ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

না’গঞ্জে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পাঁচ ও যাবজ্জীবন পাওয়া ২১ জন হাইকোর্টে খালাস

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

না’গঞ্জে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পাঁচ ও যাবজ্জীবন পাওয়া ২১ জন হাইকোর্টে খালাস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উনিশ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আবদুল লতিফ নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা এক মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ৫ জন ও যাবজ্জীবন ২১ জন মোট ২৬ ব্যক্তিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স ও আপীলের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া ও ইব্রাহিম মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল ও সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বজলুর রশিদ। এ ছাড়া রাষ্ট্রনিযুক্ত হিসেবে ছিলেন আইনজীবী বাহার উদ্দিন আল্ রাজী। বিচারিক আদালতের রায়ের সময় যাবজ্জীবনের আট আসামি পলাতক ছিলেন। হাইকোর্টের রায়ের সময় কতজন পলাতক আছেন- সে তথ্য জানা যায়নি। আইনজীবী বাহার উদ্দিন আল রাজী জানান, বিচারক আদালতে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত পাঁচজনের মধ্যে ওমর আলী মারা গেছেন। বাকি চারজন হলেন মোঃ বারেক, মোঃ সোহেল ওরফে শফি, আফাজউদ্দিন ও শওকত আলী। ২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জের আদালত এই মামলায় ৫ আসামিকে মৃত্যুদ- ও ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শহীদ, হেলাল, নুর ইসলাম, ইউনছ, কফিল উদ্দিন, মঞ্জুরুল, আফাজউদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আক্তার, আলাউদ্দিন, হকসাব, সামসুল হক, কামাল, কানাই, দেলোয়ার, আক্তার, হাচেন, আলী, তাইজ উদ্দিন ও আলম। হাইকোর্ট এদের সবাইকে খালাস দিয়েছেন। আদেশের পর ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল জানিয়েছেন, আবদুল লতিফকে হত্যার ঘটনায় চাক্ষুস সাক্ষী না থাকায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাইকোর্টে আসামিদের খালাস দিয়েছেন।
×