ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চক্ষু মেলিয়া ॥ নিয়ামত হোসেন

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চক্ষু মেলিয়া ॥ নিয়ামত হোসেন

ট্রাম্প দেখেন তাই... মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঝড় তুলে এসে দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁর দেশের। সে ঝড় এখন থেমে গেছে বলা যাবে না। হয়তো খানিকটা স্তিমিত হয়েছে, বলা যেতে পারে। তবে ‘তিনি কী করেন’ ‘কী করবেন’ এমন দুশ্চিন্তা এখনও তার দেশসহ বহু দেশের বহু মানুষের মনে রয়ে গেছে। তাঁর দেশে মানুষের মনে এখনও নানা ধরনের উদ্বেগ, নানা শঙ্কা। এই ব্যবসায়ী প্রেসিডেন্ট কোন দিকে হাত দেন তা দেখার আগ্রহ সবার। তবে এরই মধ্যে একটা মজার বিষয় দেখা গেল, ব্যবসায়ী প্রেসিডেন্টের নাম নিয়ে সেদেশে কেউ কেউ ব্যবসাও শুরু করে দিয়েছেন এরইমধ্যে। এ ব্যাপারে জানা গেল দুটো টিভি চ্যানেলের কথা। দেশটির এমএসএনবিসি চ্যানেল এবং ফক্স নিউজে তাদের দুটি অনুষ্ঠানে বিজ্ঞাপনের রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। ঐ চ্যানেল দুটির দুটি অনুষ্ঠান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিয়মিত দেখেন তাই এই রেট বাড়ানো। বুদ্ধিটা মন্দ নয়। ঐ দুটি চ্যানেলের দর্শক বহু। তারপরও যখন জানা গেছে চ্যানেল দুটির বিশেষ দুটি অনুষ্ঠান ওই দেশের প্রেসিডেন্ট আগ্রহ নিয়ে দেখেন তখন তো তার দর্শক আরও বাড়বে। অতএব দাও অনুষ্ঠান দুটিতে প্রচারিতব্য বিজ্ঞাপনের দাম বাড়িয়ে। মোক্ষম সিদ্ধান্ত! ওদেশের প্রেসিডেন্ট মূলত একজন সফল ব্যবসায়ী। তবে তাঁকে নিয়ে যাঁরা টু-পাইস কামানোর জন্য চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরও ব্যবসায়িক বুদ্ধির তারিফ না করে পারা যায় না! বর্জ্য দাও, গ্যাস পাবে পানি পাবে বেলারুশের এক শহরের কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এক মজার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁরা শহরের নাগরিকদের বলেছেন, আপনারা আপনাদের বাড়ির পরিত্যক্ত কাগজ, প্লাষ্টিক কাঁচ ইত্যাদি আমাদের দিন। আমরা এগুলো নিয়ে কাজে লাগাব, আর এই যে আবর্জনা দিলেন এজন্য আপনাদের পানি ও গ্যাসের বিল দিতে হবে না। প্রকাশিত এক খবরে জানা গেল এই তথ্য। আরও জানা গেল, এ ব্যাপারে ঐ কর্তৃপক্ষ তথা নগর কর্তৃপক্ষ শহরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারও সেঁটে দিয়েছেন। কবি বলেছেন, জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা। অন্য কথায় আছে, যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন। বর্জ্য তথা আবর্জনা ছাইয়ের মতো পরিত্যক্ত দ্রব্য। কিন্তু সেই পরিত্যক্ত বা পরিত্যাজ্য দ্রব্য দিয়ে কেউ যদি দেখে যে ঐ নোংরা আবর্জনার বিনিময়ে ফ্রি গ্যাস পাচ্ছি, ফ্রি পানি পাচ্ছি, তা হলে তার চেয়ে শান্তি আর কোথায়! ঐ খবরে আরও একটি তথ্য জানা গেল, বেলারুশের পাশের দেশ রাশিয়ার বেলারুশ- সংলগ্ন কোন কোন শহরের বাসিন্দারা ঐ খবরটি জেনে, বলেছে, আমাদের শহরেও এ রকমের ব্যবস্থা চালু করা হোক। যাকগে সে কথা। আমরা এদেশে বহু সম্পদের অধিকারী। কিন্তু আমাদের শহরগুলোয় বিশেষ করে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে এই আবর্জনা ‘সম্পদ’ অঢেল। কিন্তু দুঃখের কথা এই ‘সম্পদ’ আমাদের কোন কাজে তো লাগছেই না, বরং পরিবেশ দূষিত করছে, নদী-খাল অর্থাৎ পানি এবং বাতাস দূষিত করছে। এগুলোকে কাজে লাগানো হবে। এ সব দিয়ে বিদ্যুত তৈরি হবে আরও কত কিছু হবে। অনেক বার শোনা গেছে এমন সব কথা। কিন্তু কিছু হয়নি। শুধু বেড়েছে আবর্জনার স্তূপ। বেড়েছে দূষণ। নগরবাসী তার যত আবর্জনা বিনা পয়সায় দিতে চায়। এ জন্য এক পয়সাও চাইবে না কেউ। চাইবে না এর বদলে ফ্রি কোন কিছু। শুধু চায় এসব আবর্জনা সাফ করা হোক। শহর জুড়ে ‘ছি ছি এ কী জঞ্জাল।’ এসব জঞ্জাল সরাতে পারলে নগরবাসী নিজেদের ধন্য মনে করবে। কিন্তু সে উদ্যোগ আদৌ দেখা যাবে কি?
×