ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সেক্যুলার বাংলাদেশ এগিয়ে চলায় খুশি মার্কিন সিনেটর মেন্ডেজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সেক্যুলার বাংলাদেশ এগিয়ে চলায় খুশি মার্কিন সিনেটর মেন্ডেজ

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে ॥ মার্কিন সিনেটে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে প্রভাবশালী সদস্য, নিউজার্সি থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর রবার্ট মেন্ডেজ খুব খুশি হয়েছেন সত্যিকারের সেক্যুলার ডেমোক্রেসি চালুর পথে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাওয়ায়। সিনেটর মেন্ডেজ বলেন, ‘ইট্স ডিমান্ড অব হিউম্যানিটি’, ইট্স দ্য ভেল্যু অব হিউম্যানিটি’। ৫ ফেব্রুয়ারি রোববার নিউজার্সির প্যাটারসনে গ্রেট ফল্স পার্কে ‘ইন্টারফেইথ মার্চ’ শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশের সাইড লাইনে সিনেটরের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন আমেরিকা-বাংলাদেশ এ্যালায়েন্স’র চেয়ারপার্সন এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম। সালাম তাকে জানান যে, ‘নানা প্রতিবন্ধকতা এবং প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহে বাংলাদেশে সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সামাজিক-রাজনৈতিক-প্রশাসনে সেভাবেই সবকিছু পরিচালিত হচ্ছে।’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের ভিসা নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশ জারির পর কম্যুনিটিতে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকন্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত এই কর্মসূচীতে সকল ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের আমেরিকানরা অংশ গ্রহণ করেন। ইউএস সিনেটর কোরি বুকার, কংগ্রেসম্যান বিল প্রেসক্রল, প্যাটারসন সিটি মেয়র জয়ে টরেসসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। মঞ্চে উঠে এম এ সালাম মেন্ডেজকে জানান, ‘ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষমূলক কর্মকা-ে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্যুলার ইমেজ আজ প্রশ্নবিদ্ধ। তেমনি অবস্থায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সত্যিকারের সেক্যুলার কান্ট্রিতে পরিণত হতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’ বাংলাদেশের ব্যাপারে প্রচ- আগ্রহ দেখে সালাম জিএসপি প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে অবিলম্বে তা পুনর্বহালে যথাযথ সহায়তার আহ্বান জানান। জবাবে সিনেটর মেন্ডেজ বলেন, ‘নতুন প্রশাসন কীভাবে ঐ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। তবে ইতিপূর্বে যে সব শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছিল, সেগুলোর কতটা পূরণ হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখার অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের স্বার্থেই সবকিছু করা হয়।’ স্মরণ করা যেতে পারে, সিনেটে পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন এই মেন্ডেজ এবং সে সময়েই (২০১৩) জিএসপি রহিতের নির্দেশ দেয় ওবামা প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে যে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের সুপারিশে তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের প্রভাবে হোয়াইট হাউস ঐ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি প্রতিহত করে বাংলাদেশের সামগ্রিক এগিয়ে চলার আলোকপাতও করেন সালাম। এসব তথ্য এ সংবাদদাতাকে জানিয়ে এম এ সালাম উল্লেখ করেন, ‘সিনেটরের সঙ্গে আলাপে মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরের সামগ্রিক কল্যাণে শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে এই সিনেটরের।
×