ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আ, ব, ম রবিউল ইসলাম রবীন

একুশ মানে মাথা নত না করা

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

একুশ মানে মাথা নত না করা

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সড়ক ধরেই আমরা ১৯৭১ সালে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার স্বাধীনতা পেয়েছি। অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম জাতি রাষ্ট্র- আমাদের কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ। আমরা যাঁরা একুশের প্রজন্মের মানুষ, তাঁদের কাছে একুশ দিনের প্রথম আলোর মতো। একুশের আগে আমাদের ভাষা ছিল, মাতৃভাষা ছিল না। আমাদের ভূমি ছিল, মাতৃভূমি ছিল না। দেশ ছিল, স্বদেশ ছিল না। অমর একুশ দিনটি এখন শুধু আমাদের একার নয়। বিগত ২০০০ সাল থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। কতিপয় বাঙালী দেশপ্রেমিকের প্রচেষ্টায় ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নবেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালনে সম্মত হন। বর্তমানে ১৮৮টি দেশ একুশে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করে। কিন্তু যে লক্ষ্য নিয়ে ভাষা শহীদরা জীবন দিয়েছিল তাঁদের আত্মত্যাগকে আমরা কি যথাযথ মর্যাদা দিতে পেরেছি, বা পারছি? আজও আইনী আদেশ বা রায়ের ক্ষেত্রে, চিকিৎসা সেবায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরণে, মুঠোফোনে, কথোপকথনে ইংরেজীর অধিক ব্যবহার। একুশে ফেব্রুয়ারিতে সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় না। আবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও যথাযথ নিয়মে তা করা হয় না। অধিকাংশ পতাকা সঠিক মাপেরও না। এসব বিষয়ে তেমন কোন তদারক চোখে পড়ে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রায় তিন বছর পরও সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ডে বাংলা লেখা নিশ্চিত করা যায়নি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইংরেজী শব্দে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম রাখার প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া ইংরেজীতে (রোমান হরফ) লেখা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, নামফলকের ছড়াছড়ি। ২০১৪ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এক আদেশে সরকারী, বেসরকারী, গণমাধ্যমে ইংরেজী বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এ ছাড়া বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭- এর ৩ ধারায়ও সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সমস্যাটা হচ্ছে, এই সব আইনের বিষয় অনেকেই জানেন না, এই সব বিষয়ে তেমন প্রচার নেই। সান্তাহার, আদমদীঘি, বগুড়া থেকে
×