ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফৌজদারহাটে হবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ফৌজদারহাটে হবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সীতাকু- উপজেলার ফৌজদারহাটে হবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের হাসপাতালগুলোতে এখন আর চিকিৎসক আর নার্স সঙ্কট নেই। তবে চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িত কর্মচারীদের সঙ্কট মেটাতে প্রায় ৪০ হাজার জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারহাটেই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া। স্বাস্থ্যসেবাকে সরকার প্রাধান্য দিয়ে বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি নিয়মতান্ত্রিকভাবে ডাক্তার, নার্স নিয়োগসহ এবার কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগ হবে। স্বাস্থ্য খাতে কোন ধরনের যেন ঘাটতি না থাকে সে ক্ষেত্রে সরকার পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ইউএসটিসির সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর নিবন্ধন না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এসব শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। ১০০ শয্যার এ হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছিল। এদিকে, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমানোর পাশাপাশি পোলিও ও ধনুষ্টঙ্কার রোগসহ বিভিন্ন চিকিৎসায় এখন সফলতা স্বাস্থ্য বিভাগের। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় অত্যাধুনিক শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হচ্ছে। চট্টগ্রামেও ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। স্বাস্থ্য সচিব তার বক্তব্যে বলেন, ৭৩টি উপজেলায় চারজনের কম ডাক্তার রয়েছেন। ৩টি উপজেলায় ১ জন করে ডাক্তার রয়েছেন। ডাক্তার সঙ্কট থাকলে রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়াও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি, ওষুধসহ নানা সুবিধা রোগীদের দেয়া না গেলে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন হবে না। এ ক্ষেত্রে বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যাতে সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সাধারণ মানুষ তথা রোগীরা সেবা পায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন বলেন, ১ হাজার ৩০০ শয্যার হাসপাতালে এখন প্রতিদিন আড়াই হাজারেরও বেশি রোগীর অবস্থান রয়েছে। জরুরী অবস্থায় রোগীদের আইসিইউ প্রেরণের প্রয়োজন হলেও স্বল্পতা রয়েছে। ৩০টি বেডের জায়গায় এ হাসপাতালে রয়েছে মাত্র ১০টি। চমেক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে নষ্ট সিটি স্ক্যান মেশিন।
×