ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গানে আর স্মৃতিচারণে কুটি মনসুর স্মরণ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

গানে আর স্মৃতিচারণে কুটি মনসুর স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লোকগানের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব কুটি মনসুর। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী। গত মাসের ২৪ তারিখ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন দেশের প্রখ্যাত এই শিল্পী। গানে গানে আর স্মৃতিচারণে সোমবার সন্ধ্যায় স্মরণ করা হয় প্রয়াত এই শিল্পীকে। শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে যৌথভাবে ওস্তাদ মমতাজ আলী খান সঙ্গীত একাডেমি ও লোকাঙ্গন সাংস্কৃতিক সংগঠন। স্মৃতিচারণ করেন লোকসঙ্গীত শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ফকির আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লোকসঙ্গীত গবেষক ড. সাইম রানা ও লোকাঙ্গন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি কণ্ঠশিল্পী নারায়ণ চন্দ্র শীল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওস্তাদ মমতাজ আলী খান সঙ্গীত একাডেমির পরিচালক কণ্ঠশিল্পী রূপু খান। আলোচনানুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কুটি মনসুর তার দীর্ঘ ৬০ বছরের সঙ্গীতজীবনে পল্লীগীতি, আধুনিক, জারি-সারি, পালাগান, পুঁথিপাঠ, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মারফতি, আধ্যাত্মিক, দেহতত্ত্ব, হামদ্ নাত, ইসলামী বিষয়ে প্রায় আট হাজার গান লিখেছেন। বাংলা লোকজ গানকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। সততা আর নিষ্ঠা দিয়ে দিনের পর দিন লোকজ গানকে ভালবেসে গেছেন। কিন্তু এর বিনিময়ে তিনি অর্থ বা প্রতিপত্তি চাননি। দেশের বাংলা গানের জন্য তিনি এত অবদান রাখলেও তার ভাগ্যে জাতীয় কোন পুরস্কার জোটেনি। তার কথা ও সুরে গান গেয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পীরা। এ কষ্ট নিয়ে তিনি আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন। তার গানগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে পরবর্তী প্রজন্মের উদ্দেশ্যে প্রচারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন শিল্পী নারায়ণ চন্দ্র শীল। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কুটি মনসুরের লেখা ও সুর করা সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। শুরুতে ‘ছোট্ট কালে গাছ তলাতে পুতুল খেলার ছলনাতে’ গানটি পরিবেশন করেন শিল্পী মোঃ ইলিয়াস। এরপর একে একে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী তামান্না নিগার তুলি, রথীন্দ্রনাথ রায়, মীনা বড়ুয়া, নারায়ণ চন্দ্র শীল, ফকির আলমগীর, আজগর আলীম, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্যামল কুমার পাল, রহমতুল্লাহ, রহিমা বেগম প্রমুখ। ‘বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার ফেস্ট ২০১৭’ শুরু হচ্ছে মার্চে ॥ বাংলা একাডেমিতে আগামী ২৩ মার্চ শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ফুল উৎসব। ‘বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার ফেস্ট ২০১৭’ শীর্ষক এ উৎসবটির আয়োজন করছে দ্য ইনোভেশন এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ফর এন্টারপ্রাইজ (আইআইসিই)। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকছে ইউএসএইড, শের-ই- বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি (বিএফএস) ও বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি সোসাইটি (বিপিএস)। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এএফএম জামাল উদ্দীন, আইআইসিইর নির্বাহী রেজাউদ্দীন মোশাররফ প্রমুখ।
×