ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

’১৯ সালের মধ্যে সব গৃহহীনকে বাড়ি দেয়া হবে ॥ মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

’১৯ সালের মধ্যে সব গৃহহীনকে বাড়ি দেয়া হবে ॥ মতিয়া চৌধুরী

সংসদ রিপোর্টার ॥ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। তাঁর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য সারাদেশের ২ লাখ ৮০ হাজার গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসন করা হবে এবং আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে সকল গৃহহীনকে গৃহ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদকার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আরও জানান, প্রাথমিকভাবে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ হাজার গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। আগামী অর্থবছরে ৫০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর করে দেয়া হবে এবং ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে। পরবর্তী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক লাখ ১০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর করে দেয়া হবে এবং ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে। মন্ত্রী আরও জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত তিনটি ফেইজে ১ লাখ ৪০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বর্তমানে চলমান আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মেয়াদে ৫০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্য রয়েছে। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী জানান, ২০০১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ১৫ বছরে মোট ১ হাজার ৪৪৫টি এনজিও নিবন্ধন লাভ করেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৯০টি নিবন্ধন বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়েছে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রায় ১৫ হাজার একর জমিতে চট্টগ্রামের মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৭ হাজার একর সরকারী খাস জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের বরাবরে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। বাকি জমি বন্দোবস্ত এবং অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। তিনি জানান, বর্তমানে মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথম পর্যায়ে ৫৫০ একর জমিতে মাটি ভরাট, বাঁধ নির্মাণ, সংযোগ সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে দুটি ব্লকে আরও ১ হাজার ৩শ’ একর জমি উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
×