ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে নিয়োগ বাতিল দাবিতে ডিসির বাসভবন ঘেরাও

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নীলফামারীতে নিয়োগ বাতিল দাবিতে ডিসির বাসভবন ঘেরাও

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে দুটি পদে নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা বাতিলের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের, বিক্ষোভ মিছিল, ডিসির বাসভবন ঘেরাও এবং সংবাদ সম্মেলন করেছে বঞ্চিতরা। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে ওই নিয়োগে চাকরি পেতে ব্যর্থ হওয়া বেকার যুবক যথাক্রমে কাজী জাহাঙ্গীর ওয়াসী, রফিকুল ইসলাম ও জুনায়েদ বিন হোসেনের নেতৃত্বে শত শত চাকরি প্রার্থী ওই নিয়োগ বাদিলের দাবি জানায়। এর আগে সোমবার দুপুরে ওই নিয়োগ বাতিল চেয়ে জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদ হাসানের আদালতে মামলা দায়ের করে চাকরি প্রত্যাশী কাজী জাহাঙ্গীর ওয়াসী। আদালত মামলার বিবাদী জেলা প্রশাসক, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চেয়ে কেন উক্ত নিয়োগ বাতিল করা হবে না মর্মে জবাব চায়। নোটিস পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক জবাব দাখিলের জন্য ৩০ দিন সময় চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করলে আদালত তা শুনানি শেষে মঞ্জুর করে বলে নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহ মোঃ ফারুক হোসেন। এদিকে উক্ত নিয়োগ বাতিলের দাবি তুলে সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ, জেলা যুবলীগের নেতা মাহবুবুল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক চক্রবর্র্তী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমার ভৌমিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমানের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে ৫ শতাধিক চাকরি প্রত্যাশী অংশ নেয়। তারা বিক্ষোভ মিছিলসহ জেলা প্রশাসক জাকির হোসেনে বাসভবন ঘেরাও করে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা কোটি টাকা বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ তুলে ডিসির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। অপরদিকে মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগে বলা হয় লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর দুইটি পদে ৩৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা জানায়, নীলফামারী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক-কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ৭টি এবং অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ২৭টি পদের জন্য ২০১৬ সালের ১৯ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি উক্ত দুইটি পদের আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় জেলা শহরের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন জানান, তাদের অভিযোগ সত্য না। বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে পাঁচ সদসস্যের নিয়োগ কমিটি শতভাগ সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্নতার মধ্যে দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করে এবং পরীক্ষায় যারা ভাল করেছে তাদের নিয়োগ প্রদান করেছে।
×