ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঘর গোছাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ঘর গোছাচ্ছে বিএনপি

শরীফুল ইসলাম ॥ দল গুছিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করছে বিএনপি। এ জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যপদগুলো পূরণের পাশাপাশি শীঘ্রই সারাদেশের সর্বস্তরে দলের কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঠিক করতে মাঠ জরিপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ জন্য দলের ক’জন সিনিয়র নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে দলের থিংকট্যাংক বলে পরিচিত ক’জন বুদ্ধিজীবীকে দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজও শুরু করা হচ্ছে। সূত্রমতে, বিএনপি হাইকমান্ড চায় অতীতের সকল ভুলত্রুটি সংশোধন করে এবার সর্বস্তরে দল গুছিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নিশ্চিত করে দলের জন্য কাক্সিক্ষত ফলাফল বয়ে আনতে। এ জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টার্গেট নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কিছু কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বর্তমানে একদিকে সর্বস্তরে দল গোছানোর কাজ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ রাখার দাবিতেও সোচ্চার বিএনপি। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়ে যাওয়ায় এখন বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়েও দলীয় প্রস্তাব তুলে ধরবে। এ জন্য একটি কর্মকৌশলও হাতে নেয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে প্রস্তাব তৈরির জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ক’জন সিনিয়র নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আর আগেভাগে একটি খসড়া নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করে পরে যাছাই-বাছাই শেষে তৈরি করা হবে চূড়ান্ত ইশতেহার। এ ইশতেহারে যেন চমক থাকে সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে ইশতেহার তৈরি করা হচ্ছে। তবে ইতোপূর্বে বিএনপি ঘোষিত ‘ভিশন ২০৩০’ এর আলোকেই নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনকণ্ঠকে বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি ও দল গোছানোর কাজ একসঙ্গেই চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। দেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় দল বিএনপি। এ দল জনগণের ভোটে বার বার ক্ষমতায় গিয়েছে। তাই নির্বাচনমুখী এ দলের নির্বাচনের প্রস্তুতি সব সময়ই থাকে। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকার। এ জন্যই আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সোচ্ছার রয়েছি। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বস্তরে দল গোছানোর কাজও পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। জানা যায়, ৫৯২ সদস্যের বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে এখনও কিছু পদ খালি রয়েছে। এসব শূন্য পদ পূরণের পাশাপাশি নতুন করে আরও ক’জনকে নির্বাহী কমিটিতে স্থান দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি দলের অঙ্গ সংগঠন ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ চলছে। একইসঙ্গে চলছে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক করার কাজও। ইতোমধ্যেই নিজ নিজ এলাকা থেকে দলীয় প্রার্থী নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ক’জন কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাহী কমিটির পদ ছেড়ে জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ গ্রহণ করেছেন। এসব সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় হাইকমান্ডের আশীর্বাদ নিয়ে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঘরোয়াভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকার মোটামুটি নিরপেক্ষ থাকলেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল ভাল ফল করবে। তবে দলের কোন কোন নেতার বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর মামলা থাকায় তাদের শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয় কি না এমন আশঙ্কা আছে। অবশ্য এ জন্য দলীয় হাইকমান্ডের আগাম প্রস্তুতিও রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটি কৌশলও গ্রহণ করা হয়েছে। এ কৌশলের অংশ হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাইয়ের সময় প্রতিটি সংসদীয় এলাকা থেকে ৩টি নাম রাখতে বলা হয়েছে। কোন কারণে ১ নম্বরে থাকা লোকটি নির্বাচন করতে না পারলে যাতে ২ নম্বরে থাকা লোকটি নির্বাচন করতে পারে। আর ২ নম্বরে থাকা ব্যক্তিও যদি নির্বাচন করতে না পারে তাহলে যেন ৩ নম্বরে থাকা ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারে। সম্প্রতি দলীয় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। তাই বিএনপি যে কোন সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় বিএনপির অন্তত ৩ জন করে যোগ্য এবং বিজয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী রয়েছে। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। কারণ এ নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজয়ের পরও আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী দিয়েও বিএনপি যে ফলাফল করেছে তাতে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরাও আশাবাদী হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি জয়লাভ করবে। কারণ, দলীয় ভোটের পাশাপাশি সরকারবিরোধী বড় একটি অংশের ভোটও বিএনপির পক্ষে আসবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দলে প্রভাব ও ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে নেতায় নেতায় যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে তা নির্বাচনের ফলাফলেও প্রভাব পড়বে। তাই দল গুছিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি ভাল করবে। দল গোছানোর বেলায় বিএনপি সম্প্রতি বেশ অগ্রসর হয়েছে। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ জেলা কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আরও ক’টি অঙ্গ সংগঠনের কমিটি করার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আর দেশে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু রাজধানী ঢাকায় দলীয় কর্মকা- গতিশীল করতে শীঘ্রই ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনে ভাল ফলাফলের আশা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের মতো বিএনপি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা তুলে ধরবে। এর মূল লক্ষ্য হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করবে না বিএনপি। যে কোন সরকারই হোক না কেন সে সরকার যেন নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ থাকে সে ধরনের প্রস্তাবনা থাকবে এ রূপরেখায়। রাষ্ট্রপতি যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে সার্চ কমিটির মতো নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়ে সহযোগিতা করেন সে ধরনের প্রস্তাবনাও থাকবে বিএনপির রূপরেখায়। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয় যেন নিরপেক্ষ ব্যক্তির অধীন থাকে এবং প্রধানমন্ত্রী যেন একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রয়োগ করতে না পারেন সে বিষয়টির ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতা হারানোর পর টানা দুই বছর রাজনৈতিকভাবে চরম বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বিএনপি। এ সময় দলের অনেক সিনিয়র নেতাকে বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে জেলও খাটতে হয়। তবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিরোধী দল হিসেবে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পায় তারা। কিন্তু ২০১৩ সালে ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে নেতিবাচক আন্দোলন কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে আবারও কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে বিএনপি। বিএনপির এ নাজুক পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সমমনা দলগুলোকে নিয়ে সরকার গঠন করে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে সরে যাওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা নেমে আসে। এ পরিস্থিতিতে সরকার পতনের লক্ষ্যে গতবছর ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে টানা ৯২ দিন অবরোধ ও দফায় দফায় হরতাল কর্মসূচী পালন করে দলটি। কিন্তু এ কর্মসূচী পালনের সময় দেশে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় নাশকতার মামলায় জড়িয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক নেতা পেরেশানির মধ্যে পড়েন। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে মাঠের আন্দোলনতো দূরে থাক দলের স্বাভাবিক কর্মকা- চালাতেই হিমশিম খায় বিএনপি। তাই অতীতের ভুলভ্রান্তি অতিক্রম করে বিএনপি এখন সর্বস্তরে দল গুছিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। তাদের মূল টার্গেট এখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কারণ এ নির্বাচনে ভাল ফল করতে না পারলে বিএনপিকে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়তে হবে। সূত্রমতে, বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী মনে করেন, সর্বস্তরে দল গুছিয়ে ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান টিকিয়ে রাখার জন্য পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলকে অংশ নিতে হবে। তবে কিভাবে মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার ব্যবস্থা করা যায় সে জন্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছতে হবে। প্রয়োজনে সরকারকে কিছুটা ছাড়ও দিতে হবে। কিন্তু বিএনপির যেসব নেতা অতীতে মন্ত্রী-এমপি হয়ে অগাধ অর্থ-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তারা এখন বাকি জীবন আরাম-আয়েশে কাটানোর জন্য দলের জন্য কোন ঝুঁকি নিতে চান না। তারা এখন দলের বড় বড় পদ বাগিয়ে নিয়ে নিজ নিজ ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করলেও দলীয় কর্মকা-ে বেশি সক্রিয় হতে চান না। এমনকি নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারেও তারা তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বরং সরকারী দলের নেতাদের সঙ্গে গোপন আতাত করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। তবে এসব নেতাদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখেই দলীয় হাইকমান্ড ভবিষ্যত কর্মসূচী নির্ধারণ করছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের সঙ্গে কিছু কিছু সমঝোতা করতে চায় বিএনপি। সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা, দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক মামলা থেকে রেহাইসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা করে রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নির্বাচনকালে যাতে নির্বিঘেœ প্রচারণা চালাতে পারে সে নিশ্চয়তা চায় দলটি। এ জন্য সরকারকে পুরো ৫ বছর মেয়াদপূর্তি ও কঠোর আন্দোলনে না যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহনীয় অবস্থানে থাকতে চায় তারা। সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করার কৌশল হিসেবেই বিএনপি এখন রাজপথের আন্দোলনের দিকে না গিয়ে সরকারী দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টিকে প্রাধন্য দিচ্ছে। একদিকে ভেতরে ভেতরে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা এবং অন্যদিকে কূটনীতিকদের মাধ্যমে কিছু তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কথা মাথায় রেখেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ১৮ নবেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ও পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়ে ১৩ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। সেইসঙ্গে তিনি এ বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতারও ইঙ্গিত দেন। পরে ১৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপকালেও তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি গুরুত্ব দেন এবং এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন। পরে ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন। এ কমিটির সুপারিশ অনুসারে ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নতুন নির্বাচন কমিশন মোটামুটি নিরপেক্ষ থাকলেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ভাল ফল করতে পারবে বলে দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মীই আশাবাদী। আর এ কারণেই বিএনপি এখন দল গুছিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করতে মনোযোগী হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান বলেন, পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিএনপি প্রস্তুত। সর্বস্তরে দলকে ঢেলে সাজিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি আরও জোরদার করা হবে। আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার। আর তা হলে জনপ্রিয় দল বিএনপি জনগণের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, সারাদেশে দল পুনর্গঠনের কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা বিভাগ ওয়ারী বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তৃণমূল পর্যায়ে দল পুনর্গঠন কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আর যে এলাকায় যারা দলের জন্য সবেচেয়ে বেশি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করছেন তাদেরই দলীয় হাইকমান্ড জাতীয় নির্বাচনের জন্য অগ্রাধিকার দেবেন এটাই স্বাভাবিক।
×