ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোয়েন্দা রিপোর্টের পরও হেফাজতীকরণ হয়েছে পাঠ্যবই

প্রশ্নের মুখে সরকারের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

প্রশ্নের মুখে সরকারের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি

বিভাষ বাড়ৈ ॥ পাঠ্যবই নিয়ে মৌলবাদীদের দাবিকে ‘ভুল’ ‘অযৌক্তিক’ ‘উদ্দেশ্যপ্রনোদিত’ ‘অতিরঞ্জিত’ বলে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারকে রিপোর্ট দেয়া হলেও উগ্রবাদী হেফাজতের গর্তে পা দিয়েছে মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবি। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আসা সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে স্পষ্ট করেই বলা ছিল, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। একটি পক্ষ পাঠ্যবইকে ধর্মবিরোধী অভিহিত করে এ নিয়ে অতিরঞ্জিত বক্তব্য দিচ্ছেন।’ এমন স্পষ্ট সতর্কতামূলক রিপোর্টের পরেও হেফাজতীকরণ হয়েছে পাঠ্যবই। এর ফলে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকারের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি। এদিকে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মৌলবাদী গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যমূলক আক্রশের চিত্রও। জনকণ্ঠের অনুসন্ধানে গোয়েন্দা সংস্থার চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, দুই মন্ত্রণালয়ের তদন্তের নামে কালক্ষেপণ ও দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের নানা উদ্বেগের চিত্র বেরিয়ে এসেছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন কর্মকর্তারা আড়ালে রাখার চেষ্টা করলেও তার একটি কপি জনকণ্ঠের হাতে এসেছে। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে পাঠ্যবই নিয়ে হেফাজতসহ মৌলবাদীদের দফাওয়ারি দাবি ও তার বিপরীতে বাস্তব চিত্রসহ নানা সুপারিশ। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা বলছেন, এখন সার্বিক পরিস্থিতি জনসমক্ষে পরিষ্কার করতে হবে দুই মন্ত্রণালয়কেই। ‘এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচীর ভুল নিয়ে হেফাজতে ইসলামসহ কট্টর ইসলামী দলসমূহের চলমান আন্দোলন’ শিরোনামের চার পাতার ওই প্রতিবেদনে প্রথমেই তুলে ধরা হয় হেফাজতসহ মৌলবাদীদের দাবিগুলো। বলা হয়, ‘পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচী থেকে ইসলামী ও মুসলিম ভাবধারা বিলুপ্ত করে হিন্দুত্ববাদ সংযোজনের প্রতিবাদে এবং শিক্ষা আইন ২০১৬ বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন (ইসলামী ছাত্রসেনা, ইসলামী ছাত্র সমাজ, ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলাম প্রভৃতি) সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৮৫ শতাংশ মুসলমানের এদেশে পাঠ্যসূচী ও সিলেবাস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় উল্লেখ করে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বইয়ের সিলেবাসে সুকৌশলে হিন্দুত্ববাদ সংযোজন করা হয়েছে বলে তারা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করছে। হিন্দুত্ববাদের বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে এনসিটিবিসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে হিন্দু কর্মকর্তাদের অধিক হারে পদায়ন করা হয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন। পাঠ্যসূচী সংশোধন ও শিক্ষা আইন বাতিলের দাবিতে গত বছরের ২১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ছাত্রসেনা, ইসলামী ছাত্র সমাজসহ সংগঠনগুলো বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেট, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করে বলে জানা যায়।’ রিপোর্টে এরপরই মৌলবাদীদের দাবিগুললো তুলে ধরে বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম তাদের বিবৃতিতে বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ইসলামী ভাবধারার কবিতা, গল্প/প্রবন্ধ বাদ দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে। বলছে হিন্দুত্ববাদের প্রতি উদ্দীপনমূলক সব রচনা, গল্প ও কবিতা যুক্ত করা হয়েছে। হেফাজত দাবি করছে, ‘দ্বিতীয় শ্রেণী বাদ দেয়া হয়েছে, ‘সবাই মিলে করি কাজ’ শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। তৃতীয় শ্রেণী বাদ দেয়া হয়েছে ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। পঞ্চম শ্রেণীতে বাদ দেয়া হয়েছে কাজী কাদের নেওয়াজ লিখিত’ শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ নামক একটি কবিতা। যাতে বাদশাহ আলমগীরের মহত্ব বর্ণনায় উঠে এসেছে এবং শিক্ষক ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন হওয়া উচিত, তা বর্ণনা করা হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীতে তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত বাদ দেয়া হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণীতে বাদ দেয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি আলাওলের ধর্মভিত্তিক ‘হমদ’ নামক কবিতাটি। হেফাজতের এর পরের দাবির মধ্যেই আছে মিথ্য ও তথ্য বিকৃতির চিত্র। তথ্য ছড়িয়ে হেফাজত বলছে, ‘পঞ্চম শ্রেণীতে হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ কবিতাটি মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআন বিরোধী কবিতা।’ ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রবেশ করানো হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের দেবী দুর্গা কেন্দ্রিক কবিতা। ষষ্ঠ শ্রেণীর ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোট গল্প। যা দিয়ে কোটি কোটি মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিন্দুত্ববাদ শেখানো হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালিয়েছে হেফাজত। আরও বলা হয়েছে, ‘ষষ্ঠ শ্রেণীর আছে ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাঁচির ভ্রমণ কাহিনী। সপ্তম শ্রেণীর ‘লালু’ নামক গল্পে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে পাঠ্যবলির নিয়ম কানুন।’ অষ্টম শ্রেণীতে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়নের’ সংক্ষিপ্ত রূপ পড়িয়ে হিন্দুত্ববাদ শেখানো হচ্ছে বলেও বলা হয়। নবম-দশম শ্রেণী প্রবেশ করেছে ‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। এ কবিতাটি হিন্দুদের ধর্ম সম্পর্কিত মঙ্গল কাব্যের অন্তর্ভুক্ত, যা দেবী অন্নপুর্ণার প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনা সূচক কবিতা বলে তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। নবম-দশম শ্রেণীর ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত যৌনাচারের কাহিনী পড়ানো হয় বলে বলা হয়। আরও বলা হয়, নবম-দশম শ্রেণী ‘সাকোটা দুলছে’ শিরোনামের কবিতা দিয়ে ’৪৭ এর দেশভাগকে হেয় করা হয়েছে, যা দিয়ে কৌশলে দুই বাংলা এক করে দেয়া অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে বলে মনগড়া ব্যাখ্যা দার করানো হয়। নবম-দশম শ্রেণীর সুখের লাগিয়া নামক একটি কবিতা দিয়ে যা হিন্দুদের রাধা কৃষ্ণের লীলাকীর্তন করা হয় বলে অপপ্রচার চলানো হয়। এরপর বলা হয়, ‘ প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে দেয়া হয়েছে ‘নিজেকে জানুন’ নামক যৌন শিক্ষার বই।’ হেফাজতের এই দাবিগুলো তুলে ধরে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক বিবৃত সংযোজন বা বিয়োজনের তথ্যটি ঠিক থাকলেও তাদের দেয়া মন্তব্য সঠিক নয়। কারণ বাংলা সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রামায়ন ও মহাভারত। এগুলো দিয়ে হিন্দুত্ববাদের বিকাশ ঘটানোর প্রচেষ্টা সত্য নয় বরং রামায়ন ও মহাভারতসহ অধিকাংশ রচনাসমূহ পূর্বে থেকেই বাংলা সাহিত্যে বিদ্যমান ছিল। যা দেশীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে যুগে যুগে পরিচিত লাভ করেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যসূচীতে পূর্বেও হিন্দু ভাবধারার গদ্য ও পদ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেমনÑ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৈমন্তী’, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিলাসী’, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ‘একটি তুলসী গাছের কাহিনি’, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘শকুন্তলা’, বঙ্কমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কমলাকান্তের জবানবন্দি’, শওকত ওসমানের ‘সৌদামিনী মালো’ অন্যতম। তবে এগুলো নিয়ে সমালোচনা হয়নি। এ নিয়ে অতিরিক্ত সমালোচনা উদ্দেশ্য প্রনোদিত। রিপোর্টে হেফাজতের আরেক দাবির বিষয় এরপর বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যৌন শিক্ষার যে প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে যৌন শিক্ষা অন্তভুক্তির পক্ষে ও বিপক্ষে ব্যাখ্যা দেয়া যায়। যৌন শিক্ষা সংযোজন করায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ছেলেমেয়েদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের নানা পরিবর্তন এবং দেহমন সংক্রান্ত নানা সমস্যা স্কুল থেকেই জানতে পারে। তেমনি আবার অপ্রাপ্ত বয়সে যৌন শিক্ষা ছেলেমেয়েদের মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তবে প্রচার চালিয়ে জনমত তৈরি করে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করলে এ সমালোচনা হতো না মর্মে প্রতীয়মান। ভুল সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ। এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। ষষ্ঠ শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে কোরান ও হাদিসের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে ভুলত্রুটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোরান ও হাদিসের আয়াতগুলো নির্ভুলভাবে ছাপানো উচিত ছিল। এজন্য উত্থাপিত ভুলগুলো স্বনামধন্য আলেম এবং ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক তদন্ত সাপেক্ষে অতিসত্বর সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলেও সুপারিশ করা হয়েছিল রিপোর্টে। এদিকে রিপোর্টে বেড়িয়ে আসে বিভিন্ন পদে থাকা হিন্দু কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়ার জন্য হেফাজতের দাবিও। মৌলবাদী গোষ্ঠী এখানেও বিকৃত ব্যাখ্যা দার করিয়েছে। বলা হয়, ‘ হিন্দুত্ববাদ বিস্তারের লক্ষ্যে এনসিটিবি, জাতীয় শিক্ষা বোর্ডসহ নিয়ন্ত্রণমূলক গুরুত্বপূর্ণ পদায়ন করা হয়েছে। তাদের এ তালিকায় আছেÑ নারায়ণ চন্দ্র পাল (চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড), ব্রজগোপাল ভৌমিক (সচিব, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড)। প্রীতিশ কুমার সরকার (প্রধান সম্পাদক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড), ড. শ্রীকান্ত কুামার চন্দ্র, (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড), তপন কুমার সরকার (উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড), প্রফেসর ইন্দ্রভূষণ ভৌমিক (চেয়ারম্যান, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড), ডাঃ দিলীপ কুমার রায় (চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাবোর্ড)। এই কর্মকর্তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যেই অবসরে গেছেন, কেউ কেউ এখন আর শিক্ষা সেক্টরেই নেই। একজন মাত্র কর্মকর্তা শিক্ষা সেক্টরের কর্মরত আছেন। অপর একজনকে হেফজতের পথ ধরেই পাঠ্যবইয়ের সব ভুলের দায় চাপিয়ে ওএসডি করা হয়েছে। রিপের্টে বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলা পাঠ্যসূচীতে অধিক সংখ্যক হিন্দু লেখকের রচনা সংযুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেও তা পুরোপুরি সঠিক নয়। এরপরই গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। অতীতেও বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে মুসলমান ধর্মের বিষয়ভিত্তিক গল্প, কবিতার পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ছিল বর্তমানেও তা আছে এবং এগুলো বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে করে শিক্ষা ব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদের প্রবেশ ঘটেছে বিষয়টি সঠিক নয় বরং অতিরঞ্জিত। অতীতে পাঠ্যবইয়ের সিলেবাস নিয়ে কোন সমালোচনা হয়নি বর্তমানেও পাঠ্যবইয়ে নতুন বিষয় সংযোজনে কোন সমালোচনা হচ্ছে না। বরং একটি পক্ষ একে ধর্মবিরোধী অভিহিত করে এ নিয়ে অতিরঞ্জিত বক্তব্য দিচ্ছেন।
×