ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতন ॥ বাচ্চা নষ্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতন ॥ বাচ্চা নষ্ট

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ মোহনপুরে স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরের চাহিদামতো যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারপিট করা হয়েছে। এতে তার গর্ভের চার মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূ বুধবার স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মোহনপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। শাহানাজ বেগম নামের এ গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার তেঘর মাড়িয়া গ্রামে শমসের আলীর মেয়ে শাহানাজ বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার ঘাসিগ্রাম পাইকপাড়া গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেনের বিয়ে হয়। এক বছর আগে ভালবেসে তারা বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি মোমেনা বেগম, শ্বশুর তছির উদ্দিন ও দেবর বুলবুল হোসেনের সহযোগিতায় স্বামী বেলাল হোসেন এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে প্রায় গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চলত। এরই মধ্যে গৃহবধূ শাহানাজ বেগম বাবার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে দেয় স্বামীর হাতে। পরিবারের লোকজনের পরামর্শক্রমে স্বামী বেলাল হোসেন বাকি ৪০ হাজার যৌতুকের টাকার জন্য ফের চাপ সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করলে সর্বশেষ গত সোমবার বিকেলে শাশুড়ি, শ্বশুর, দেবর ও স্বামী মিলে গৃহবধূ শাহানাজ বেগমকে বেদম মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মারপিটের কারণে তার গর্ভে থাকা ৪ মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। শাহানাজ মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গৃহবধূ চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে সেখানেও স্বামীসহ পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মোহনপুর থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ থানায় এসেছে। বরিশালে পিটিয়ে আহত স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, যৌতুকের এক লাখ টাকা না পেয়ে জেলার গৌরনদী উপজেলার কটক¯'ল গ্রামের এক সন্তানে জননী গ"হবধূ রুপালি বেগমকে (২২) পাষ- স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। গুরুতর আহত রুপালি বেগমকে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে নির্যাতিতার পিতা বার্থী গ্রামের ইদ্রিস সরদার বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুপালি বেগম অভিযোগ করেন, গত তিন বছর আগে কটক¯'ল গ্রামের করমালী ফকিরের পুত্র রেজাউল ফকিরের সাথে তার সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার বাবা স্বামী রেজাউলকে নসিমন ক্রয়ের জন্য নগদ ৭০ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন আরও এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তাকে বিভিন্ন সময় চাপ স"ষ্টি করে আসছিল। এ টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় প্রায়ই তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো। যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনে গত এক বছর পূর্বে তাকে (রুপালিকে) নির্যাতন করে তার বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। গত নয় মাস পূর্বে রেজাউল দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে তানিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। স্বামী ও শ^শুর বাড়ির খোঁজখবর নিতে আড়াই বছরের পুত্র ইব্রাহিম ফকিরকে সঙ্গে নিয়ে রুপালি সোমবার দুপুরে স্বামীর বাড়িতে যায়। টাকা না নিয়ে ওই বাড়িতে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুপালিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
×