ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হার্ড ব্রেক্সিটের পথে টেরেসা মে

স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য বেড়েছে সমর্থন

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য বেড়েছে সমর্থন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের পুরোপুরি বেরিয়ে আসার পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করার পর স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন বেড়েছে। বুধবার এক মতামত জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর টেলিগ্রাফ ও এএফপির। বিএমজির জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৪৯ শতাংশ স্কটিশ স্বাধীন হতে চায়। তবে ৫১ শতাংশ এর বিরোধিতা করছে। গত মাসে করা অনুরূপ জরিপেও একই ফল পাওয়া যায়। ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোটে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ স্কটিশ স্বাধীনতার পক্ষে এবং ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু গত বছর ইইউ ত্যাগের পক্ষে ব্রিটেন ভোট দিলে দৃশপটের পরিবর্তন হয়। কারণ অধিকাংশ স্কটিশ ইইউতে থাকতে চেয়েছিল। স্বাধীনতার বিষয়ে স্কটল্যান্ডের জাতীয়তাবাদী সরকারকে সমর্থনদানকারী স্কটিশ গ্রীন পার্টির এমপি রস গ্রিয়ার বলেন, ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার পর স্কটল্যান্ড স্বাধীনতা প্রশ্নে প্রায় নিশ্চিতভাবে নতুন গণভোটের দিকে এগিয়ে গেছে। স্কটল্যান্ড কখনও ইউরোপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না- হোলিরুডের ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করার পর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। ব্রেক্সিট প্রশ্নে ভোট কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবেÑ সে বিষয়ে ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে সর্বশেষ পর্বের বৈঠকের জন্য মাইক রাসেল প্রস্তুতি নেয়ার পর এই দাবি করেন। স্কটিশ পার্লামেন্টে একটি প্রতীকী ভোটে লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি এমপিরা নাকচ করার পর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে লন্ডনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন ও অন্য নেতারা সতর্ক করে বলেছেন, সমঝোতায় পৌঁছতে ওয়েস্টমিনস্টার ও হোলিরুডের জন্য সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। স্টারজন আরও বলেন, স্বাধীনতা প্রশ্নে দ্বিতীয়বারের মতো গণভোটের সম্ভাবনা খুবই বেশি এবং তার মিত্ররা বলেছে, খুব শীঘ্রই ২০১৮ সালে এটি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে যখন ইইউয়ের অপর ২৭ দেশের সঙ্গে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার শর্ত নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চাইছেন তখন স্বাধীনতা প্রশ্নে স্কটল্যান্ড সরকারের গণভোটের দাবি যুক্তরাজ্যকে সাংবিধানিক সঙ্কটে ফেলবে। মতামত জরিপের ফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, স্বাধীনতাপন্থীদের অবস্থান এখনও যথেষ্ট মজবুত নয় যে গণভোটের ফল তাদের পক্ষে যাবে। তবে স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন দল এসএনপির বক্তব্য, জরিপ বলছে ব্রিটেন যখন ইইউ থেকে সরে যাচ্ছে তখন ইইউর একক বাজার থেকে টেরেসার বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা স্কটিশরা পছন্দ করেনি। স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ডেরেক ম্যাকে বলেন, টেরেসা যদি পুরোপুরি ব্রেক্সিটের পথে হাঁটেন তাহলে আরও অনেক মানুষ স্বাধীনতাকে নিশ্চয়তা ও স্থিতিশীলতার বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করবে। প্রসঙ্গত, স্কটিশ সরকার দেশকে ইউরোপীয় একক বাজারে রাখার লক্ষ্যে সমঝোতা প্রস্তাব দেয় ব্রিটেনের কাছে। তবে রাসেল বলেন, আমাদের প্রস্তাবে ব্রিটিশ সরকার কোন সমঝোতার প্রস্তাব দেয়নি, এমনকি কোন মতও ব্যক্ত করেনি।
×