ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জনবান্ধব নয় এমন কোন আইন করবে না সরকার ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জনবান্ধব নয় এমন কোন আইন করবে না সরকার ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে এমন কোন আইন হবে না যেটা জনবান্ধব নয়। তিনি বলেন, বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের ক্ষতি হোক এমন কোন আইন করা হবে না। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশীস আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী জানান, নাগরিকত্ব আইনের যেসব ধারা-উপধারা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে এবং যেসব ধারা বা উপধারা দেশের মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে সেগুলো বাতিল বা সংশোধন বা পরিমার্জন করা হবে। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইনের ৫ ধারার উপধারা ২ ও ৩ এবং ৭ ধারার উপধারা ২(ঘ) ও ২(ঙ) বাতিল বা সংশোধন বা পরিমার্জন করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে বিচারপতি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে গঠিত আইন কমিশন বিদ্যমান নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫১ ও ১৯৭২ বাতিল করে নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনের একটি খসড়া প্রেরণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে মন্ত্রিপরিষদ নাগরিকত্ব আইনের একটি খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে খসড়াটি চূড়ান্ত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়। অতঃপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করে নাগরিকত্ব আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করে ২০১৫ সালের শেষদিকে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য প্রেরণ করে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে নাগরিকত্ব আইনের খসড়াটি সংশোধিত আকারে চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। ২০১৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ আইন মন্ত্রণালয়ের পুনরায় ভেটিং সাপেক্ষে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন করে। মন্ত্রিপরিষদের ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকত্ব আইনের কয়েকটি বিধান (শাস্তি, অপরাধ এবং বিদেশী শত্রু) সহ খসড়াটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে পুনরায় প্রেরণ করে। আইনটি পুনরায় ভেটিংকালে এ আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নাগরিকগণ বিশেষ করে প্রবাসী নাগরিকগণের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করে কতিপয় সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশীসের চেয়ারপার্সন এম এস শেকিল চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ এবং সুপ্রীমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন অংশ নেন।
×