ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুন

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুন

কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়। আর ব্যাংক কার্ডের সঙ্গে যেন এই পাসওয়ার্ডের মিল না থাকে। এ ছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কোন পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না। এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। বাড়ির বাইরে গেলে এগুলো ‘লক’ করে যাবেন। ‘হিস্ট্রি’ এবং ‘কুকিস’ মুছে ফেলুন ॥ আপনি সবশেষ কবে এটা করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা পরিবর্তন করুন। ব্রাউজারের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’-এ যান, সেখানে ‘নেভার রিমেমবার হিস্ট্রি’ নির্বাচন করুন। এর ফলে ইন্টারনেটে আপনাকে ‘ট্র্যাক’ করাটা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হবে। এ ছাড়া আপনি ‘এ্যাড অন’-ও ব্যবহার করতে পারেন। ‘গুগল এ্যালার্ট’ ব্যবহার করুন : এটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে। সোজা এই ঠিকানায় যান– যঃঃঢ়://িি.িমড়ড়মষব.পড়স/ধষবৎঃং এবং আপনার নাম লিখুন। তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে ‘কোটেশন মার্ক’ জুড়ে দিন। ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখা ॥ আপনি যদি অন্য কারও কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যাতে আপনার এ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে – সেটা খেয়াল রাখুন। আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে। ফোন, ই-মেইল বা জিপ কোড ব্যবহার করতে না দেয়া ॥ অচেনা কোন মানুষ এই নম্বরগুলো জানতে চাইলে, আপনারা দেবেন না। দেখা যায় কোন অফিস তার কর্মীর কাছ থেকে এসব তথ্য চাইলে, অনেকেই সেচ্ছ্বায় তা দিয়ে দেয়। বহু অফিস এ নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে। আপনার কিন্তু এসব তথ্য না দেয়ার অধিকার আছে। কার্ড নয় ক্যাশ॥ আপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, সেই কোম্পানি আপনারা পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন। ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ‘ফ্রেন্ডস’ ব্যবহার করুন ॥ ফেসবুকে সব সময় ‘সিকিউরিটি’ বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন। পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ‘ফ্রেন্ডস’ করে রেখেছেন, নাকি ‘পাবলিক’ করেছেন। আপনি যদি ‘স্পেশ্যাল’ নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভাল। পাঠানো হয়েছে তাকে ‘বাঁচার রসদ’ যোগাড় করতে। কিন্তু ২০১৭-এ পা দিতেই বিজ্ঞানীদের যা ‘ত্রাহি ত্রাহি’ অবস্থা, তাতে তার ঘাবড়ে দায়িত্ব চাপিয়ে দিতেই হয়েছে খুব তড়াতাড়ি ‘ঘাতক’ খুঁজে বের করার! কে আমাদের নৃশংসতম ‘আততায়ী’, তাকে খুঁজে বের করার দশ দিনের কাজটা শুরু হয়ে যাবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই। আইটি ডট কম ডেস্ক
×