ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মশার উৎপাতে জাবি শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মশার উৎপাতে জাবি শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ

জাবি সংবাদদাতা ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ক্যাম্পাসবাসী। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে আবাসিক হলগুলোতে দেখা দিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত মশার উৎপাত। ফলে পড়ালেখা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মশা নিধনের জন্য ওষুধ প্রয়োগ না করায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মশার উৎপাত। এতে ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, জাবির হলগুলোর আশপাশের ড্রেন ও ডোবাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর মশা নিধনের জন্য ওষুধ প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হলেও এ বছর এখন পর্যন্ত মশা নিধনের জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘শীতের শেষের দিকে হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে মশার সুপ্ত ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফোটা শুরু করে। ফলে এই সময়টাতে মশার উৎপাত বৃদ্ধি পায়। তবে ওষুধ প্রয়োগ, জঙ্গল পরিষ্কার ও ড্রেন বা নোংরা জলাশয় পরিষ্কারের মাধ্যমে এর প্রকোপ কমানো সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমিন বলেন, ‘মশা মারার ওষুধ কেনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই ওষুধ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’ করিমগঞ্জে মামলা করে হুমকিতে শিক্ষক পরিবার নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ করিমগঞ্জ উপজেলায় মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কাজী মোমতাজ উদ্দিন নামে এক শিক্ষকের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে বখাটেরা। বৃহস্পতিবার তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করে এখন হুমকির মুখে পড়েছে ওই শিক্ষক পরিবারের লোকজন। করিমগঞ্জের দেওপুর আসাদুল হক বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মোমতাজ উদ্দিন জানান, তার ছোট মেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা সরণি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। সে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে নিয়ামতপুর ইউনিয়নের দেওপুর এলাকার চান্দু মিয়ার বখাটে ছেলে সৌরভ (২৪) ও সুনু মিয়ার ছেলে জুয়েল প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি স্কুলছাত্রীকে রাস্তায় পেয়ে তার ওড়না ধরে টান দেয় তারা। এ সময় তাকে ঝাপটে ধরার চেষ্টা করে। মেয়ের এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিয়ামতপুর বাজারে বখাটেরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করায় এখন মেয়েসহ তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এদিকে শিক্ষক মোমতাজ উদ্দিনের ওপর সশস্ত্র হামলার বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার ইউএনও’র নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা।
×