ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তোলা হয় না জাতীয় পতাকা

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রতিষ্ঠানে

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রতিষ্ঠানে

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে সংবিধান না মানার মধ্য দিয়ে। সংবিধানের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন বাধ্যতামূলক। কিন্তু বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা কারণ দেখিয়ে তা পালন করছে না। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের বিধান মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে চট্টগ্রামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিপরীতে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এডিসি (আইসিটি) ও এলএ দৌলতুজ্জামানের সঞ্চালনায় জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ শতাধিক শ্রেণী পেশার মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত জাতির জনকের ছবি টাঙানো হয়নি সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন এখনও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বুধবার আয়োজিত সভায়ও এ প্রসঙ্গে কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি জেলা প্রশাসন। তবে জাতির জনকের ছবি না টাঙানো সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধ বলে মত ব্যক্ত করেছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে, অতিরিক্ত অর্থ আদায়কারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার বার সময় দিয়ে কালক্ষেপণ করছে জেলা প্রশাসন এমন অভিযোগ অভিভাবকদের। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানের কমিটি কর্তৃক কোন ধরনের নির্দেশনা থাকলে অতিরিক্ত আদায়ের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনায় আনার আশ্বাস দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপস্থিত অভিভাবকরা। জানা গেছে, গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ভর্তি ও পুনঃভর্তির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অভিভাবকরা অতিষ্ঠ হয়ে জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। এসব লিখিত অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানকে প্রধান করে ৫টি কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি নগরীর ৯৮টি স্কুল পরিদর্শন করে। নগরীর ১৬টি থানা এলাকায় থাকা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্য নিয়ে অভিভাবকদের তথ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযুক্ত ৪৬টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
×