ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৫০ হাজার টাকার সুদ ৪ লাখ টাকা!

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

৫০ হাজার টাকার সুদ ৪ লাখ টাকা!

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ৫০ হাজার টাকায় সুদ হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা! দেড় লাখ টাকা পরিশোধের পরও সুদাসল মিলে পাওনাদারের দাবি এখন ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ টাকার দাবিতে ‘সুদখোর’-এর হুমকির মুখে যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর পূর্বপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রওশনারা। ‘সুদখোর’ ইব্রাহিম এখনও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি সাদা চেকে সই করিয়ে নিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলাও করেছেন। চাউলিয়া গ্রামের ইব্রাহিমকে সুদখোর উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে এমন অত্যাচারের তথ্য প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী রওশনারা। সোমবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী নরেন্দ্রপুর গ্রামের মুকুল হোসেন, আরেক ভুক্তভোগী তবিবরের মা কুহিনুর বেগমসহ তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, সুদখোর ইব্রাহিমের সুদের জালে জিম্মি হয়ে নরেন্দ্রপুর এলাকার অনেক নারী-পুরুষ ভিটামাটি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি অবহিত আছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার মিলছে না। ভুক্তভোগী রওশনারা দাবি করেন, তিনি দুই বছর আগে এক মাসের জন্য ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। এ সময় ইব্রাহিম ব্যাংকের সাদা চেকে সই করে নেন। কিন্তু ওই টাকা পরিশোধ করতে দেরি হয়। এরপর প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ইব্রাহিম এখনও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন। আরেক ভুক্তভোগী মুকুল হোসেন জানান, তিনি রূপদিয়া বাজারে ওষুধের ব্যবসা করতেন। দুই লাখ টাকায় তাকে মাসে ৪০ হাজার টাকা সুদ দিতে হয়। ২০ বছর ধরে এভাবে দিয়েও এখনও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করছেন ইব্রাহিম।
×