ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ঝলক

ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো ... শরীর, মন ও স্মৃতিতে যখন সময়ের থাবা বসে, তখন কাছের মানুষও অনেকটাই অচেনা হয়ে যায়। কিন্তু সময়ের এই চেনা খেলাটা তাকে জব্দ করতে পারেনি। উল্টো তিনিই জব্দ করে ছেড়েছেন ‘সময়’। তাই তো ৮৯ বছর বয়সেও তিনি অস্ত্রোপচার করেন নিয়ম করে। তাও দিনে একটা নয়। চার-চারটে! এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন তার পেশা কী? বছর বয়সী আলা ইলিইনিচানা লেভুশকিনা পেশায় চিকিৎসক। আরও বিস্তারিত বললে, ল্যচিকিৎসক। রাশিয়ার মস্কোর রায়াজান সিটি হাসপাতালে চাকরি করেন। ১৯৫০ সাল থেকে শল্যচিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন আলা। ৬৭ বছরের কর্মজীবনে ১০ হাজার জনের সফল অস্ত্রোপচার করেছেন। কিন্তু ক্লান্তি কখনও গ্রাস করেনি তাকে। উল্টো নিজের কাজটা হাসিমুখেই করেন এই বৃদ্ধা। তিনি এখনও অবিবাহিত। তবে নিঃসঙ্গ নন। ফ্ল্যাটে মানসিক ভারসাম্য হারানো এক ভাইপো আর আটটি বিড়াল নিয়ে আলার সংসার। চোখে মোটা কালো ফ্রেমের চশমা, কুঁচকে যাওয়া চামড়া, ন্যুব্জ শরীর। কিন্তু দৃষ্টি প্রখর। মনের জোর তার চেয়েও বেশি। আর এই জোরেই এ বয়সে অস্ত্রোপচার করার সাহস দেখান। তাও দিনে চারটে করে! বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সে কর্মরত শল্যচিকিৎসক এখন তিনি। কীভাবে পারেন এখনও কাজ করতে? ক্লান্ত লাগে না? এই প্রশ্নের জবাবে চমৎকার উত্তর আলার। তিনি বলেন চাকরি করি। অন্য কাজও করি। অবসর নিয়ে কী করব?ক্তারী করা শুধু তো পেশা নয়। জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার কারিগর একজন ডাক্তার। একজন শল্যচিকিৎসক যদি অস্ত্রোপচারই না করল, তা হলে সে কী করবে? বহু বছর আগে আমি এমন অনেককে বাঁচিয়েছি, যাদের অস্ত্রোপচার করতে কেউ চায়নি। আমি সাহস নিয়ে করেছিলাম। আর করেছিলাম বলেই তারা বেঁচে আছে।’ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার রহস্যটা কী? কথায়, ‘দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার রসদ কী, আমি জানি না। তবে এটুকু জানি, আমি সব খাই। প্রাণ খুলে হাসি। কাঁদি। কান্না চেপে রাখি না কখনও।’আর এমন করেই বাঁচতে হয়। -ডেইলি মেইল অবলম্বনে। পিতা-মাতার অযতেœ সন্তানের বেতন কর্তন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসম একটি অভিনব আইন প্রণয়ন করতে চলেছে, যাতে সরকারী কর্মচারীরা তাদের বাবা-মায়ের ঠিকমতো দেখাশোনা না করলে তাদের বেতন থেকে একটা অংশ কেটে নেয়া হবে। অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ সপ্তাহে তাদের রাজ্যের বাজেট পেশ করতে গিয়ে এ কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই নতুন নিয়ম ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকেই চালু হবে। তিনি বলেন, ‘বয়স্ক বাবা-মার যতœ নেয়া প্রত্যেক সন্তানের কর্তব্য। যদি কোন সরকারী কর্মচারী সেটা না করেন তাহলে সরকারই তার মাইনে কেটে নিয়ে সেই কর্তব্য পালন করবে। কর্মচারীদের মাইনে থেকে যে টাকা কাটা হবে, সেটা তার বাবা-মার ভরণপোষণের কাজেই ব্যয় করা হবে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ইদানীং এমন বহু অভিযোগ উঠেছে, যেখানে যথেষ্ট আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ছেলেমেয়েরা অসুস্থ বাবা-মায়ের দিক থেকে নজর ফিরিয়ে নিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এমন বহু অসহায় বাবা-মা আদালতেরও শরণাপন্ন হয়েছেন। কখনও কখনও আদালতের রায় তারা সন্তানের বাড়িতে আবার ফিরে যাওয়ার অধিকারও পেয়েছেন। তবে এই সামাজিক সমস্যার প্রতিকারে অসম সরকার যে অভিনব পন্থার কথা ভেবেছে, তা ভারতের অন্য কোন রাজ্যে কখনও প্রয়োগ করা হয়নি। -বিবিসি অবলম্বনে।
×