ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবাদে গুগলের ডুডল

বিশ্বের আলোচিত খবর

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিশ্বের আলোচিত খবর

হোমপেজে ডুডল প্রকাশের মাধ্যমে সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী অধিকার নিশ্চিত করতে একনিষ্ঠভাবে লড়ে যাওয়া নাগরিক অধিকার কর্মী ফ্রেড কোরিমাতসুর ৯৮তম জন্মদিন পালন করল গুগল। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানায়, এ ডুডলটি শুধু গুগলের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হোমপেজেই দেখা গেছে। আর এ ডুডলটিতে ক্লিক করলেই উঠে এসেছে কোরিমাতসুর একটি উক্তি- ‘যদি কোন কিছু ভুল বলে মনে হয়, তবে তার বিরুদ্ধে বলতে ভয় পেও না।’ ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ওকল্যান্ডে জাপানী অভিবাসী পরিবারে জন্ম নেয়া কোরিমাতসু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড ও কোস্ট গার্ডে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেও তার জাতীয়তার কারণে প্রত্যাখ্যাত হন। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি. রুজভেল্ট স্বাক্ষরিত এক অধ্যাদেশ অনুসারে এক লাখ ১৫ হাজার জাপানী অধিবাসী কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করলেও কোরিমাতসু তাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে ১৯৪২ সালে তিনি ধরা পড়েন এবং ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে সেন্ট্রাল ইউটাহ ওয়ার রিলোকেশন সেন্টারে আটক রাখা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাদেশটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ১৯৮৩ সালে কোরিমাতসুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সরিয়ে নেয়া হয়। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন নাগরিক অধিকার আদায়ে কোরিমাতসুর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে প্রেসিডেনসিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম-এ ভূষিত করেন। আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ এ ডুডলটি নেহাতই কাকতালীয় নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতেই প্রকাশ করা হয়েছে, এমনটা মনে করছেন অনেকেই। সিনেট জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত সাম্প্রতিক এক অধ্যাদেশ অনুসারে সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের অধিবাসীদের জন্য ৯০ দিন এবং সিরিয়া থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য ১২০ দিন দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে রবিবার গুগল অভিবাসীদের সহায়তার উদ্দেশ্যে ক্রাইসিস ফান্ড চালুর ঘোষণা দেয়। এ তহবিলের আওতায় রয়েছে ৪০-এর দশকে কোরিমাতসুর পক্ষে লড়া এ্যামেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন। এ ছাড়াও গুগল প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাই জনসম্মুখেই ট্রাম্পর এ অধ্যাদেশের সমালোচনা করে আসছেন।
×