ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন বই

অজানা অনেক তথ্য

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

অজানা অনেক তথ্য

মোরসালিন মিজান ॥ যেভাবে বলেন, লেখাতেও একদম তা-ই। অদ্ভুত একটা সারল্য। সহজ উপস্থাপনা। ইতিহাসের কত বড় বড় বাঁক। ঘটনা দুর্ঘটনা। রাজনীতির জটিল সমীকরণ। শেখ হাসিনা এসব যখন লিখতে বসেন, আর জটিল থাকে না। ইতিহাসবিদ বা রাজনীতির লোকদের ভাষ্য নয় তার লেখা। যেন খুব কাছের মানুষটি বলছেন। শুনতে ইচ্ছে করে। অনেকদিন ধরেই লিখছেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন বিষয় তাঁর লেখায় উঠে এসেছে। সেসব লেখা থেকে কয়েকটি বেছে নিয়ে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ।’ আগামী থেকে প্রকাশিত বইয়ে মোট লেখা ১৩। খুব বেশি নয়। একইভাবে কমও নয়। বিচ্ছিন্নভাবে প্রকাশিত লেখা বিদগ্ধ পাঠক আগে পড়েছেন। তাই বলে এক মলাটে আসার পর গুরুত্ব কিছু কমেনি। বরং নতুন একটি মাত্রা পেয়েছে। ইতিহাস বর্ণনার নিজস্ব রীতি, তথ্যের যোগান, আবেগ আর অনুভূতির সূক্ষ্ম ও পরিশীলিত উপস্থাপনা পাঠককে বিস্মিত করবে। শেখ হাসিনার বিরল ভাগ্য যে, তিনি বাঙালীর মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। মুজিবের মতো প্রতিষ্ঠান তাঁর মানস গঠনে বিপুল ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের খুব উল্লেখযোগ্য নেতাদের অন্যতম একজন তিনি। তাঁর লেখার তাৎপর্যও তাই বহুবিধ। বইয়ের ‘অনর্জিত রয়ে গেছে স্বপ্নপূরণ’ শিরোনামের লেখাটি স্মৃতিচারণমূলক। লেখাটি থেকে শেখ হাসিনার মানস গঠনের প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আগেই বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার মানস গঠনে বঙ্গবন্ধুর প্রভাব ছিল প্রবল। স্কুলের বই যা শেখাত তারও বেশি তিনি শিখেছিলেন রাজনীতির অনন্য প্রতিষ্ঠান শেখ মুজিবের কাছ থেকে। এ প্রসঙ্গে একটি মজার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে বইতে। সে অনুযায়ী, আজিমপুর স্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্রী শেখ হাসিনা পৌরনীতিতে পাসের চেয়ে এক নম্বর কম পেয়েছিলেন। পৌরনীতিতে অকৃতকার্য? কী করে সম্ভব? উত্তরপত্র সংগ্রহ করে দেখা গেল সেখানে পরীক্ষক মন্তব্য করেছেন, ‘এই মেয়ে বড় বড় নেতাদের বক্তৃতা অনুসরণ করে, বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না।’ নেপথ্যের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা লেখেন, ‘যে প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমার ওপর এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা হলো আইয়ুব খান সংক্রান্ত। তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি মিলিটারি ডিক্টেটর আইয়ুব খানের ক্ষমতার কথা লিখতে গিয়ে বইতে যেসব প্রশংসাসূচক কথা লেখা ছিল, সেগুলো আমি লিখিনি। বরং একদিন আলোচনা প্রসঙ্গে আব্বা কিছু কথা বলেছিলেন, সেই কথাগুলোই আমি লিখে দিয়ে এসেছি। আমি সেইসঙ্গে তাঁর বক্তৃতায় যে সমস্ত কথা ছিল, তাও উল্লেখ করি এবং যথারীতি সেটাই হলো কাল। তাই খাতাসহ নম্বর বাতিল।’ শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, সমাজবিদ্যা নামের অন্য একটি বইতে ‘পাকিস্তান’ চ্যাপ্টার ছিল। নম্বর ছিল কুড়ি। বঙ্গবন্ধুকে বইগুলো দেখান তিনি। পরের বর্ণনাটি এ রকমÑ আব্বা সবগুলো দেখলেন, অনেকক্ষণ আলাপ হলো এবং উনি বলে দিলেন পাকিস্তান চ্যাপ্টার পড়তে হবে না। এখানে অজস্র মিথ্যে কথা লেখা আছে, কাজেই মিথ্যে কথা শেখার প্রয়োজন নেই।’ পিতার পরামর্শ মতো মিথ্যে ইতিহাস এড়িয়ে চলেন শেখ হাসিনা। এই কারণে সমস্যাও কম হয়নি। তিনি লিখেছেন, আব্বা সেদিন যে কথাগুলো বলেছিলেন, সে কথাগুলো আমি লিখে নিয়েছিলাম। এরপর সিদ্ধান্ত নিই আর পাকিস্তান সম্পর্কে ঐসব ছাইপাশ পড়ব না বা এ বিষয়ে লিখব না। পড়ার অংশ থেকে বাদ পড়ে সেই ‘পাকিস্তান’ চ্যাপ্টার।’ শেখ হাসিনা জানান, এমনকি ম্যাট্রিক পরীক্ষায়ও কুড়ি নম্বর বাদ রেখেই রিস্ক নিয়ে পরীক্ষা দেন। এ পর্যায়ে শেখ হাসিনা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তার নিজের ভেতরে জন্ম নেয়া তীব্র ঘৃণার কথা জানান। লেখেন, ‘আইয়ুব খাঁ ছিল সামরিক জান্তা। সব সময় জান্তার শাসনের বিরুদ্ধে একটা জন্মগত বিদ্বেষ জন্মে গিয়েছিল।’ শেখ হাসিনার এমন ছোট্ট স্বীকারোক্তি একইসঙ্গে তার ‘গণতন্ত্রের মানস কন্যা’ রূপটিকে সামনে নিয়ে আসে। পাঠক সে রূপটির সঙ্গে আরও একবার পরিচিত হওয়ার সুযোগ পান। স্মৃতিচারণমূলক লেখায় উঠে আসে ইতিহাসের আলোচিত অধ্যায়। এই যেমন আগরতলা মামলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। জানান, বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আইয়ুব খান। বঙ্গবন্ধুকে রাজি করাতে এমনকি দলীয় কোন কোন নেতা পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন বলে জানান তিনি। তার ভাষায়Ñ ‘আমাদের তখনকার দিনের অনেক বড় বড় নেতা এর পক্ষে ছিলেন। আমরা, আমাদের পরিবার এবং আমার মা এ ব্যাপারে অত্যন্ত দৃঢ় ছিলেন। অনেক কথা আমাদের শুনতে হয়েছে।’ বই পাঠে জানা যায়, এর পরও অনড় ছিলেন মুজিব পতœী ফজিলাতুন্নেসা। শেখ হাসিনার এ আলোচনা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের এমনকি রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসার প্রভাব সম্পর্কে চমৎকার একটি ধারণা পাওয়া যায়। আগরতলা মামলায় যখন মহান নেতাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে তখন একজন গৃহিণী এতটুকু দুর্বল না হয়ে উল্টো ইস্পাত কঠিন মানসিকতা নিয়ে সামনে আসেন। মায়ের এই মনোভাবের কথা জানাতে এবং ও পরামর্শ পৌঁছে দিতে শেখ হাসিনা বন্দী বাবার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘আমি অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অনেক চেষ্টা করে আব্বার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলাম। আব্বা বেরিয়ে এলেন। গেটের বাইরে আসা তাঁর সম্ভব নয়। তিনি গেটের ভেতরে আমি গেটের বাইরে। শুধু আমি মার মেসেজটা তাঁকে পৌঁছালাম। হাতে একটা চিঠিও ছিল কিন্তু চিঠি দেবার সুযোগ ছিল না। আব্বা বললেন, চিঠি দেবার দরকার নেই, কি মেসেজ বলে যাও। আমি আব্বাকে বললাম, মা দেখা করার চেষ্টা করছেন। মার সাথে দেখা না করা পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না।’ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মর্মন্তুদ ঘটনা যথারীতি এসেছে বইতে। সব হারা দুই বোনের জীবন সংগ্রামের কথা লিখেছেন শেখ হাসিনা। ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িতে প্রথম প্রবেশ, জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে পাঠককে নিজের মধ্যে থাকতে দেন না লেখিকা। নিজের বেদনার সঙ্গী করে নেন। শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘১৯৮১ সালে আমি ফিরে এসে বাড়িটি খুলে দিতে বলি, কিন্তু জেনারেল জিয়াউর রহমান অনুমতি দেয়নি। এমনকি বাড়িতে প্রবেশের অনুমতিও পাইনি। মিলাদ পড়ানোর জন্য বাড়ির দরজা জিয়া খুলে দেয়নি। রাস্তার ওপর বসেই আমরা মিলাদ পড়ি।’ প্রিয়জনের রক্তের দাগ পরিষ্কার করে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসটিও সম্পূর্ণ পাওয়া যায় বই থেকে। কিছু লেখা একেবারেই সমকালীন। ‘প্লিজ, সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলুন’ শিরোনামের নিবন্ধটির কথাই যদি ধরা যায়, সকল বক্তব্য এখনও প্রযোজ্য। রাজনীতিবিদদের কারণে অকারণে হেয় করার কিছুটা যেন প্রতিবাদ করেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু পরিবারের রাজনীতি দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরে এর সঙ্গে অন্যদের ভুল রাজনীতির তুলনা না করার যৌক্তিক আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিবেদন সম্পর্কে ধারণা দিতে শৈশবের স্মৃতি থেকে বলেন, ‘বাবার হাত ধরে যখন স্কুলে যাবার কথা তখন মায়ের হাত ধরে জেলগেটে যেতে হয়েছে বন্দী বাবাকে দেখতে। অনেক সময় পিতা জেলে বলে লেখাপড়া বন্ধ হয়েছে, স্কুল বন্ধ হয়েছে। আমাদের প্রজন্মের অনেককেই এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্যেও দিনগুলো। এই আত্মত্যাগ যারা করেছেন তাদেরই অর্জন হলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।’ বইতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘১৯৭৫ সালে যখন পরিবারের সকলকে হত্যা করা হলো, তখন তো রেডিও টেলিভিশনে বারবার প্রচার করা হয়েছিল দেশে-বিদেশে কি কি সম্পদ আছে খুঁজে বের করা হবে। এবং খোঁজাও হয়েছিল। কি পেয়েছিল? কিছুইতো পায় নাই।’ জাতির জনক কত সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন তা জানতে ধানম-ির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বাড়িটি ঘুরে আসার আহ্বান জানান তাঁর লেখায়। বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যদের চরিত্রে কালিমা লেপনের অপপ্রয়াসও কম নেয়া হয়নি। পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে শেখ হাসিনা মিথ্যার বিপরীতে কিছু অদ্ভুত সত্য তুলে ধরেছেন তার বইতে। লেখেন, ‘ইচ্ছে করলে বাড়ি ইন্ডাস্ট্রিসহ বহু কিছুরই মালিক হতে পরত কামাল ও জামাল। তারা কিন্তু তা করে নাই। কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা শুরু করে।’ বড় বোন জানান, মৃত্যুর সময় কামাল সম্পদ বলতে রেখে যান তার প্রিয় সেতার আর ক্রিকেটের ব্যাট! জামাল সম্পর্কেও চমকিত হওয়ার মতো তথ্য দেন শেখ হাসিনা। তার লেখা থেকে জানা যায়, ইংল্যান্ডে স্যান্ডহার্টস মিলিটারি একাডেমিতে ভর্তির আগে জামাল নিজের খরচ চালানোর জন্য লন্ডনে সেলফরিজ দোকানে সেলসম্যানের চাকরি করেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণ জীবনযাপন করেছে জানিয়ে শেখ রেহানার উদাহরণ টানেন তিনি। জানান, তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী তখন ছোট বোন লন্ডনে চাকরি করে খেয়েছেন। গাড়ি কিনতে পারেননি। বাসে চড়ে অফিস করেছেন। নিজের এবং রেহানার সন্তানরাও লেখাপড়া শিখেছে। চাকরি বাকরি করে খাচ্ছে বলে জানান তিনি। ক্ষমতায় থাকা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সন্তানদের সঙ্গে তুলনা করে নিজের পরিবার নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। বইয়ের বিভিন্ন অংশে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী শেখ হাসিনাকে পাওয়া যায়। ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’ শিরোনামের নিবন্ধে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার প্রয়াস। নিবন্ধে সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীর যত সমালোচনা, তার জবাব দেন শেখ হাসিনা। বইতে তিনি লিখেছেন, ‘আমার যে কথাটা বার বার মনে আসে সেটা হলো যারা চতুর্থ সংশোধনীর এত সমালোচনা করে তারা ক্ষমতায় গিয়ে বা ক্ষমতার আশপাশে থেকেও কিন্তু চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে সাবেক অবস্থায় ফিরে যায় নাই।’ তিনি উল্লেখ করেন, চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে শুধু সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন মুখ্য ছিল না, তার সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মসূচী যুক্ত ছিল এবং সেই অর্থনৈতিক কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে পিতার সঙ্গে কথোপকথনের স্মৃতি তুলে ধরেন তিনি। লেখেন, ‘স্পষ্ট মনে আছে একবার আমি নিজে আলাপ করেছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন যে, এদেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি। বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার কিভাবে ভোগ করতে হয়, কিভাবে চর্চা করতে হয় তাও মানুষকে বুঝতে হয়। আর অধিকার ভোগ করা মানে অপরের প্রতি কর্তব্য পালন করা। অপরের অধিকার রক্ষা করা কর্তব্য।’ ১৯৭৫ পরবর্তী সেনা শাসকদের সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘কিন্তু যারা অস্ত্রের জোরে সামরিক আইন এনে ক্ষমতা দখল করেছে তারা কোন গণতন্ত্রে বিশ্বাসী?’ এভাবে নানা বিষয়ের অবতারণা করে নির্বাচিত প্রবন্ধ। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত প্রবন্ধ সংকলনের সুন্দর একটি ভূমিকা লিখেছেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। বইটি সংগ্রহে রাখার মতো। ১৫৮ পৃষ্ঠার বইয়ের দাম ৩৫০ টাকা।
×