ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যানো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে সংসদে জাপা এমপির শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ন্যানো স্যাটেলাইট  উৎক্ষেপণ নিয়ে সংসদে জাপা এমপির শঙ্কা

সংসদ রিপোর্টার ॥ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রথম নিজস্ব ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ (ন্যানো স্যাটেলাইট) মহাকাশে ছাড়ার বিষয়ে বাংলাদেশের ম্যাসিভ সিকিউরিটি (সার্বিক নিরাপত্তা) নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছিলেন ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। ফখরুল ইমাম ন্যানো স্যাটেলাইটের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এটাকে একটি জাপানী কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে উৎক্ষেপণের জন্য। এটা এই পৃথিবীকে পরীক্ষণ করবে। সমস্ত পৃথিবীকে দিনে পরিক্রমা করবে ১৬ বার এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাবে দিনে চার থেকে পাঁচ বার। তখন সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশের এগ্রিকালচার থেকে আরম্ভ করে যত স্থাপনা আছে; এমনকি সেনাবাহিনীর যত সংরক্ষিত স্থাপনা আছে, তার সবগুলোর ফটোগ্রাফি তারা তুলে নেবে। তিনি আরও বলেন, আমি এখানেই আশ্চর্য হয়েছি, স্পারশো নামের আমাদের একটা সংগঠন আছে, যেটা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা এই কাজগুলো করে থাকে। আমি (বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন সংস্থা) স্পারশোকে জিজ্ঞেস করেছি, বলেছে তাদের সঙ্গে কোন চুক্তি হয় নাই। বিনা চুক্তিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মতো একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যানো স্যাটেলাইটটি প্রস্তুত করেছে। তারা যেটি মহাকাশে ছাড়বে-এই ব্যাপারটাকে ম্যাসিভ সিকিউরিটির জন্য চিন্তিত হয়ে আছি। আমি এ ব্যাপারে আশা করব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যিনি দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন, উনি যদি আমাদের অবহিত করেন, তাহলে আমরা এটার সম্পর্কে জানতে পারব। ফখরুল ইমামের বক্তব্যের জবাবে ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘আপনি একটা খবরের কাগজের ওপর ভিত্তি করে একটি স্টেটমেন্ট দিলেন, একজন স্পীকার হিসেবে এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। বিধি অনুসারে নোটিস দিলে তখন একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। সংসদে সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই যে আপনি বক্তব্যটা রাখলেন, যদি আপনি কিছু মনে না করেন, আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, এটা একটা সময়ের অপচয় হলো, আর কিছুই নয়।
×