ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচারের যথেষ্ট অভাব;###;বাংলাদেশে ১০ টাকা মূল্যের প্রাইজবন্ড চালু হয় ১৯৭৪ সালে;###;১৯৮৫ সালে ৫০ ও ’৯৫ সালে ১০০ টাকার বন্ড ছাড়া হয়;###;বর্তমানে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড চালু রয়েছে;###;মোট প্রাইজবন্ডের সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ;###;অধিকাংশ ব্যাংকেই চাহিদা অনুযায়ী স

হারিয়ে যাচ্ছে প্রাইজবন্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

হারিয়ে যাচ্ছে প্রাইজবন্ড

রহিম শেখ ॥ সঞ্চয়ের অন্যতম জনপ্রিয় উপকরণ প্রাইজব-। অথচ এই প্রাইজবন্ডের বিষয়ে প্রচারের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ফলে আগের তুলনায় বিক্রিও কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী প্রাইজবন্ডের সরবরাহ নেই অধিকাংশ ব্যাংকে। এ ছাড়া ডাকঘরের কর্মকর্তারা প্রাইজবন্ড কেনাবেচায় বেশির ভাগ সময়ই অনীহা প্রকাশ করেন। প্রচারের অভাবে প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পর অনেকে নম্বর মিলিয়ে নিতেও গাফিলতি করেন। ফলে কাক্সিক্ষত পুরস্কার থেকে অনেকেই বঞ্চিত হন। ১৯৭৪ সালে ১০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড প্রথম বাজারে ছাড়া হয়। এরপর ১৯৮৫ সালে ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড ছাড়া হয়। ১০ বছর পর ১০ টাকার প্রাইজবন্ডের ড্র বন্ধ করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে চালু করা হয় ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড। এই প্রাইজবন্ডের ৪৫টি সিরিজের বিপরীতে ৪৬টি পুরস্কার রয়েছে, যার মূল্যমান ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এই প্রাইজবন্ড বিক্রি করে সরকার সরাসরি জনগণের কাছ থেকে ঋণ নেয়। ভারত ও পাকিস্তানে ১০০ থেকে ৪০ হাজার রুপী মূল্যমানের আট ধরনের প্রাইজবন্ড থাকলেও বাংলাদেশে ২০ বছর ধরেই রয়েছে শুধু ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড। দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ৪০ লাখ পিস প্রাইজবন্ড রয়েছে। বছরে চার বার প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হলেও প্রচারের অভাবে অনেকে নম্বর মিলিয়ে নিতে গাফিলতি করেন। ফলে কাক্সিক্ষত পুরস্কারও মিলে না। জানা গেছে, ১৯৫৬ সালে আয়ারল্যান্ডে প্রথম চালু হয় প্রাইজবন্ড। বাংলাদেশে ১০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড প্রথম চালু হয় ১৯৭৪ সালে। সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর ‘বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড’ নামে প্রাইজবন্ড চালু করে। ১৯৮৫ সালে ৫০ এবং ১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড বাজারে ছাড়া হয়। ১০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড বিক্রি, বিনিময় ও লেনদেন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম গত ২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে চূড়ান্তভাবে বন্ধ করাসহ অচল ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসপিসিবিএল) গাজীপুরে অবস্থিত কারখানা থেকে প্রাইজবন্ড ছাপানো হয়। প্রাইজবন্ড বেচা-কেনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখেছে গত বছরের শুরুর দিক থেকে এর চাহিদা বাড়লেও শেষদিকে কিছুটা কমেছে। ড্র শেষ হওয়ার পর ১ থেকে দেড় লাখ প্রাইজবন্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাউন্টারে জমা দিয়ে গ্রাহকরা টাকা তুলে নিয়েছেন। প্রাইজবন্ড বিক্রি করে সরকার সরাসরি জনগণের কাছ থেকে ঋণ নেয়। ভারত ও পাকিস্তানে ১০০ থেকে ৪০ হাজার রুপী মূল্যমানের আট ধরনের প্রাইজবন্ড থাকলেও বাংলাদেশে ২০ বছর ধরেই রয়েছে শুধু ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড। সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসের ক্যাশ কাউন্টার, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, সব ডাকঘর অফিসে প্রাইজবন্ড কেনা ও ভাঙ্গানো যায়। এসব জায়গা থেকে যে কোন ব্যক্তি যে কোন সময় প্রাইজবন্ড কিনতে ও ভাঙ্গাতে পারেন। তবে প্রাইজবন্ডের গ্রাহক কোন সুদ পান না। লাভ দেয়ার জন্য একটি লটারির ব্যবস্থা রয়েছে। বছরে চারবার লটারির ড্র হয়। এই ড্রয়ে প্রতিটি সিরিজের ৪৬টি নম্বর পুরস্কার পেয়ে থাকে। প্রথম পুরস্কার ছয় লাখ টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার তিন লাখ ২৫ হাজার। তৃতীয় পুরস্কার এক লাখ ও চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা। শেষ বা পঞ্চম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা। প্রাইজবন্ডের মুনাফা আগে ছিল করমুক্ত। ১৯৯৯ সালের ১ জুলাই থেকে এর মুনাফার ওপর ২০ শতাংশ উৎসেকর আরোপ করে সরকার। এর পর থেকে ওই হারে কর কেটে রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ১০০ টাকা মূল্যমানের ৪৫টি সিরিজ-কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ এবং খন এই ড্র’র আওতাভুক্ত। উপরের সিরিজগুলোর অন্তর্ভুক্ত ৪৬ সাধারণ সংখ্যা পুরস্কারের যোগ্য বলে ঘোষিত হয় এবং উল্লেখিত সংখ্যার বন্ডগুলো সাধারণভাবে প্রত্যেক সিরিজের ক্ষেত্রে পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। ৪৬টি পুরস্কারের মূল্যমান ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রথম পুরস্কার একটি ৬ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার দুটি ১ লাখ টাকা করে, চতুর্থ পুরস্কার দুটি ৫০ হাজার টাকা করে এবং পঞ্চম পুরস্কার ৪০টি ১০ হাজার টাকা করে। মোট ১ হাজার ৯৭৮টি পুরস্কার। তবে সব প্রাইজবন্ড ড্রয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। ড্র তারিখ থেকে দুই মাস আগে ইস্যু হওয়া বন্ড লটারির বাইরে থাকে। যেমন- ৩১ জানুয়ারি যে ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ইস্যু হওয়া কোন বন্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ১ ডিসেম্বরের আগে ইস্যু হওয়া সব বন্ড ড্রয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার যেখানে নির্ধারণ করে, সেখানেই ড্র হয়। বর্তমানে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। একক সাধারণ পদ্ধতিতে (প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নম্বর) ড্র পরিচালিত হয়। পুরস্কার পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক বা যে কোন তফসিলী ব্যাংক বা ডাকঘরে নির্ধারিত ফরমে পুরস্কার দাবি করতে হয়। জেতার দুই বছর পর্যন্ত পুরস্কার দাবি করার সুযোগ থাকে। দুই বছরের মধ্যে পুরস্কার দাবি না করলে তামাদি হয়ে সরকারের কোষাগারে জমা হয়ে যায়। দাবি করার দুই মাসের মধ্যে পুরস্কার দিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ। প্রাপকের ব্যাংক হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পুরস্কারের অর্থ দেয়া হয়। কিন্তু গত কয়েক বছরে প্রাইজবন্ড ড্রয়ের পুরস্কার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত দুই বছরে পুরস্কার প্রাপ্তির সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। নিয়মিত ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হলেও অনেকে নম্বর মিলিয়ে নিতে গাফিলতি করেন। অলসতার কারণে অনেকেই তার প্রাইজ বন্ড মিলিয়ে দেখেন না। ফলে পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হন অনেকেই। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে ১০০টি ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড কিনেন আরিফুল ইসলাম। জানান, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাজে উৎসাহ দিতে তিনি প্রাইজবন্ড দিয়ে থাকেন। তবে ড্রয়ের পর কখনও নম্বর মিলিয়ে দেখেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময়ের অভাবে সেটা আর দেখা হয়নি। সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের সামনে একই কথা জানালেন হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, বিভিন্ন বিয়ে অনুষ্ঠান কিংবা বিশেষ কাউকে দেয়ার জন্য মাঝে মধ্যেই প্রাইজবন্ড কিনি। তবে সব সময় মিলিয়ে দেখা হয় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাইজবন্ড ড্র কমিটির সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোঃ মাছুম পাটোয়ারী জানান, দেশে ৪ কোটি ৪০ লাখ পিস প্রাইজবন্ড রয়েছে এবং সরকারের পক্ষে প্রাইজবন্ডের যাবতীয় কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। চাহিদা অনুযায়ী প্রাইজবন্ডের সরবরাহ নেই এবং ব্যাংক ও ডাকঘরের কর্মকর্তারা প্রাইজবন্ড কেনাবেচায় অনীহা প্রকাশ করেন। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার কাছে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চাহিদাপত্র অনুযায়ী বাজারে প্রাইজবন্ড বিক্রি করা হয়। যদি চাহিদা থাকে, আরও বেশি প্রাইজবন্ড ছাপানো যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী প্রাইজবন্ডের সরবরাহ নেই অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে প্রাইজবন্ড বিক্রি করার কথা থাকলেও ক্যাশ বিভাগের অনেক কর্মকর্তারই আগ্রহ কম বিক্রিতে। এছাড়া ভাংতি টাকার অযুহাতে প্রাইজবন্ড ভাঙ্গাতেও তেমন একটা আগ্রহ দেখান না কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে মিরপুর এলাকার অন্তত দশটি বেসরকারী ব্যাংকের ক্যাশ বিভাগের কর্মকর্তারা জনকণ্ঠকে জানান, অধিকাংশ গ্রাহকই আসেন স্বল্প পরিমাণে প্রাইজবন্ড কিনতে। তাই নিয়মিত কাজের বাইরে গিয়ে প্রাইজবন্ড বিক্রি করা সম্ভব হয় না। শুধু ব্যাংক নয়, ডাকঘর বা পোস্ট অফিসের কর্মকর্তারাও প্রাইজবন্ড কেনাবেচায় অধিকাংশ সময়ই অনীহা প্রকাশ করেন। নিউমার্কেট ও ঝিগাতলা উপ-ডাকঘর ঘুরে দেখা গেছে, ডাক টিকিট ও স্টেশনারি বিক্রি, চিঠি রেজিস্ট্রিকরণ, মানিঅর্ডার ইস্যু, পোস্টাল ক্যাশকার্ড লেনদেন, ইএমও ইস্যু ও বিলি, সঞ্চয় ব্যাংক (জমা ও উত্তোলন), সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ভাঙ্গানো, পোস্টাল অর্ডার বিক্রি, সার্টিফিকেট অব পোস্টিং, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বিক্রিসহ ডাক জীবন বীমা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু প্রাইজবন্ড বিক্রি বা ভাঙ্গানো আগের তুলনায় কম করছেন এই ডাকঘরের কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউমার্কেট উপ-ডাকঘরের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, আগের তুলনায় প্রাইজবন্ডের বিক্রি কমেছে। গ্রাহকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার কথা জানালেন এ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, বহু বছর আগে থেকেই বাংলাদেশে শুধু ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু আছে। স্বল্প আয়ের নাগরিক থেকে শুরু করে সব শ্রেণী-পেশার নাগরিকদের মধ্যে একসময় প্রাইজবন্ড কেনার উৎসাহ ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত এ সরকারী কার্যক্রমের তেমন প্রচার ও আগ্রহ না থাকায় দেশের নাগরিকদের মধ্যে প্রাইজবন্ড কেনার চাহিদা অনেক কমে গেছে। সরকারী বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের সব ক্যাশ অফিস, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ডাকঘর প্রাইজবন্ড বেচাকেনায় তৎপর থাকার কথা থাকলেও অবহেলা আর অনীহার কারণে প্রাইজবন্ড হারাচ্ছে জনপ্রিয়তা। জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি সর্বশেষ ১০০ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের ৮৬তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই দিন ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আল আমিনের সভাপতিত্বে কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকল সিরিজের মধ্য থেকে ০৬১৭৩৯৪ নম্বরটি প্রথম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়েছে। আর ০১২৬৭৩৬ নম্বরটি দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে। একইভাবে তৃতীয় পুরস্কারের দু’টি নম্বর হচ্ছে ০০৬০৮৬১ এবং ০৪৪৪৫৬২। চতুর্থ পুরস্কারপ্রাপ্ত নম্বর দুটি হচ্ছে ০০১৯৪৫৬ এবং ০০৫৭৬৪৮। একক সাধারণ পদ্ধতি তথা প্রত্যেক সিরিজের একই নম্বরে প্রাইজবন্ডের ড্র পরিচালিত হয়। প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের মোট ৪৫টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা এবারও পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। ড্র’তে ০০০০০০১ থেকে ১০০০০০০ ক্রম সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত বন্ডসমূহ থেকে ৪৫টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যার মোট দুই হাজার ৭০টি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ৬ লাখ ও দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে পাবেন। এছাড়া তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী এক লাখ, চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী ৫০ হাজার এবং পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ীরা ১০ হাজার টাকা করে পাবেন। এছাড়া পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ী প্রতিটি সিরিজের ৪০টি নম্বর হলো ০০০০৩১৭, ০০৪০২১০, ০০৪৫৮৫৮, ০০৪৬৩৯২, ০০৭৫৬১০, ০০৮৬১১৭, ০০৯০৪৫০, ০০৯৫৩৪২, ০১০৯১৪৪, ০১১০৯৮৩, ০১১৮৪১৩, ০১২২৬৪৭, ০১৪৯১২৮, ০১৫৯২৩৫, ০১৮৭০৮১, ০২০১৫২৩, ০২৫৯৫২৭, ০২৭৭৮৩২, ০২৯৩৯৮৯, ০৩৩৩০৮৮, ০৩৩৭৪২২, ০৩৪২০৮০, ০৩৬৪৩৪২, ০৪০৪০৩২, ০৪৭১০৫৫, ০৪৮৬৩৩৬, ০৫২০৪২৬, ০৫৪০২১২, ০৫৬৩২৭৮, ০৫৮৮১১২, ০৬৩৬৫২৫, ০৬৫৪০৬৮, ০৬৫৯২৯১, ০৭০২২০৪, ০৭২৬৫৩৭, ০৭৬৩৩৩৯, ০৭৭৩৯৭৯, ০৭৮৬০৩২, ০৮৮০০৩০ এবং ০৯৬৪৮৫৫।
×