ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মেক্সিকো ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে টিলারসনের সাক্ষাত

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মেক্সিকো ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে টিলারসনের সাক্ষাত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শীর্ষ কূটনীতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেং টিলারসন বুধবার মেক্সিকো ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র নাফটা মুক্ত বাণিজ্য ব্লকের সদস্য। ট্রাম্প ব্লকটিকে আমেরিকার কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, অভিবাসন ঠেকাতে যে দেয়াল নির্মাণ করা হবে কোন না কোনভাবে সেটির ব্যয় মেক্সিকোকে দিতে হবে। দেয়াল নির্মাণের ব্যয় সংক্রান্ত আলোচনায় মেক্সিকো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, এক্ষেত্রে অটোয়া কোন ধরনের শুল্কের পক্ষে নেই। মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশের প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতোর বক্ত্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, মেক্সিকো কখনও দেয়াল নির্মাণের খরচ দেবে না এবং এ বিষয়ে কোন আলোচনা নয়। -ইয়াহু নিউজ ইরানের রক্ষীবাহিনীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী কোর-কে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখছে। বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক খবরে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজের। মার্কিন সরকারের কিছু সংস্থা এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করছে। যদি এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হয় তবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পর এটি হবে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মারাত্মক আঘাত। ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাব বিস্তারকারী বাহিনী হলো আইআরজিসি। ইরানের অর্থনীতির বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থায় তাদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা আসতে পারে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে। তবে এটি নিশ্চিত নয় যে, ট্রাম্প এ ধরনের আদেশ জারি করতে যাচ্ছেন কিনা। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে ইরান দাবি করেছে, তারা সন্ত্রাসবাদী কোনো কাজ করে না। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর গত সপ্তাহে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মতে, এটি শুরু মাত্র। আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পদক্ষেপের সমর্থন করে সুন্নি মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্রগুলো।
×