ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিবিসিকে সাক্ষাতকার

কাজের মাধ্যমে সব দলের আস্থা অর্জন করব ॥ নূরুল হুদা

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কাজের মাধ্যমে সব দলের আস্থা অর্জন করব ॥ নূরুল হুদা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নিরপেক্ষভাবে এবং আইনের ভিত্তিতে কাজ করার শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছেন পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। আগামী নির্বাচনে বিরোধীদল বিএনপি অংশ নেবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। মঙ্গলবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। তিনি বলেন, ‘আমরা কাজের মাধ্যমে নিরপেক্ষতা এবং পক্ষপাতিত্বহীনতা দেখাব, সব দলের আস্থা অর্জন করব। আশাকরি, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এটাকে অনেক বড় দায়িত্ব এবং চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব হিসেবেই নিয়েছি। চ্যালেঞ্জটা হলো, পরবর্তী নির্বাচনটি যা ২০১৮ বা ২০১৯ সালে হতে পারে তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করা।’ প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। সেজন্য ওই নির্বাচন নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি যে আসবে- তার ব্যাপারে কিভাবে আশ্বস্ত করা হবে- এ প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, আমাদের কাজকর্মেই আমরা দেখাব যে আমরা নিরপেক্ষ, আমরা কোন পক্ষপাতিত্বের মধ্যে নেই। আমাদের কাছে কোন দল নেই। আমাদের কোন রাজনীতি নেই। আমাদের সামনে আছে সংবিধান ও আইন, নিরপেক্ষতা। সেটা দেখাব। তাতে তারা আশ্বস্ত হবে বলে আশাকরি। আশাকরি নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে। একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা তিনি কতটা দিতে পারেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ওয়ান হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চয়তা দিতে পারি। কমিশনে যারা আছেন এবং আমরা- কখনও কারো কথায় কাজ করি না, কারও কথায় প্রভাবিত হই না। আমরা নিরপেক্ষভাবে আইনের ভিত্তিতে কাজ করব। সবার কাছে নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য কি করবেন, এ প্রশ্নে জবাবে সিইসি বলেন, ‘সুশীল সমাজের সঙ্গে কথা বলব। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও কথা বলব, তাদের মতামত নেব। তাদের মতামত নিয়ে যেসব সমস্যা আছে তা আইন ও সংবিধানের মধ্যে থেকে সমাধানের চেষ্টা করব।’ অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও বিধানের মধ্যে যা আছে সেভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নূরুল হুদা। নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা তৈরির জন্য কি করবেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করে দেখাব যে আমরা আস্থাশীল লোক। প্রশাসনিক এবং নীতিগত কাজগুলো যখন করব, তখন আমার বিশ্বাস যে আস্থা তৈরি হবে। এটা এক সপ্তাহের মধ্যে হবে না। ওভার এ পিরিয়ড অব টাইম আমরা আস্থা অর্জন করার চেষ্টা করব।’ নূরুল হুদা ছাড়াও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যে চারজনের নাম অনুমোদন করেছেন তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, সাবেক সচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
×