ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে রানু এগ্রো জুটমিলে অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সৈয়দপুরে রানু এগ্রো জুটমিলে অগ্নিকাণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুরের কামারপুকুরে অবস্থিত রানু এগ্রো জুটমিলে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ভোর ৫টায় সৃষ্ট ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে ৩টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কাজ করে। ফায়ার সার্ভিস তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কাজ করে। এই রানু এগ্রো জুটমিলে মালিক সুশীল কুমার দাস। অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা পাটজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা রানু এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজে তথ্য নিতে গেলে কর্তৃপক্ষ সংবাদকর্মীদের কারখানার ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয় এবং তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মেরাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোর ৫টায় কারখানার কাঁচামাল প্রসেসিং প্লটের প্রধান ফ্লোরে থাকা পাটে আগুন লাগে। কালিয়াকৈর স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, কালিয়াকৈরে শুক্রবার ঝুটের দু’টি গুদামে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে গেছে ঝুটসহ বিভিন্ন মালামাল। ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। স্থানীয়রা জানান, কালিয়াকৈরের চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুত জোড়া পাম্প এলাকায় জাকির হোসেনের ঝুটের গুদামে শুক্রবার সকালে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের রফিকের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। আগুনে ওই দুই গুদামের মালামাল পুড়ে গেছে। পিরোজপুর নিজস্ব সংবাদদাতা পিরোজপুর থেকে জানান, মঠবাড়িয়ায় শুক্রবার দুপুরে অগ্নিকা-ে উপজেলার মিরুখালী বাজারের স্টুডিও ব্যবসায়ী বাবুল সমাদ্দারের বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এতে ওই ব্যবসায়ীর ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। বাবুল সমাদ্দার ওয়াহেদাবাদ গ্রামের মৃত বিমল সমাদ্দারের ছেলে ও মিরুখালী বাজারের কনিকা কালার স্টুডিও নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সূত্র জানায়, শুক্রবার বাবুল সমাদ্দার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্টুডিওতে ছিলেন। তার স্ত্রী পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঘরে কেউ ছিলেন না। দুপুর সাড়ে এগারটার দিকে প্রতিবেশীরা বাবুলের ঘরে আগুন দেখে চিৎকার দিতে থাকে। স্থানীয় লোকজন ঘণ্টাব্যাপী ও মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। নেত্রকোনায় ৬ ঘর নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, পৌর এলাকার পূর্ব কাটলী গ্রামে শুক্রবার ভোরে অগ্নিকা-ে দোকানসহ ছয়টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এদিকে অগ্নিকা- চলাকালে উত্তেজিত এলাকাবাসীর হামলায় ৪ দমকল কর্মী আহত হয়েছেন। জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে আগুন লেগে আনোয়ার হোসেনের বসতঘরসহ মনিহারি দোকান, আবদুর রশিদের মনিহারি দোকান ও আবুল হাসেমের পোলট্রি মুরগির দোকানসহ ছয়টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে নেত্রকোনা স্টেশনের দমকল কর্মীরা পৌঁছে ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর আগুন নেভায়। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক ধারণা, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। এদিকে অগ্নিকা- চলাকালে উত্তেজিত এলাকাবাসী দমকল কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দমকল বাহিনীর ওয়্যার ইন্সপেক্টর নির্মল সরকার, গাড়িচালক লতিফ খান, ফায়ারম্যান সাইদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম আহত হন। নির্মল সরকারকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিরকাদিমে ৫ দোকান স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, মিরকাদিম পৌরসভার নগর কসবা বাজারে অগ্নিকা-ে পাঁচ দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও তিনটি দোকান। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় লন্ড্রির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তে অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সদর থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান, আগুনে ফার্নিচার, হোটেল, লন্ড্রি ও ব্রাইটিজ স্টোরসহ আটটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের মতে, প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
×