স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফিরোজ শাহ কোটলা, দিল্লী- ১৯৯৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। ঐতিহাসিক এক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন ভারতীয় লেগস্পিনার অনিল কুম্বলে। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছিলেন ৭৪ রান দিয়ে একাই ১০ উইকেট শিকার করে। কিন্তু কুম্বলে ৯ উইকেট শিকারের পর তার ‘পারফেক্ট ১০’ যাতে না হয় এজন্য ওয়াকার ইউনুস একটি পরিকল্পনা করেছিলেন। অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামকে বলেছিলেন একটি ইচ্ছাকৃত রানআউট মঞ্চায়নের। ওই সময় এ দু’জন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে ছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম। কিন্তু তার সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে পেসার ওয়াকার অভিযোগ করেছেন ওয়াসিম মিথ্যুক এবং বয়সের কারণে উল্টাপাল্টা বলছেন।
দুই ডব্লিউ (ওয়াসিম-ওয়াকার) একটা সময় বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ভয়ানক পেস জুটি ছিলেন। ১৯৯৯ সালে ভারত সফরে ওয়াসিমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দলে ছিলেন ওয়াকারও। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ফিরোজ শাহ কোটলায় চতুর্থদিন দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলছিল পাকরা। কিন্তু একাই ৯ উইকেট নিয়ে সেটাকে পুরোপুরি অসম্ভব করে দেন কুম্বলে। শেষ দুই ব্যাটনম্যান হিসেবে তখন ক্রিজে ওয়াসিম-ওয়াকার। কুম্বলে যাতে ১০ উইকেট না নিতে পারে সেজন্য ওয়াকার এসে ওয়াসিমকে বলেন, ‘কেমন হয় যদি একটা রানআউটের ঘটনা ঘটে?’ এমনটা দাবি ওয়াসিম করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার উইকেট দেব না, কিন্তু সে যদি এই অর্জনের জন্য নিয়তিতে থাকে তাহলে সেটা কোনভাবেই বদলানো যাবে না।’ তবে ওয়াসিমই আউট হয়েছিলেন কুম্বলের বলে। ঐতিহাসিক সেই ১০ উইকেট প্রাপ্তির ১৮ বছর পূর্তিতে এসব কথা বলে বিশাল বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন ওয়াসিম। কিন্তু তার এমন মন্তব্যকে বানোয়াট দাবি করে ওয়াকার বলেন, ‘ব্যাপারটা কেমন দেখাত ভাবুন তো। কদর্য একটা দৃশ্য। ইচ্ছা করে আমি রানআউট হচ্ছি। আমি আমার ক্যারিয়ারে কখনই খেলার চেতনার বাইরে গিয়ে কিছু করিনি। ওয়াসিমকে বড় ভাইয়ের মতো মনে করি। কিন্তু সে যা বলেছে, তাতে সত্যের লেশমাত্র নেই। বয়সের কারণে হতে পারে। আর এটা ওয়াসিমের পুরনো অভ্যেস। কোন ঘটনায় অন্যকে জড়ানো, যে ঘটনার সঙ্গে ওই ব্যক্তির বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: