ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাবাদার সঙ্গী হচ্ছেন ফিল্যান্ডার

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাবাদার সঙ্গী হচ্ছেন ফিল্যান্ডার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০০৭ সালে ছোট ফরমেট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন। ভারনন ফিল্যান্ডারকে ছাড়া একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে ও টি২০ দল কল্পনা করা যেত না। আস্থার প্রতিদান দিয়ে পরবর্তীতে টেস্ট দলে স্থায়ী হন। কিন্তু দীর্ঘ পরিসরে বাড়তি চাপ, সঙ্গে ফাস্ট বোলারদের চিরশত্রু ইনজুরি তাকে রঙিন পোশাকের ক্রিকেট থেকে ক্রমশ দূরে ঠেলে দেয়। চোট সমস্যার জন্য গত দেড় বছরে টেস্টেও প্রায় অনিয়মিত হয়ে পড়েন। জুনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে রেখে প্রোটিয়া ম্যানেজমেন্ট পেস আক্রমণে কাগিসো রাবাদার একজন যোগ্য সঙ্গী খুঁজছে। শ্রীলঙ্কা সিরিজেই ওয়েইন পারনেল, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস এবং ক্রিস মরিসকে পরখ করে দেখা হয়েছে। একই লক্ষ্যে দীর্ঘ দুই বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে দলে ফিরতে যাচ্ছেন ফিল্যান্ডার। স্বয়ং বোলিং কোচ ল্যাঙ্গেভেল্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‘ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে রেখে এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। ওই ধরনের উইকেটে আপনাকে সামনে থেকে উইকেট নিতে হবে। আমরা সর্বদাই বলে আসছি আক্রমণে আমাদের তিন পেসারের ভাল একটি দল থাকলে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে। আমরা নিজেদের গোছানোর চেষ্টা করছি, তবে শুরুতে কাগিসোর সঙ্গী কে হবে তা নিয়ে এখনও ভাবতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারনন যোগ্য একজন খেলোয়াড় হতে পারেন। তাকে আমাদের পছন্দ হয়েছে। এখন সব সম্ভাবনাই বিবেচনা করছি।’ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন প্রোটিয়া বোলিং কোচ। ৩১ বছর বয়সী ফিল্যান্ডার দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বশেষ ২০১৫ সালের আগস্টে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন। ওই বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর হ্যামিস্ট্রিংয়ের চোট খুব করে ভোগাচ্ছিল। তবে সম্প্রতি ইনজুরি কাটিয়ে টেস্টে দুর্দান্ত খেলায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাকেই পছন্দ নির্বাচকদের। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে পেসাররাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। বরাবরই আইসিসির বড় ইভেন্টগুলোতে দুর্ভাগা দক্ষিণ আফ্রিকা তাই সব বিভাগে সেরা ক্রিকেটার নিয়ে সেখানে পাড়ি জমাতে চায়। এবি ডি ভিলিয়ার্সের নেতৃত্বে ব্যাটিং আক্রমণ দুর্দান্ত। আছেন কুইন্টন ডি কক, হাসিম আমলা, ফ্যাফ ডুপ্লেসিস, জেপি ডুমিনি, ফারহান বিহারদিয়েন। সংক্ষিপ্ত ফরমেটে স্পিনে ইমরান তাহির অসাধারণ। তবে পেস আক্রমণে তরুণ রাবাদা অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক হলেও তার যোগ্য সঙ্গী নিয়ে চিন্তায় প্রোটিয়া ম্যানেজমেন্ট। ঘরের মাটিতে লঙ্কানদের উড়িয়ে দেয়া ওয়ানডেতে পারনেল, প্রিটোরিয়াস ও মরিসকে খেলান হয়। রাবাদা চার ম্যাচে ৬, প্রিটোরিয়াস দুই ম্যাচে ৫ ও মরিস তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তিন টি২০তে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিলেও ইনজুরিতে পড়েছেন তরুণ লুঙ্গাই এনগিদি। তার আগে প্রতিপক্ষকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করা তিন টেস্টে ১৭ উইকেট নেন ফিল্যান্ডার।
×