ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কর্মকর্তার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে বান্দরবান সঞ্চয় অফিসের কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কর্মকর্তার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে বান্দরবান সঞ্চয় অফিসের কার্যক্রম

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান ॥ কর্মকর্তার অভাবে তিন মাস ধরে বান্দরবানের সঞ্চয় অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শুধু রবিবার আর সোমবার কর্মদিবস পালন করলে ও সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে অফিসের কার্যক্রম থাকে কার্যত বন্ধ। এর ফলে সঞ্চয় অফিসের গ্রাহকদের পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান শহরের বাজার এলাকায় অবস্থিত জেলা সঞ্চয় অফিস ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিষ্ঠার পর হতে বিভিন্ন সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক চালাচ্ছে পুরো অফিস। সহকারী পরিচালকের একটি পদ থাকলে ও তিন মাস ধরে পদটি খালি রয়েছে। বর্তমানে রাঙ্গামাটি থেকে ডেপুটেশনে এসে একজন সহকারী পরিচালক চালাচ্ছে এই অফিসের কার্যক্রম। আরও জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিন অফিস চললেও মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার অফিসের কোন কার্যক্রমই চলেই না, আর এর ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় সঞ্চয় অফিসের গ্রাহকদের। সঞ্চয় অফিসের গ্রাহক দুলাল দাশ জানান, অফিসে পেনশন সঞ্চয়পত্র কিনেন তিনি, কিন্তু মুনাফা উত্তোলনের জন্য এলেও সপ্তাহে দুই দিন নির্ধারিত করার কারণে উপচেপড়া ভিড় থাকে। স্থানীয়রা জানান, বান্দরবান শহরের সঞ্চয় অফিসটি গ্রাহকবান্ধব নয়। অফিসটিতে উঠার জন্য যে সিঁড়ি আছে সেটি খুব চিপা সিঁড়ি হওয়ার কারণে অফিসে উঠতে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয় বৃদ্ধ পেনশনার গ্রাহকসহ অন্য গ্রাহকদের। বসার স্থান না থাকার কারণে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অফিসটিতে। তিন মাস অন্তর অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় প্রকল্পের লভ্যাংশের নিতে আসা মিন্টু দাশ জানান, রবিবার ও সোমবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, সপ্তাহের অন্যান্য দিন এই অফিসের কার্যক্রম চলেই না। অফিসটির সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান জেলা সঞ্চয় অফিসে বর্তমানে ছয় হাজার গ্রাহকের বিভিন্ন প্রকার জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে আর প্রতিমাসেই এই কার্যালয়ে প্রায় ৫-৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। জেলা সঞ্চয় অফিসের সহকারী পরিচালক, অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক এই তিনটি পদ থাকলেও বর্তমানে এখানে শুধু রয়েছে একজন অফিস সহায়ক। তিন মাস ধরে সহকারী পরিচালক পদটি খালি রয়েছে, পাঁচ বছর ধরে খালি অফিস সহকারী, আর এর ফলে একজন অফিস সহায়ককে চালাতে হচ্ছে সম্পূর্ণ অফিস। খুলতে হচ্ছে তালা, করতে হচ্ছে নথিপত্র সংরক্ষণসহ সকল কাজ। আর এতে এক প্রকার বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছে এই অফিসের সকল কার্যক্রম। জেলা সঞ্চয় অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ আবুল হান্নান চৌধুরী জানান, পিয়নের কাছ থেকে শুরু করে আমাকেই অফিসের সব কাজ করতে। এদিকে দুই পার্বত্য জেলার সঞ্চয় অফিসের দায়িত্ব পালনকারী সহকারী পরিচালক মুহম্মদ জালাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, কর্র্মকর্তা সঙ্কটের কারণেই এমটাই হচ্ছে, আশা করি, শীঘ্রই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
×