদায়ের অধিকাংশ ভোট পাবে। অন্যদিকে যাদব উত্তর প্রদেশের যুবকদের সমর্থন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচার চালিয়েছেন। দুই নেতাই জনগণের সামনে নিজেদের রাজ্যের পরিবর্তনের আধুনিক প্রতিনিধি দাবি করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর জনপ্রিয়তার খরা ঘুচাতে রাহুল গান্ধীর জন্য জয় বড়ই প্রয়োজন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরপি ম্যামগেইন বলেন, কংগ্রেস রাজ্যে প্রায় মৃত বললেই চলে। স্বয়ং দলটি নিজেদের প্রকৃত বিকল্প বিবেচনা করছে না।
×