ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকদের আন্দোলনে রুয়েটে সেশনজটের শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

শিক্ষকদের আন্দোলনে রুয়েটে সেশনজটের শঙ্কা

রাবি সংবাদদাতা ॥ ‘৩৩ ক্রেডিট’ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করে আসছিল দুই সিরিজের শিক্ষার্থীরা। শরীরের রক্ত ঢেলে এবং উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রবিবার দাবি আদায় হয় তাদের। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনে পরদিন সোমবার থেকেই লাগাতার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আসছে রুয়েট শিক্ষকরা। কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও রুয়েটের ১৪ বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত পাঠদান থেকে বিরত থাকার ঘোষণায় অনড় শিক্ষকরা। তাই রুয়েটের ৩ হাজার শিক্ষার্থী পড়েছেন দীর্ঘ সেশনজটের শঙ্কায়। রুয়েট সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ‘৩৩ ক্রেডিট’ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীরা। নয়দিন পর অবরুদ্ধ অবস্থায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেন রুয়েট উপাচার্য। এর পরদিন থেকেই ‘দুর্ব্যবহারকারী’ ছাত্রদের শাস্তি দাবি করে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আসছে রুয়েট শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকদের এই কর্মসূচীর প্রথম দিনেই রুয়েটের ১২ সিরিজের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সপ্তম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার ১৪ সিরিজের পরীক্ষার তারিখ নির্ধরিত থাকলেও শিক্ষকদের আন্দোলনে তা অনুষ্ঠিত হয়নি। ১২ সিরিজের কয়েক শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যদি স্যারদের কাছে ক্ষমা চান তাহলে হয়তো তারা কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেবেন। তা নাহলে আমাদের সপ্তম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে। এভাবে চললে আমরা সেশনজটে পড়ব। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভিসি স্যার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু তার পরদিন স্যারদের এমন সিদ্ধান্তে আমরা অনিশ্চতায় পড়েছি। আমরা স্যারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি তারপরও কেন এমন সিদ্ধান্ত জানি না। এ বিষয়ে রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিরেন্দ্রনাথ মুস্তাফি বলেন, শিক্ষকদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে পাঠদান। আমরাও দ্রুত ক্লাস নিতে চাই। কিন্তু শিক্ষক অপমানকারীদের শাস্তি না হলে সেটা সম্ভব না। সেজন্য সেশনজটের সৃষ্টি হলে আমাদের কিছু করার নেই। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের সম্মানহানি ও হেনস্থা করা হয়েছে। শিক্ষকদের যে সম্মান পাওয়ার কথা তাই যদি না থাকে তাহলে আমরা সেই ছাত্রদের ক্লাস হাসি মুখে নিতে পারি না। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করলেই আমরা কর্মসূচী প্রত্যাহার করব। রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বলেন, শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
×