ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে অর্থমন্ত্রী

পাকিস্তানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পাকিস্তানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ

সংসদ রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে সর্বমোট ৩৪ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধার ও বাংলাদেশ ভারতের হিসাবে ফেরতের লক্ষ্যে ফিলিপিন্সে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, এফআরবি নিউইয়র্ক এবং সুইফটের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলমান রয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও জানান, দেওয়ানি ও ফৌজদারিসহ যাবতীয় আইনী প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ বাংলাদেশের কাছে ফেরত প্রদানে ফিলিপিন্স সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ তাদের সর্বোচ্চ প্রয়াস অব্যাহত রাখবে মর্মে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেছে। পাকিস্তান থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ॥ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, আমরা চারটি পদ্ধতিতে পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাঁড় করিয়েছি। চারটি পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিপূরণ চেয়েছি। আমরা সেই লক্ষ্যে এখনও অটুট আছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ও দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি ও ধ্বংস পাকিস্তান করেছে সেটা অনেক বড়। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন সরকারে থাকবে, সব সময় এটার (ক্ষতিপূরণ আদায়) পেছনে লেগে থাকবে। এখনও লেগে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। পুঁজিবাজার সংস্কারে ইতিবাচক প্রভাব ॥ প্রশ্ন করতে গিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বিমান ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন যে, দেশের অধিকাংশ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশের পুঁজিবাজারে বিনিযোগ না করে বিদেশে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থ পাচারের যে সকল কাহিনী শোনা যায়, তা সবটা ঠিক না। অনেক ক্ষেত্রে রং-চং লাগানো হয়। বর্তমান সরকার অর্থ পাচার বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারের সংস্কারে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগামীতে আরও পড়বে। তিনি আরও বলেন, অনেকেই এখন পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোও পর্যায়ক্রমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে। খেলাপী ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার কোটি টাকা ॥ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপী ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজ রক্ষিত ঋণ তথ্যের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে (নবেম্বর-২০১৬) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপী ব্যক্তি বা কোম্পানির সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৩২ জন।
×