ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিইসিকে বিতর্কিত বলে ইসিকে চাপে রাখার কৌশল বিএনপির

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সিইসিকে বিতর্কিত বলে ইসিকে চাপে রাখার কৌশল বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে বিএনপি হতাশ। তবুও এ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচনে যাবে দলটি। তবে রাজনৈতিকভাবে এ কমিশনকে চাপে রেখে সুবিধা আদায়ের কৌশল নিচ্ছে। আর এ জন্যই নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেও এ কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করেনি। শীঘ্রই নতুন এই নির্বাচন কশিনের সঙ্গে বৈঠক করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দলীয় কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। সূত্র মতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়া অন্য কমিশনারদের বিষয়ে তেমন কোন আপত্তি নেই বিএনপির। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিএনপি আমলে চাকরিচ্যুত হওয়া ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ আমলে আবার চাকরি ফিরে পাওয়ার বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবেই বিবেচনা করছে বিএনপি। এ কারণে দলের নেতারা মনে করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হয়ত বিএনপির প্রতি বিরাগভাজন এবং আওয়ামী লীগের প্রতি সহনশীল থাকতে পারেন। আর এ জন্যই নতুন সিইসির ব্যাপারে সমালোচনা অব্যাহত রাখবে বিএনপি। তবে অন্য ৪ কমিশনারের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের ও আরেকজন বিএনপির তালিকা থেকে মনোনয়ন পাওয়া এবং বাকি ২জন অন্যান্য ছোট দলের তালিকা থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় এবং অতীতে তাদের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ না থাকায় এদের নিয়ে বিএনপি তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে তাদের জায়গায় আরও ভাল ভাল লোক নিয়োগ করা যেত বলে কোন কোন বিএনপি নেতা ও ওই দলসংশ্লিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা অভিমত ব্যক্ত করছেন। জানা যায়, নতুন সিইসি কে এম নুরুল হুদার ব্যাপারে ক্ষোভ থাকার কারণেই তাঁকে জনতার মঞ্চের লোক বলে অভিযোগ তুলেছেন। যদিও বিএনপির এ অভিযোগের পর কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, জনতার মঞ্চ হয়েছিল ঢাকায় আর তখন তিনি ছিলেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক। কাজেই এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে বিএনপির অভিযোগের পর ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও নতুন সিইসির বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। নতুন সিইসি মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণেও ২০ দলীয় জোটের কোন কোন শরিক দল তাঁর প্রতি নাখোশ বলে জানা গেছে। তাই সবকিছু মিলিয়ে শুধু বিএনপিই নয় ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও নতুন সিইসির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাবে বলে জানা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগের পছন্দের লোকদেরই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাই এই কমিশনের পক্ষে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব কি না এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনতার মঞ্চের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁর ব্যাপারে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
×