ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুই তরুণ উদ্ভাবকের আবিষ্কার- ট্রেন ট্র্যাকিং সিস্টেম

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দুই তরুণ উদ্ভাবকের আবিষ্কার- ট্রেন ট্র্যাকিং সিস্টেম

সঞ্জয় সরকার, নেত্রকোনা থেকে ॥ ন’টার গাড়ি ক’টায় আসবে- তা জানতে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আর দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে না। বারবার জিজ্ঞাসা করতে হবে না স্টেশন মাস্টারকেও। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ‘ট্রেন ট্র্যাকিং সিস্টেম’ সহজেই জানিয়ে দেবে ট্রেনের অবস্থান। দুই তরুণ উদ্ভাবক নিজেদের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবন করেছেন এমন একটি সহজ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। গত ৪-৬ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় ‘ট্রেন ট্র্যাকিং সিস্টেম’ নামের প্রযুক্তিটি প্রদর্শন করে ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক’-এর পুরস্কার পান এ দুই তরুণ। এ তরুণরা হলেন- ত্রিদিব বিশ্বাস হিমেল ও নাজমুল হুদা রাতুল। দুজনই ময়মনসিংহের রুমডো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থপর্বের ছাত্র। হিমেল নেত্রকোনা শহরের উকিলপাড়ার হারান বিশ্বাসের ছেলে আর রাতুলের বাড়ি ময়মনসিংহের পুলিশ লাইনস এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুল হেলিম খান। তরুণ এ উদ্ভাবকরা জানান, ট্রেনের অবস্থান জানতে স্টেশন মাস্টারদের একটু পরপর পূর্ববর্তী স্টেশনে ফোন করতে হয় আর যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় স্টেশনের সিগন্যাল বা ঘণ্টাধ্বনি শোনার জন্য অথবা তাদের একটু পরপর স্টেশন মাস্টারকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে হয়। যাত্রী ও রেল কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের বিড়ম্বনা থেকে রেহাই দিতে তারা বেশ কিছুদিন গবেষণার পর ‘ট্রেন ট্র্যাকিং সিস্টেম’ নামের প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেন। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে খুব একটা খরচের প্রয়োজন পড়বে না। প্রতিটি স্টেশনের জন্য লাগবে একটি করে ডিজিটাল বোর্ড বা মনিটর। এছাড়া লাগবে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল, প্রত্যেক স্টেশনের জন্য সেন্সর বা পুশ সুইচ এবং বাল্ব। ডিজিটাল বোর্ড বা মনিটরে প্রত্যেক স্টেশনের জন্য একটি করে নির্দিষ্ট বাল্ব থাকবে। ট্রেন যখন যে স্টেশনে থাকবে তখন সেন্সর বা পুশ সুইচের সাহায্যে ওই স্টেশনের জন্য নির্দিষ্ট বাল্বটি অটোমেটিক জ্বলে উঠবে। আর তা দেখেই যাত্রী বা স্টেশন মাস্টাররা ট্রেনের সঠিক অবস্থান জানতে পারবেন। হিমেল ও রাতুল জানান, রেল কর্তৃপক্ষ সিস্টেমটিকে কাজে লাগালে একদিকে যেমন যাত্রীসেবার মান বাড়বে, তেমনি যাত্রীদের সময় অপচয়ও রোধ হবে। একযোগে বহুসংখ্যক স্টেশনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।
×