ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রকীব কমিশনের চারজনের মেয়াদ আজ শেষ;###;সাফল্যের সঙ্গে নাসিক নির্বাচন করে বিদায় নিচ্ছে এ ইসি;###;রকীব উদ্দিন আহমদ গোটা সময়টা সামলেছেন তার মার্জিত বক্তব্য স্বভাব দিয়ে- যা দৃষ্টি কাড়ে সকলের

বিতর্কিত করার শত চেষ্টা ছিল পাঁচ বছর ধরে ॥ শেষ হাসি সফলতার

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিতর্কিত করার শত চেষ্টা ছিল পাঁচ বছর ধরে ॥ শেষ হাসি সফলতার

শাহীন রহমান ॥ বিতর্কিত করার প্রাণান্ত চেষ্টার মধ্যেও সাফল্যের সঙ্গে বিদায় নিচ্ছে বর্তমান কাজী রকীব উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বধীন নির্বাচন কমিশন। অপর দিকে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কমিশনের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বধীন নির্বাচন কমিশন। আজ বুধবার বর্তমান নির্বাচন কমিশনের চারজনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দিন আহমদ, ব্রি. জে. জাবেদ আলী, মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক ও আবু হাফিজ। ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তারা নির্বাচন কমিশনে যোগদান করেন। কমিশনের অপর সদস্য মোঃ শাহ নেওয়াজ বিদায় নিচ্ছেন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ কারণে আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত বর্তমান কমিশনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে। ওদিকে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নতুন কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব নিচ্ছেন। ওইদিন বিকেল তিনটায় শপথ নেবেন তারা। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। তবে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার আগে বর্তমান কমিশনের বিদায় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে নানা সমালোচনা উঠলেও শেষ পর্যন্ত তারা সাফল্যের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন। তাদের অধীনে কিছু কিছু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিশেষজ্ঞদের মতে তাদের দায়িত্বে শুরুতে এবং শেষের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবেই সম্পন্ন করেছেন। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে তাদের অধীনের পরিচালিত নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আব্দুল আলীম বলেন, ২০১৩ সালের চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২০১৬ সালের নারায়গঞ্জ সিটি করপোরেশন ছাড়া সব নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কম ছিল। তবে ৫ বছরের কর্মকা- নিয়ে বর্তমান ইসি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সাংবিধানিক। যা দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে গেছি। নতুন ইসিও কাজ করবে উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন ৫ বছরে নির্বাচন কমিশনে তাদের কোন ব্যর্থতা নেই। প্রতিটি নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমরা অনেক নির্বাচন করেছি। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে যিনি হারেন, তার কাছে নির্বাচন পছন্দ হয় না। সেজন্য আমরা সবাইকে খুশি করতে পারি না। সেটা সম্ভবও না। যিনি হারবেন তিনি অবশ্যই অসন্তুষ্ট হবেন। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি। সব নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জে প্রার্থী, দল ও ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হয়েছে। এদিকে নতুন যারা নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তাদের বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, বর্তমান ইসিকে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। এ জন্য সামনে তাদের জন্য রযেছে বড় চ্যালেঞ্জ। কোন রাজনৈতিক চাপের মুখে তাদের নতি স্বীকার করা চলবে না। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আনতে তাদের বড় ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনে মানুষের আস্থা ফেরাতে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে তাদের পরামর্শ করতে হবে। যদিও নিয়োগ পাওয়ার পর নতুন সিইসি কেএম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, কোন চাপের কাছে তিনি নতি স্বীকার করবেন না। তাঁর কাছে কোন বিশেষ দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর গুরুত্ব নেই। বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। নিরপেক্ষতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সংবিধানের ধারাকে সমুন্নত রাখাই হবে তার প্রধান কাজ। এর বাইরে আর কিছু নেই উল্লেখ করেন। মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশনার গঠন করেন। সোমবার রাতে সাবেক সচিব কেএম নূরুল হুদাকে প্রধান করে ৫ সদস্যস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করে গেজেট প্রকাশ করেন। এ কমিশনের অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক রফিকুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম এবং বি. জে. অব শাহাদত হোসেন চৌধুরী। ইতোমধ্যে বর্তমান কমিশনের বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিদায়ের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দিনসহ অন্য তিন কমিশনার আজ বুধবার শেষ অফিস করবেন। বিদায়ের প্রস্তুতি হিসেবে তারা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মঙ্গলবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেলা ১১টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিদায়ী সিইসি রকীব উদ্দিন। নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাবেদ আলী, মোঃ শাহনেওয়াজ, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ঢাকা জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা শাহ আলম এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। এছাড়া মঙ্গলবার তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত করেছেন। এদিকে রাষ্ট্রপতি গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন মহল থেকে তীব্র কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা হলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া তারা দেখায়নি। তবে অনানুষ্ঠানিভাবে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি নাকি জনতার মঞ্চে উঠেছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নতুন ইসি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা দলীয় অবস্থান থেকে ইসির বিরোধিতায় রাজনৈতিক বক্তব্য না দিয়ে নতুন ইসিকে কাজ করার জন্য সময় দিতে দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে আজ বুধবার ৫ বছরের মেয়াদ শেষে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিদায়ের প্রস্তুতি চললেও বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, শত বাধা বিঘেœর মধ্যে কাজী রকীব উদ্দিন কমিশনকে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন ইসির জন্য সবার অংশগ্রহণমূলক একাদশ সংসদ নির্বাচন করাটাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। সবার আস্থা অর্জন করে ও কোন ধরনের প্রাণহানি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করাই হবে অগ্রাধিকারমূলক কাজ। তিনি বলেন, নতুন কমিশনের যারা এসেছেন তাদের নিয়ে সমালোচনা হবে, বিরোধিতা হবে এটা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু ইসিকে কাজের কাজ করতে হবে। শাসক দল ও বিরোধী দলকে আস্থায় নিতে হবে। তবে ৫ বছরের দায়িত্ব পালনকালে রকীব কমিশনের সফলতা, ব্যর্থতা ও বিভিন্ন মহলে সমালোচনা থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের আন্তরিকতার কোন অভাব পরিলক্ষিত হয়নি। সমালোচনার পাশাপাশি তাদের বিতর্কিত করার প্রাণান্তকর চেষ্টাও করা হয়েছে। যখন নির্বাচনী ফলাফল বিরুদ্ধে গেছে তখনই বর্তমান ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে তোলা তোলা হয়েছে। এমনকি বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল থেকে দলীয় আখ্যা দিয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অনেকটা সাফল্যের সঙ্গে বর্তমান ইসি মেয়াদ সম্পন্ন করেছে। দায়িত্ব পালনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব নির্বাচনই সুষ্ঠু করতে ইসির কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশ ও বিভিন্ন মহলের অসহযোগিতার কারণেই সব নির্বচনই সফলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তাদের অধীনে পরিচালিত অনেক নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা কাজী রকীব উদ্দিন আহমদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ইসিতে যোগ দেন ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। সে অনুযায়ী আজ তার ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। সঙ্গে অন্য তিন কমিশনার বি. (অব) জাবেদ আলী, মোহাম্মাদ আব্দুল মোবারক ও আবু হাফিজও আজ বুধবার তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করছেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিচ্ছেন নতুন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনার তাদের দায়িত্ব পালনে প্রথমে দিকে ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে নিরপেক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। নানা কারণে দশম জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিপেক্ষভাবে সম্পন্ন করেও সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। এছাড়া তাদের দায়িত্ব পালনে ৫ বছরে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন, সারাদেশে প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করা এবং নির্বাচনের আচরণবিধি ও বিধিমালা সংশোধনের মতো কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১০ কোটি নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেয়ার কাজ তারাই শুরু করেছেন। এছাড়াও বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দিন আহমদ ব্যক্তিগতভাবে আচার আচররেণ ছিলেন মার্জিত ও ভদ্র স্বভাবের। নির্বাচন নিয়ে শত সমালোচনার মধ্যে তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তার অধীনে সব নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিনি ছিলেন যথেষ্ট আন্তরিক। মহান মুক্তিযুদ্ধে সময়ও তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা প্রশাসক। সে সময় পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ করে যেসব সামরিক অফিসার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়ে নিয়মিত বৈঠকে মিলিত হতেন সেইসব বৈঠকে কাজী রকীব উদ্দিন আহমদ নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয় না। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নিবাচনে বিএনপির নির্বাচন বর্জন ও প্রতিরোধের চেষ্টার কারণে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব ছিল না। সে নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণও ছিল না। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অসহযোগিতার ধারাবাহিকতা পরবর্তী নির্বাচগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে। তবে অতীতে সব সরকারের আমলে পরিচালিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রভাব খাটানো নজির রয়েছে। যা এই ইসির অধীনে পরিচালিত নির্বাচনেও লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া এই ইসির অধীনে প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে সরকারী দলের মধ্যেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ২০১২ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটি মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেলেন বর্তমান রকীব উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন। ওই সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠেনি। তাদের অধীনে পরিচালিত প্রথম নির্বাচনেই সফলতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তাদের কঠোর পদক্ষেপের কারণে সারা দেশে একযোগে চার সিটি (রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল) কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে সরকার দলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়। তখন এই ইসির বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ তোলা হয়নি। এছাড়া প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ছিলও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ওই নির্বাচনও সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসিত হয়েছিল। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সব নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কম ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন।
×