ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিলামে আমরা নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ দর উঠল ৩৬ টাকা

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিলামে আমরা নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ দর উঠল ৩৬ টাকা

অর্থনৈতি রিপোর্টার ॥ বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের শেয়ার কেনার জন্য নিলাম গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছে, যা চলবে আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। যদিও বিডিংয়ের প্রথমদিনে মাত্র একজন যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বা এলিজেবল ইনভেস্টর প্রথম দর করেছিল মাত্র ১৫ টাকায়। আগের তুলনায় যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ কোম্পনির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ৩৬ টাকায় নিলাম হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এখন পর্যন্ত ৩১টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে অংশগ্রহণ ৭৫ কোটি ৬৬ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকায় ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০০টি শেয়ার কেনার জন্য নিলাম অংশগ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করবে। এর মধ্যে ৩৫ কোটি ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার নিলামের মাধ্যমে যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিনতে পারবেন। জানা গেছে, নিলামে অংশগ্রহণকারীরা ৪০ কোটি ৫০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বেশি আবেদন করেছেন। জানা যায়, ১ জন বিনিয়োগকারী ৩৬ টাকা দরে ৯ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০টি শেয়ার কেনার জন্য দর করেছে। যার মূল্য ৩ কোটি ৫১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর ২ জন ইনভেস্টরটি ৩৫ টাকা দরে ২ লাখ ৮ হাজার ৮০০টি শেয়ার কেনার জন্য দর হাঁকিয়েছেন। যার মূল্য ৭ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা। এছাড়াও ৩৪ টাকা দরে ২ জন ২ লাখ ৬৮ হাজার শেয়ার কেনার জন্য দর কনেছেন। যার মূল্য ৭ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা। ৩৩ টাকা দরে ২ জন বিনিয়োগকারী ২ লাখ ১৩ হাজার ৬০০টি শেয়ার কেনার জন্য দর করেছেন। যার মূল্য ৭ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার ৮০০ টাকা। ২০ টাকা দরে ১ লাখ শেয়ার ১ জন শেয়ার কিনতে চান। যার বাজার মূল্য ২ কোটি টাকা। এদিকে, ২১ জন ১৫ টাকা দরে ৩ কোটি ৩৬ হাজার ৭০০টি শেয়ার কেনার জন্য দর করেছেন। যার মূল্য ৪৫ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা। ১৪ টাকা দরে ২ জন ৩ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার কিনতে চান, যার বাজার মূল্য ৪৯ লাখ টাক্।া আর সর্বনিম্ন দরে ১৪ টাকা দরে ১ জন ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৬০০টি শেয়ার কেনার জন্য দর হাঁকান। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৫১ লাখ ৫৫ হাজার ২০০ টাকা। প্রসঙ্গত, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ শেয়ার ৬ মাসের জন্য লকইন থাকবে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ শেয়ার ৩ মাস পর বিক্রি করতে পারবেন। বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ার ৬ মাস পরে বিক্রি করতে পারবেন। আর এই লকইনের সময় শুরু হবে কোম্পানিটির প্রসপেক্টাস অনুমোদনের পর থেকে। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডকে নিলামের মাধ্যমে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের অনুমতি দেয়। উল্লেখ্য, আমরা নেটওয়ার্ক হচ্ছে ২০১৫ সালে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের আওতায় বিডিংয়ের জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রথম কোম্পানি। বিএসইসির অনুমোদনের ফলে আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করার জন্য বিডিং করতে পারবে। নিলামে ১২টি ক্যাটাগরির প্রায় আড়াইশ প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে। পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করবে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানির বিএমআরই (আধুনিকায়ন), ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা, দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াই-ফাই হটস্পট প্রতিষ্ঠা করা, আইপিওর কাজ ও ঋণ পরিশোধ করবে। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত বিররণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ২১ টাকা ৯৮ পয়সা। আর ৫ বছরের ইপিএসের গড় করলে হয় ২ টাকা ৫২ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত নিরীক্ষিত হিসাব (৬ মাসের) অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আর এনএভি হয়েছে ২৩ টাকা ৬৬ পয়সা।
×