ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে দাখিল পরীক্ষা

দশ শিক্ষক ও ৭১ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার ॥ তিন শিক্ষকের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দশ শিক্ষক ও ৭১ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার ॥ তিন শিক্ষকের কারাদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ফরিদপুর শহরের মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে অসুদাপয় অবলম্বনের দায়ে ৭১ পরীক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনজন শিক্ষককে আটক করে এক মাস করে কারাদ- দেয়া হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলা করায় ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর সদরের মাদ্রাসা কেন্দ্র ফরিদপুর শহরের সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। কারাদ-প্রাপ্ত তিন শিক্ষক হলেন- বাহালুল উলুম মাদ্রাসার অফিস সহকারী ফায়জুর রহমান, বাকিগঞ্জ ইসালিমা ফাজিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী আব্দুর রশিদ খান ও আজিজুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী জসিম উদদীন। পরীক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। লিখিত পরীক্ষা শেষে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শুরু হলে এক শিক্ষক রুমে এসে তাদের সকলকেই ‘ক’ সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করতে বলেন। শিক্ষকের কথামতো প্রায় সকল পরীক্ষার্থীই ‘ক’ সেট উত্তরপত্র ভরাট করেন। বিষয়টি ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী হাকিম শাকিলা বিন্তে মতিনের নজরে এলে তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম ও নির্বাহী হাকিম পারভেজ মল্লিকসহ উর্র্ধতন কর্মকর্তারা ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে যান। ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ শিক্ষক ও ৭১ পরীক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার এবং তিন শিক্ষককে এক মাস করে বিনাশ্রম করাদ- দেয়া হয়। আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী হাকিম পারভেজ মল্লিক। রাতে সন্তান প্রসব ॥ সকালে পরীক্ষার হলে স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় কথাটির আবারও প্রমাণ করল ঈশ্বরদী নারিচা হাইস্কুলের ছাত্রী ও মানবিক বিভাগ থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ইলা খাতুন। সে একই এলাকার ইসা মল্লিকের মেয়ে। সন্তান সম্ভাবা ইলা খাতুন অসুস্থ অবস্থায় থেকেও ঈশ্বরদী গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রত্যেকটি পরীক্ষায় অংশ নেয়। শুরু থেকেই সব বিষয়ে মোটামুটি ভাল পরীক্ষাও দিয়েছে। বুধবার রাতে তার কোলজুড়ে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান। শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লেও জীবনের প্রথম পুত্র সন্তানের মা হওয়া ও এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সীমাহীন আনন্দ তাকে পিছু হটাতে পারেনি। অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে শিক্ষা জীবন থেকে ছিটকে ফেলতেও পারেনি। ইলা খাতুন অনেকটা হাসিমুখে সদ্যভূমিষ্ঠ সন্তানকে বাড়িতে রেখে অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায়ও সময় মতো অংশ নেয়।
×