নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ আইনের শাসন সেই ’৭১ সালেই শুরু হয়েছিল। ফলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিতে এখন কামার-কুমার কোন কিছুর ভেদাভেদ নেই। অবশ্যই তা অটুট থাকবে। বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন।
তিনি আরও বলেন, হয়রানিমূলকভাবে যাদের গ্রেফতার করে পুলিশ তারা ঠিকই ছাড়া পাবে। তবে অপরাধীরা ছাড়া পাবে না, জামিনও পাবে না, বিচারে যা হয় হবে। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে তা নয় যে, আপনি যা ইচ্ছে তা করবেন। তিনি এই ধর্মের মানুষের প্রতি অনুরোধ রেখে বলেন, মনে রাখবেন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারে যেন অন্য ধর্মের মানুষের ক্ষতি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি হবিগঞ্জ জেলায় কর্মরত বিচারকদের প্রশংসা করে বলেন, আমি হবিগঞ্জে যাদের নিয়োগ দিয়েছি তারা কমপ্লেইটেট। এখানে অপরাধীদের জামিন দেয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ায় অপরাধও কমে গেছে। তিনি বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলাধীন জয়পুরে শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধামের ৩৬তম বার্ষিক উৎসবে দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে ওই কথাগুলো বলেন। শচীঅঙ্গন ধামের সভাপতি নিখিল চন্দ্রের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতির শিক্ষক বিজিত কুমার দেব প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার বেগম হোসনে আরা আকতার, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বেগম ফারজানা ইয়াসমিন। তার আগে প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট ধামের পাশে একটি বকুল ফুলের চারা রোপণ ও শ্রী শচীঅঙ্গন ধামের উৎসব উপলক্ষে কলকাতার লেখক প্রফেসর শ্রী সমরাশ দাসের লেখা ‘শ্রী চৈতন্য’ নামে একটি পরিক্রমার মোড়ক উন্মোচন করেন। বলাবাহুল্য, ৪ দিনব্যাপী ওই উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবের শেষ দিনে বসন্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: