রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবির ক্যাডারদের নৃশংসতার শিকার ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যাকা-ের সাত বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ। দীর্ঘ সময়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় হতাশ ফারুকের পরিবার ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ফারুক হত্যার সাত বছর পূর্তিতে বুধবার ক্যাম্পাসে শোক র্যালি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর সাড়ে ১২টায় র্যালিটি ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে শুরু হয়। পরে ফারুকের স্মৃতিবিজড়িত শাহ্ মখদুম হলের সামনে তার অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। তারা ফারুক হত্যার সঙ্গে জড়িত শিবির ক্যাডারদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান। জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে খুন করে শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহলে ফেলে রাখে শিবির ক্যাডাররা। একই রাতে অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ কর্মীর হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় তারা। ঘটনার পরদিন রাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে শিবিরের ৩৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এছাড়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরও একটি মামলা করে মতিহার থানা পুলিশ। হত্যাকা-ের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর ২০১২ সালের ৩০ জুলাই রাজপাড়া থানার তৎকালীন ওসি জিল্লুর রহমান চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১১০ জনকে অভিযুক্ত করে ফারুক হত্যা মামলার চার্জশীট দাখিল করেন। চার্জশীট দাখিলের পাঁচ বছর পরেও মামলার বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় নিহত ফারুকের বোন আসমা আক্তার হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদের আজও বিচার হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগও করে না। আমরা বিচারের আশাও ছেড়ে দিয়েছি। ফারুক হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বলেন, মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।