ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হলিউড মুভির আদলে তৈরি হচ্ছে এ্যানিমেশন

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

হলিউড মুভির আদলে তৈরি হচ্ছে এ্যানিমেশন

আইটি ডটকম প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম কতখানি সামর্থ্য রাখে যেটা খালি চোখে দেখলে কেউ ধরতে পারবে না। দেশের মধ্যেই কাজ হচ্ছে বিশ্ব সেরা প্রযুক্তি নিয়ে। এই দেশের তরুণ প্রজন্ম তাদের ভাবনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি এমনভাবে জায়গা করে নিয়েছে, আজ তাদের কাজের সীমানা ও পরিধি দেশের উঠন ছাড়িয়ে বহু দূরে। যে সব ভিজুয়াল এফেক্ট নিয়ে এই প্রজন্ম কাজ করছে, যা বানাচ্ছে, যা রপ্ত করছে এক কথায় অহঙ্কার করার মতো। কিন্তু সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই কাজ কতদূর এগোবে এটাও একটা প্রশ্ন রাখে। বাংলাদেশে এ্যানিমেশন সম্পর্কিত মুভি ও কার্টুন নির্মাণে গত বছর মাত্র তিনজন তরুণ মিলে গড়ে তোলে চকডাস্ট নামের একটি স্টুডিও। নিজেদের জমানো টাকায় কোন রকম সাহায্য ছাড়াই নিজস্ব ধ্যান-ধারণা থেকে এই স্টুডিওটি গড়ে তোলে। গত বছর শেষের দিকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে অনুষ্ঠিত হয় এ্যানিমেশন ফেয়ার। সেখানে বসেছিল স্বপ্নবাজ তরুণদের মেলা। প্রশংসা কুড়িয়েছিল দর্শনার্থীদের। এসব স্বপ্নবাজ তরুণের কাজ দেখে তথ্যমন্ত্রী নিজেই প্রশংসা করে বলেছিলেন এমন কাজ বাংলাদেশ হয় যা শুধু প্রশংসা কুরায় না দেশকে পরিবর্তন করে। এ দেশেও যে এ্যানিমেশন পছন্দ করার মানুষ আছে সেটা ওই মেলায় গিয়ে দেখা গেল। অসাধরণ সব প্রজেক্ট নিয়ে হাজির হয়েছিল এই তরুণরা। সবকিছুতে মেধার ছোঁয়া আর সিরিয়াসনেস। গত বছর মেলায় সেই ধারাবাহিকতায় সুনাম কুরিয়েছে চকডাস্ট স্টুডিও। তাদের নিজেদের ধারণায় মেলায় অংশগ্রহণ করার আগেই ফেসবুক পেজে মুক্তি পায় জিহান নামের একটি এ্যানিমেটেড চরিত্র। সেই ধারাবাহিকতায় চকডাস্ট স্টুডিও ভাষা দিবসের প্রাক্কালে এবার আরও প্রশংসনীয় কাজ নিয়ে ফেসবুকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে ভিন্ন মাত্রার কাজ। প্রজেক্টটি যে ভিজুয়্যাল এফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে সেই ধরনের কাজ এই দেশে একেবারেই নতুন ও প্রফেশনাল। গণমাধ্যমের সামনে চকডাস্ট স্টুডিওর বর্তমান কাজটি নিয়ে আলোচনা করেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি ইমরান চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে জানান তাদের এই কাজটিতে যে সব এফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে এবং যে প্রযুক্তি তারা রপ্ত করেছেন সেটা হলিউডে নামকরা সব স্টুডিও ব্যবহার করে থাকে। তারা স্বল্প সময়ে সেটা রপ্ত করতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন ছোটদের শিক্ষার সব থেকে সহজ মাধ্যম হলো এনিমেশন। সেই মাধ্যমের যতখানি প্রয়োগ করা যায় সেটা তার স্টুডিও করবে। তাদের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা হাবলু-বাবলু একটি থ্রিডি এ্যানিমেশন, যেখানে থ্রিডি এ্যানিমেশনের মাধ্যমে আমাদের চারপাশে পরিবেশে প্যারালাল দৃশ্য তৈরি করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ইমরান চৌধুরী বলেন চকডাস্ট স্টুডিও এখন যে কোন ধরনের পেশাদারমূলক কাজ করতে সক্ষম। তাদের ফেসবুক পেজে সদ্য মুক্তির অপেক্ষায় থাকা প্রজেক্টটির হাবলু-বাবলুর মান দেখে এ্যানিমেটর বোদ্ধারা তাই বললেন বলে তিনি মনে করেন। চকডাস্ট স্টুডিও দেশের আইটি খাতকে বিশ্বে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রতিষ্ঠানের অন্য একজন সদস্য সাইফুল ইসলাম। চকডাস্ট স্টুডিও মনে করে প্রযুক্তি সবার জন্য। সেখানে কোন গোপনীয়তা না রাখাই ভাল। তাই তারা তাদের প্রজেক্টটিতে ব্যববহার করা প্রযুক্তি টুলস তুলে ধরেন গণমাধ্যমের সামনে, যার মধ্যে রয়েছে- খরয়ঁরফ ংরসঁষধঃরড়হং ধহফ ঢ়ৎড়পবফঁৎধষ ঢ়ড়হফ ংঁৎভধপব, ৩উ খধুড়ঁঃ, চৎড়পবফঁৎধষ ঞবৎৎধরহ, এবড় ঝরসঁষধঃরড়হং ধহফ অৎঃ উরৎবপঃরড়হ, খরমযঃং ধহফ জবহফবৎ। তারা ভবিষ্যতে থ্রিডি বেইস এ্যানিমেশন নিয়ে বহুদূর পাড়ি দিতে চায়।
×