ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পূর্বাঞ্চলীয় রেলে নিয়োগ

দুর্নীতি মামলায় সম্পূরক চার্জশীটে মৃধাসহ ৩ জন অভিযুক্ত

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দুর্নীতি মামলায় সম্পূরক চার্জশীটে মৃধাসহ ৩ জন অভিযুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ রেলের ২০১০-১১ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাঞ্চল্যকর দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনায় রেলের পূর্বাঞ্চলীয় তৎকালীন জেনারেল ম্যানেজার ইউসুফ আলী মৃধা, সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়া ও সিনিয়র ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর মোঃ হামিদ উল্লাহর বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা করে দুদক। এ মামলার মধ্যে সাতটি মামলায় তিনটি সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। চট্টগ্রাম আদালতে এসব সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করেন দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল। উল্লেখ্য, এসব মামলায় আগে দাখিলকৃত চার্জশীটে মৃধাকে মামলা থেকে বাদ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে আদালত এসব মামলায় আরও অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয়। শেষ পর্যন্ত সাতটি মামলার ৩টি সম্পূরক চার্জশীটে মৃধাকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলÑ কার্পেন্টার, ট্রেড এপ্রেনটিস, ডাটা এন্ট্রি, কন্ট্রোল অপারেটর, গুডস সহকারী, রেকর্ড কীপার ও শরীর চর্চা শিক্ষক। দুদকের দায়ের করা ১৩টি মামলার মধ্যে ৭টি মামলার ৩টি সম্পূরক চার্জশীটের তদন্ত করেছেন দুদক প্রধান কার্যালয় ঢাকার সাবেক উপ-পরিচালক শেখ ফাইয়াজ আলম, চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া, প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান। সম্পূরক চার্জশীটে মামলার অধিকতর তদন্তকালে বাবুর্চি, মালী, ওয়েটিং রুম আয়া, এএসআই, ল্যাম্পম্যান, গুডস সহকারী-২, নাম্বার টেকার, রেকর্ড কীপার, টেপ রিডার ও ক্লাসিক্যাল শিক্ষকসহ ১০টি পদে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে ৪ সদস্যের টিম গঠন করা হয়। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর দাখিলকৃত প্রতিবেদনের মধ্যে রেকর্ড কীপার, ট্রেন নাম্বার টেকার ও গুডস সহকারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ৩টি পদের বিপরীতে মামলা হয়। এসব মামলায় গোলাম কিবরিয়া, ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় দুদকের উপ-পরিচালক ফয়েজ আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। অধিকতর তদন্তে গুডস সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে। চৌকিদার, ট্রলিম্যান, আয়া, সুইপার, লেটারম্যান, কোর্ট ইন্সপেক্টর (গ্রেড-১), সিনিয়র ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর ও শরীর চর্চা বিভাগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের আরেকটি টিম গঠিত হয়। এ টিমে সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামানকে টিমের সদস্য হিসেবে পুনঃঅন্তর্ভুক্ত করে অনুসন্ধান টিম পুনর্গঠিত হয়। অধিকতর তদন্তে ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর ৪টি পদে জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করা হয়। আরেকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চৌকিদার, ট্রলিম্যান, আয়া, সুইপার, লেটারমান, কোর্ট ইন্সপেক্টর গ্রেড-১, সিনিয়র ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, কার্পেন্টার ও শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় দুদকের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। প্রথম দফার তদন্তে ইউসুফ আলী মৃধাকে বাদ দিয়ে চার্জশীট দাখিল করায় আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী কার্পেন্টার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে।
×